বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় শুনতে আদালতের এজলাসে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
এসময় খালেদার সঙ্গে দেখা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টায় রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে রওয়ানা হয়ে দুপুর পৌনে ২টার দিকে বকশীবাজার কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত পৌঁছান তিনি।
তার উপস্থিতিতে বিশেষ জজ-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এখন রায় পড়া শুরু করবেন। এ মামলার অপর দুই আসামি কাজী সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদকে আগেই এজলাসে আনা হয়েছে।
সাত রাস্তা মোড় এলাকায় এসে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘেরাওয়ের মধ্যে পড়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর। কড়া নিরাপত্তা বলয় থাকা সত্ত্বেও আটকানো যায়নি নেতাকর্মীদের ঢল। সাত রাস্তা ফ্লাইওভারের নিচে গাড়ি বহর পৌঁছালে বাড়তে থাকে নেতাকর্মীদের ভিড়।
কয়েক মিনিটের মধ্যে গাড়ি বহর ঘিরে ফেলেন কয়েকশ নেতাকর্মী। এতে দ্রুত এগোতে পারছে না খালেদার গাড়ি বহর। ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবীব-উন নবী খান সোহেলকে গাড়ি বহরের ঠিক সামনে দেখা গেছে। নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে দিতে আদালত পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে আসেন বহর। এতে প্রায় ১ ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছান খালেদা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত।
জিয়া অরফানেজ মামলায় ২৬১ কার্যদিবসে ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ, ২৮ কার্যদিবস আত্মপক্ষ সমর্থন ও ১৬ কার্যদিবস যুক্তি-তর্ক শুনানি গ্রহণ করা হয়। এসময় খালেদা জিয়ার পক্ষে পাঁচজন আইনজীবী যুক্তি-তর্ক শুনানি করেন।
খালেদার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামির বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণিত হয়নি দাবি করে সব আসামির খালাস দাবি করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।