পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ মামলায় খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি আগামী রোববার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির এ আদেশ দেন। এদিকে এ মামলায় একই বেঞ্চে আপিলের ৫ দিনের মতো শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আবার আগামী রোববার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল এ মামলায় খালেদার জামিনের মেয়াদ ১২ জুলাই শেষ হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবীরা। এ আবেদনের পর আদালত ১৯ জুলাই পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। গতকাল জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২৬ জুলাই পর্যন্ত জামিন দেন আদালত।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আবদুর রেজাক খান ও ও এ জে মোহাম্মদ আলী। তাদের সহায়তা করেন আইনজীবী ব্যারিস্টা নওশাদ জমির। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকে খুরশীদ আলম খান। এসময় খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মওদুদ আহমদ, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, জয়নুল আবেদীন,আমিনুল ইসলাম, বদরুদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, এ কে এম এহসানুর রহমান, রাগীব রউফ চৌধুরী, মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, আইয়ুব আলী আশ্রাফী, মির্জা আল মাহমুদ, সালমা সুলতানা সোমা। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আগামী রোববার দুপুর ২টা পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়েছে। শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী আবদুর রেজাক খান বলেন, এ মামলায় যে সব ডকুমেন্ট আদালতে দাখিল করা হয়েছে তা সাসপেক্ট ডকুমেন্ট, সৃজিত ডকুমেন্ট, টেম্বপার ডকুমেন্ট, ফুলিইড লাগানো ডকুমেন্ট। এ গুলোর উপর ভিত্তি করে কোনো মামলা প্রমাণ করা যায় না। তিনি বলেন, এই মামলায় প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের এতিম তহবিলে রক্ষীত ডকুমেন্ট সম্পর্কে মামলার নবম সাক্ষী প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তৎকালীন ক্যাস আফিসারের মাধ্যমে যেসব রেকর্ড উপস্থাপন করা হয়েছে, সাক্ষ্য আইনের নিরিখে ওই তার গ্রহণ যোগ্যতা নেই। আবদুর রেজাক খান বলেন, এই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো তথ্য প্রমাণ নেই। সোনালী ব্যাংক ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে যেসব ডকুমেন্ট দাখিল করা হয়েছে সেখানে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কিছু নেই। এখানে খালেদা জিয়া কোনোভাবে জড়িত নন। এই ডকুমেন্টর উপর ভিত্তি করে খালেদা জিয়াকে কেন সাজা দেয়া হবে।
এক মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন: ঢাকা-চট্ট্রগাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় নিন্ম আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিএনপি খালেদা জিয়ার এই মামলায় জামিনও চাওয়া হয়েছে। খালেদা জিয়ার পক্ষে মাহবুব উদ্দিন খোকন হাইকোর্টে এই আপিল আবেদন করেন। গতকাল বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস.এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই আপিল আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান।
তিনি জানান, এ মামলায় গত ১ জুলাই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে কুমিল্লার একটি আদালত। তবে, সেই আদালতে জামিন চেয়ে করা আবেদন শুনানির জন্য আগামী ৮ আগস্ট শুনানির দিন ঠিক করেছেন। যেহেতু খালেদার জামিন নিয়ে করা আবেদন নিষ্পত্তি না করে শুনানির জন্য পরর্বতী দিন ঠিক করা হয়েছে, সেহেতু হাইকোর্টে আপিল করা হয়েছে। #######
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।