Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিএনপি নেতাকর্মী গ্রেফতার অব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

পুলিশের উপর হামলা করে কর্মী ছিনিয়ে নেওয়ার পর থেকেই বিএনপি নেতাকর্মী গ্রেফতার বেড়ে গেছে। গত মঙ্গলবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ দুই দিনে শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকালও (বৃহস্পতিবার) গ্রেফতার অব্যাহত ছিল বলে অভিযোগ করেছেন দলের নেতারা। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে অভ্যর্থনা জানাতে আসা বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর ওপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক, পিটিয়ে আহত এবং বিএনপি’র সিনিয়র গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বাড়ীতে বাড়ীতে হানা দিয়েছে পুলিশ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নি:সন্দেহে এখন আওয়ামী লীগের লাঠিয়াল বাহিনী। আওয়ামী চেতনায় লালিত এই বাহিনীগুলো যেন বিরোধী দলকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়ার জন্যই সরকার প্রধানের কাছে শপথ করেছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যেন প্রতিযোগিতায় নেমেছে কে কতটা বিএনপি নেতাকর্মীকে নির্যাতন করতে পারে। যেন প্রধানমন্ত্রীকে খুশী করতেই তারা নির্দয়তার সীমা অতিক্রম করছে। আর এর ওপরেই যেন নির্ভর করে তাদের পুরস্কার, পদোন্নতি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিবেকহীনতা এখন জাতি ও জনগণের জন্য সবচেয়ে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত পর্যন্ত সারাদেশেই বিএনপির অসংখ্যক নেতাকর্মী গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল শওকত সরদারকে বুধবার পুলিশ গ্রেফতার করে। ওই রাতেই বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মুজিবর রহমান, মুন্সিগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মোল্লা, যুবদল নেতা সেলিমকে গতকাল পুলিশ গ্রেফতার করে। বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালামের বাসায় পুলিশ তল্লাশী চালিয়েছে। মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ও মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাবেক সভাপতি হামিদুর রহমান হামিদের পুরান ঢাকার ঠাটারী বাজারস্থ বাসা ও অফিস পুলিশ তছনছ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার সময় হামিদকে খুঁজে না পেয়ে তাঁর মাসহ পরিবারের সদস্যদের সাথে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
রাজধানীর মতো সারাদেশেও নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও তাদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ তল্লাশী চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপির সিনিয়র নেতারা। বিএনপি সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীর বাঘা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আরমান মৃধাকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু সাঈদ চাঁদ ও বাঘা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের বাড়ীতে তল্লাশির নামে পুলিশ ভাঙচুর করেছে। নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাাদক আনোয়ার হোসেন বাহার ও সেনবাগ উপজেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা মোস্তফা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হককে পুলিশ গ্রেফতার করে। এছাড়া ৬১ জন নেতাকর্মীর বাড়ী বাড়ী তল্লাশীও চালিয়েছে। চাঁদপুর জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মানিক মিয়া, কচুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি বোরহান উদ্দিন বাহার এবং উপজেলা বিএনপির নেতা লিটনকে ম্যাডামের গাড়ী বহর থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় তল্লাশীর নামে পুলিশের তান্ডবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। অবিলম্বে গ্রেফতার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।



 

Show all comments
  • বুলবুল আহমেদ ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৩:৫৫ এএম says : 0
    বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