পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা শহরে তিন/চার দিন থেকে সংবাদকর্মীদের মানববন্ধনের দৃশ্যগুলো চোখে পড়ার মতো। সাধারণত যারা মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা কারো দৃষ্টি আকর্ষন করতে নিজেদের দাবি-দাওয়া লেখা ব্যানার-প্লাকার্ড নিয়ে দাঁড়ান। টিভির সচিত্র প্রতিবেদনগুলোতে দেখা যায় সাংবাদিকদের মানববন্ধনে ‘গুপ্তচর’ ‘আমি গুপ্তচর’ ‘গুপ্তচর হবো’ প্লাকার্ড বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও হাজার হাজার তরুণ-তরুণী ‘আমি গুপ্তচর হবো’ পোষ্ট দিয়েছে। গুপ্তচরবৃত্তি কখনো কখনো ‘দেশপ্রেম’ হলেও এটাকে প্রতিপক্ষ ‘ভয়ঙ্কর অপরাধ’ হিসেবে গণ্য করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রতিবাদী সাংবাদিক ও শিক্ষিত তরুণরা গুপ্তচর হতে চাচ্ছেন! অবাক কাÐ বটে!! রাজপথের প্রতিবাদে বুকে ‘আমি গুপ্তচর হবো’ প্লাকার্ড দেখে মনে পড়ে যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং পরবর্তীতে ১৯৪৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত বিশ্বের দুই পরাশক্তি আমেরিকা ও রাশিয়ার ঠাÐা যুদ্ধের কাহিনী। ওই সময় দুই দেশের গুপ্তচরের কাহিনী নিয়ে নির্মিত ছবিগুলো পৃথিবী জুড়ে দর্শকদের মধ্যে আলোড়ন তুলেছিল। মনে পড়ে বাংলাদেশের সেবা প্রকাশনীর কাজী আনোয়ার হোসেনের ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের গুপ্তচরের শক্তিশালী চরিত্রগুলো; রোমেনা আফাজের দস্যু বনহুর বইয়ের গল্প।
ইংরেজ ও সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরোধ নিয়ে গল্প ‘কিম’ ‘দ্য সিক্রেট এজেন্ট, জেমসবন্ড এর সিরিজ, মিশন ইম্পসিবল, ডিকোডেড, ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ, ফেভার এন্ড স্পেয়ার’ গল্প-সিরিজগুলোর কথা মনে পড়লে মানুষ এখনও শিহরিত হন; আন্দোলিত হয়ে পড়েন। হালে কোথাও ‘গুপ্তচর’ শব্দটি শুনলে ‘অপরাধী’ই মনে হয়। হঠাৎ পেশাজীবী সাংবাদিকরা কেন সেই গুপ্তচর হতে চাচ্ছেন? যারা মানুষের সুখ-দুঃখ, অবহেলিত-বঞ্ছিত মানুষের কাহিনী, অনুসন্ধানী চোখে প্রশাসন ও সমাজের অনিয়ম-ঘুষ-দুর্নীতি-লুটপাটের চিত্র তুলে ধরেন সুস্থধারার সমাজ গঠনের প্রত্যয়ে’ সেই ঝুকিপূর্ণ পেশায় কর্মরত তরুণ সাংবাদিকরা ‘গুপ্তচর’ হতে চাচ্ছেন? সেটাও আবার রাজপথে মিটিং-মিছিল-মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি দিয়ে প্রতিবাদের মাধ্যমে?
