পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার কারাদন্ডের রায় প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। দলের পক্ষ থেকে বলা হয় খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়েছে। ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না। এই রায়ের মাধ্যমে অনৈতিক, অবৈধ সরকার আদালতের ওপর ভর করে তাদের নিকৃষ্টতম হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করলো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, গণবিচ্ছিন্ন, অনৈতিক, অবৈধ সরকার রাজনীতি ও আসন্ন নির্বাচন থেকে খালেদা জিয়াকে দূরে রাখার জন্য ভূয়া ও মিথ্যা মামলার নথি তৈরি করে তাকে সাজা দিয়েছে। যা এদেশের জনগণ কোন দিনই গ্রহণ করবে না। ইতোমধ্যে তা জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা অত্যন্ত ঘৃণার সঙ্গে এটাকে প্রত্যাখ্যান করছি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রায় সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে দলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এবং খালেদা জিয়াকে আসন্ন নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য এবং তাদের যে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করার নীলনকশা সেটাকে বাস্তবায়িত করার জন্য তারা এই নেত্রীকে (খালেদা জিয়া) সাজা দিয়েছে। এই মামলার রায় বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কটকে আরও ঘনীভূত করবে এবং বাংলাদেশের মানুষের বিচার ব্যবস্থার উপর থেকে আস্থা চলে যাবে।
সরকার দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করছে এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস করছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মামলাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে গত তিনদিন ধরে এই সরকার একটা যুদ্ধাবস্থা তৈরি করেছে। সরকার গোটা পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস করছে। সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে দেশনেত্রী তার বহর নিয়ে আদালতে আসছিলেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বরাবর হাজিরা দিয়েছেন এবং রায়ের জন্য আদালতে এসেছেন। তখন স্বত:স্ফূর্ত সমর্থক কর্মীরা যারা তার গাড়ির বহরের সঙ্গে এসেছে। তাদের ওপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা চড়াও হয়েছে। সারা শহরে আজকে (গতকাল) আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা মোড়ে মোড়ে সন্ত্রাসীদের দিয়ে পাহাড়া বসিয়েছে। পুলিশের সহযোগিতায় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে আক্রমণ করেছে।
গত তিনদিনে সাড়ে তিন হাজারের বেশি নেতাকর্মী গ্রেফতার করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, রায়ের পর আদালত থেকেই চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এড. শিমুল বিশ্বাস, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহদাত হোসেনসহ সারাদেশে একদিনে এক হাজারের ওপর নেতাকর্মী গ্রেফতার করা হয়েছে। সর্বমোট প্রায় সাড়ে তিন হাজারের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
খালেদা জিয়া শান্তিপূর্ণ ও অহিংস কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশনেত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর গত বুধবার আমরা যখন তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম যদি রায় আপনার বিপক্ষে যায় তাহলে আমরা কী ধরণের কর্মসূচি দেবো? তিনি খুব স্পষ্ট করে আমাদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, কোন রকমের হঠকারী কোন কর্মসূচি দেওয়া যাবে না। কোন রকম সহিংস কর্মসূচি দেওয়া যাবে না। সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করতে হবে, এটা শুধু গতকালই নয় বরাবরই তিনি বলেছেন। আমরা ক্ষোভের সঙ্গে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ বরাবরই নিজেরাই তারা সন্ত্রাস সৃষ্টি করে, সহিংসতা করে বাংলাদেশের রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। তারা বরাবরই আমাদের ওপর পুলিশেল সহায়তা নিয়ে চড়াও হয়েছে। তারপরও আমরা বলছি, আমরা শান্তি চাই, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, দেশনেত্রীর যে স্বপ্ন সেই স্বপ্নকে আমরা বাস্তবায়িত করতে চাই।
দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ব লেন, দেশনেত্রীর নির্দেশে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর সারাদেশে উপজেলা-জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এই কর্মসূচি পালন হবে। আমরা বারবার বলছি সরকার যেনো এ বিষয়ে কোন উস্কানি প্রদান না করে। নেতাকর্মীদের আহŸান জানাবো দেশনেত্রীর শেষ কথা ধৈর্য্য ধরতে হবে গণতন্ত্রের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, সেই ত্যাগ স্বীকার করে জনগণের স্বার্থে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিতে হবে। একই কারণে শনিবার সারাদেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি ও সমাবেশ করবে বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন এবং যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে সকল রাজনৈতিক বন্দিদেরও মুক্তি দাবি করেন। এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মীর্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।