নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চার বছরেরও বেশি সময় পর টেস্ট খেলতে নেমে নিজেকে প্রমাণ করলেন আব্দুর রাজ্জাক। জ্বলে উঠলেন আরেক স্পিনার তাইজুল ইসলামও। দুজনের স্পিন জাদুতে চা বিরতির খানিক পরই শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে যায় ২২২ রানে।
কিন্তু এই রানও বাংলাদেশের কাছে পাহাড়সম মনে হতে পারে। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ অন্তত সেই কথাই বলছে। প্রথম দিনের প্রথম সেশন থেকেই সাপের মত ফনা নিচ্ছে স্পিন। হেরাথ-সান্দাকানদের সামলানো তাই বাংলাদেশের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে বলেই মনে হচ্ছে। ইতোমধ্যে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্কোর বোর্ডে ৪ রান জমা হতেই তামিম ও মুমিনুলের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ।
বোলার লাকমলের হাতে ফিরতি ক্যাচ দেন তামিম। আর মুমিনুল হয়েছেন দৃষ্টিকটু রান আউট। দেখে মনে হতে পারে ইচ্ছাকৃতভাবেই আউট হয়েছেন চট্টগ্রাম টেস্টের নায়ক। ব্যাট ক্রিজেই লাগানোর চেষ্টা করেননি।
লাঞ্চের আগেই তিন উইকেট তুলে নিয়ে রাজ্জাক প্রমাণ করলেন তার স্পিনে একটুও মরচে ধরেনি, বরং হয়েছে আরো শানিত। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে দিমুথ করুনারত্মকে (৩) স্ট্যাম্পিঙয়ের ফাঁদে ফেলেন রাজ্জাক। শ্রীলঙ্কার দলীয় রান তখন ১৪। এরপর আপন মনে ইনিংস মেরামতে মন দেন আগের টেস্টের দুই সেঞ্চুরিয়ান। কিন্তু দলীয় ৬১ রানে দারুণ এক ডেলিভারিতে ধনঞ্জয়াকে (১৯) স্লিপে ক্যাচ বানার তাইজুল। ৯৬ রানে দাঁড়িয়ে টানা দুই বলে দানুশকা গুনাথিলাকা ও অধিনায়ক চান্দিমালকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভবনা তৈরী করেন রাজ্জাক। গুনাথিলাকাকে মিড অফে মুস্তাফিজের ক্যাচ বানানোর পর চান্দিমালকে দারুণ এক ডেলিভারিতে সরাসরি বোল্ড করে দেন রাজ্জাক। আরেক ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যান কুসল মেন্ডিসকেও (৬৮) সরাসরি বোল্ড করেন এই বাঁ-হাতি। তার সমান ৪ উইকেট নেন তাইজুলও। বাকি দুই উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। মুস্তাফিজের বলে সাব্বির দ্বিতীয় স্লিপে দিলরুয়ান পেরার সহজ ক্যাচ না ছাড়লে লঙ্কান ইনিংসের গল্পটা আরো ভিন্ন হতে পারত। পেরেরা-রোশানের সপ্তম উইকেটের ঐ জুটিতেই সর্বোচ্চ ৫২ রানের জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন রোশান ডি সিলভা।
বাংলাদেশের একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও সানজামুল ইসলাম। তাদের পরিবর্তে সুযোগ পেয়েছেন সাব্বির রহমান ও অভিজ্ঞ আব্দুর রাজ্জাক।
২০১৪ সালের পর আবারো টেস্ট খেলার সুযোগ পেলেন রাজ্জাক। ২০১৪ সালে ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছিলেন এই বাঁ-হাতি স্পিনার। বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ১২টি টেস্টে ২৩ উইকেট নিয়েছেন রাজ্জাক। সম্প্রতি প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৫শ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন রাজ্জাক।
লঙ্কান দলেও দু’টি পরিবর্তন। লক্ষণ সান্দাকান ও লাহিরু কুমারার পরিবর্তে দলে এসেছেন অফ-স্পিনার আকিলা ধনানঞ্জয়া ও ব্যাটসম্যান দানুস্কার গুনাথিলাকা। এ ম্যাচ দিয়ে টেস্ট অভিষেক হয় ধনাঞ্জয়ার। চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র হয়েছিলো।
বাংলাদেশ একাদশ : মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মোমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, আব্দুর রাজ্জাক, তাইজুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা একাদশ : দিনেশ চান্ডিমাল (অধিনায়ক), দিমুথ করুনারতেœ, কুশল মেন্ডিস, ধনানঞ্জয়া ডি সিলভা, রোশান সিলভা, নিরোশান ডিকবেলা, দানুস্কা গুনাথিলাকা, দিলরুয়ান পেরেরা, আকিলা ধনাঞ্জয়া, রঙ্গনা হেরাথ ও সুরঙ্গ লাকমাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।