প্রতিবাদী সাংবাদিকদের এই ‘আমি গুপ্তচর হবো’ হওয়ার শ্লোগান কার্যত প্রস্তাবিত একটি আইনের বিরুদ্ধে। আইনটির নাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮। নিরাপত্তার নামে আইনটি সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ফেলতে পারে সে আশঙ্কা থেকেই মূলত এই প্রতিবাদ। আন্দোলন করে ক্ষমতাসীনদের জানান দেয়া হয় যাতে ‘তারা যেন সংবিধান-মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং আন্তর্জাতিক কনভেনশনের সাথে সাংঘর্ষিক আইনটি না করেন। আর করলেও আইনে যে সব ধারা ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতায় অন্তরায়’ সেগুলো ছেটে ফেলে দেন। দেশের সংবাদকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী, বিভিন্ন পেশাজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অব্যাহত প্রতিবাদ ও চাপের মুখে ৫ বছর চালু রাখার পর আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা বিলুপ্ত করা হয়। কিন্তু ওই ধারা বিলুপ্ত করলেও প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এ ওই সেগুলো চার ভাগে বিভক্ত করে বিস্তারিত ভাবে সংযোজন করা হয়। তারই প্রতিবাদ চলছে সর্বত্রই। রাজপথ, মিডিয়া, ফেসবুক, টুইটার, বøগে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে; মিটিং মিছিল মানববন্ধন হচ্ছে প্রস্তাবিত ওই আইনের বিরুদ্ধে। সংবিধান বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী, দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক, টিভির সিইও, সাংবাদিক নেতা, মানবাধিকারকর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি প্রায় সর্বস্তর থেকে প্রস্তাবিত আইনের ধারা চারটি বাদ দেয়ার দাবী উঠেছে। তারা প্রস্তাবিত আইনের ধারাগুলো বাদ দিয়ে আইন করার জন্য অংশিজনের সঙ্গে আলোচনারও পরামর্শ দিচ্ছেন। তাদের যুক্তি সদ্য বিলুপ্ত ৫৭ ধারার অভিজ্ঞতা আতঙ্কজনক। এ ধরনের আইন কার্যকর হলে সাংবাদিকতা ঝুকির মুখে পড়বে এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা হুমকির মুখে পড়ে যাবে। যা প্রশাসনের দুর্নীতি-লুটপাট-অনিয়মকে উৎসাহিত করবে।
আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা বিলুপ্ত করে প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ১৭ থেকে ৩৮ ধারায় বিভিন্ন অপরাধ ও দন্ডের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে। কোনো ব্যাংক, বীমা বা আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া অনলাইন লেনদেন করলে পাঁচ বছরের কারাদন্ড, পাঁচ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড দেওয়া যাবে। কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ‘আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক’ কোনো তথ্য পাঠালে তিন বছরের কারাদন্ড বা তিন লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে। ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ফৌজদারি দন্ডবিধির ৪৯৯ ধারার আওতাধীন মানহানিকর অপরাধ করলে তিন বছরের কারাদন্ড, পাঁচ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডিত, বিভিন্ন স¤প্রদায়ের মধ্যে শত্রæতা, ঘৃণা-বিদ্বেষ-সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি নষ্ট-অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে ৭ বছরের কারাদন্ড, পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে (সিআইআই) বেআইনি প্রবেশ বা হ্যাকিংয়ের জন্য ৭ বছরের জেল, ২৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে বেআইনি প্রবেশ করে ক্ষতিসাধান-নষ্ট বা অকার্যকর-নষ্টের চেষ্টা করলে ১৪ বছরের কারাদান্ড, এক কোটি টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড, মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতির পিতার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অপপ্রচার চালালে-মদদ দিলে ১৪ বছরের কারাদন্ড, এক কোটি টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড দÐিত হবে। যারা প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এই ধারাগুলোর বিরোধিতা করছেন তাদের বক্তব্য হলো হয়তো উল্লেখিত ধারাগুলোর অনেকগুলোই অপরাধ। কিন্তু সেই অপরাধ নির্ধারণ হবে কিসের ভিত্তিতে? প্রশাসনের দুর্নীতি-লুটপাট-অনিয়মের চিত্র ধারণ ও খবর প্রকাশে কোনটা ‘গুপ্তচর’ আর কোনটা অনুসন্ধানী হবে? এটা নির্ধারণ করবে কে?
শুধু রাজপথে আন্দোলন নয়; বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, সুশীল সমাজ, বিভিন্ন পেশাজীবী পরিষদ, দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, দেশি-বিদেশেী সংস্থা সকলেই প্রস্তাবিত ডিজিটাল আইনের ধারাগুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। টিআইটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯২৩ সালের সরকারি গোপনীয়তা আইনের ৩ ধারায় গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধের শাস্তির বিভিন্ন বিধানকে ভিন্ন মোড়কে খসড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারা-৩২ এ সন্নিবেশিত করা হয়েছে। গুপ্তচরবৃত্তির অজুহাতে গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ব্যক্তির মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে তদন্তকারী কর্মকর্তার ‘অভিপ্রায়-নির্ভর’ করায় প্রস্তাবিত আইনটি ক্ষেত্রবিশেষে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যবহৃত হবে। এছাড়াও প্রস্তাবিত আইনের ৩২ ধারার অপপ্রয়োগের ফলে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত তথ্য জানার আইনী অধিকার ব্যাপকভাবে রুদ্ধ হবে এবং ফলে দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন সুরক্ষিত হয়ে এরূপ অপরাধের অধিকতর বিস্তার ঘটবে। মানবধিকার লঙ্ঘন, মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ সংক্রান্ত যে সমস্ত তথ্যাবলী মানুষের জানার কথা বা জানার অধিকার রয়েছে; এমনকি প্রকাশের অধিকার রয়েছে সাংবাদিকসহ অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীদের তা খর্ব হবে। যারা এ ধরনের আইন করেছেন তারা সাময়িক সুবিধার জন্য করেছেন; তবে চূড়ান্ত বিবেচনায় এসব আইন আত্মঘাতী বলে বিবেচিত হবে’। রাজপথে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, সমাবেশ এবং মানববন্ধনে যারা ডিজিটাল আইনের বিরোধিতা করছেন তারা প্রায় সকলেই ড. ইফতেখারুজ্জামানের শঙ্কারই প্রতিধ্বনি করছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, ‘সরকারি আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে তথ্য উপাত্ত ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে গোপনে রেকর্ড করা গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ।’ এটা প্রমাণিত হলে ১৪ বছরের কারাদÐ, ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দÐ। মিডিয়াকর্মীদের প্রশ্ন তাহলে কি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বন্ধ হয়ে যাবে? যারা দুর্নীতি করেন তারা কি প্রমানপত্র কারো হাতে তুলে দেন? এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারার অপব্যবহারে পত্রিকার সম্পাদক ও সংবাদকর্মীদের ওপর ভয়ঙ্কর জুলুম-নির্যাতন হয়েছে। ইনবিলাব সম্পাদকসহ কয়েকটি পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। হিংসা-প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে ৫৭ ধারায় দায়ের করা ওই মামলায় অভিযুক্তদের যে বিদ্যুৎ গতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তা নজীরবিহীন। ৫৭ ধারাটি বিলুপ্ত করার পর সরকারের একাধিক মন্ত্রী বলেছেন ওই ধারাটি কালো আইন ও নিপীড়নমূলক হওয়ায় বিলুপ্ত করা হয়। প্রশ্ন হলো প্রস্তাবিত ডিজিটাল আইনের ৩২ ধারায় যা রয়েছে সেটা কি কালো আইন নয়? হলমার্ক কেলেÐারী, ইউনিপে টু, ডেসটিনি, বিভিন্ন ব্যাংকের টাকা লোপাট, হাওড়ের সময় মতো বাঁধ নির্মাণ না করায় ব্যপক ফসলহানি, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, সোনালী ব্যাংক কেলেঙ্কারী, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারী, ফার্মার্স ব্যাংকের পরিবেশ উন্নয়নের ৫শ কোটি টাকা নিয়ে পরিশোধ না করার কাহিনী, ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাণিজ্য, মুক্তিযোদ্ধার ভূয়া সার্টিফিকেট দিয়ে সচিবসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চাকরির সময়সীমা বৃদ্ধি, প্রশ্নপত্র ফাঁস, ব্যাংক থেকে এসিল্যান্ডের টাকার বস্তা নিয়ে চম্পট দেয়াসহ অসংখ্য দুর্নীতি-লুটপাটের চিত্র অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার বদৌলতে মানুষ জানতে পেরেছে। এ সব দুর্নীতির চিত্র মিডিয়ায় উঠে আসায় সরকার এসবের ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে। ডিজিটাল আইনের ৩২ ধারা কার্যকর হলে কি কোনো সংবাদকর্মী অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করবে? আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তথ্য সঠিক হলে সাংবাদিকদের ভয় নেই। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইনের অপব্যবহার হবে না। আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা কার্যকরের সময়ও আইনমন্ত্রী আইনের ‘অপব্যবহার’ হবে না নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন। ওই আইনে মিডিয়াকর্মীদের ওপর নির্যাতন হয়নি? আর দশটা পেশার মতো সাংবাদিকতা নয়। এ পেশায় কর্মরতদের নিত্যদিন পাঠকদের কাছে ‘নিরপেক্ষতার পরীক্ষা’ দিতে হয়। তারপরও কেন তাদের ঠেকানোর প্রবণতা? নাকি তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে অবাধ দুর্নীতির স্বার্থে ‘অফিসে’ সাংবাদিক প্রবেশ নিষিদ্ধ করে প্রেস রিলিজ নির্ভর ‘উন্নয়ন সাংবাদিকতা’ চালুর চেষ্টা চলছে? তবে অফিসে ঢুকলে ‘গুপ্তচর তকমা’ বুঝেও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রত্যয়ে যে সব তরুণ সাংবাদিক বুকে ‘আমি গুপ্তচর হবো’ শ্লোগান লিখে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছে সাহসীকতার জন্য তারা অভিনন্দন পেতেই পারে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।