পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : তথ্যপ্রযুক্তি আইনের সমালোচিত ৫৭ ধারাসহ কয়েকটি ধারা বিলুপ্ত করে সেগুলোর বিস্তারিত বিন্যাস সংযোজনের মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রস্তাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। কার্যত আইসিটি আইনের বিধান ঘুরেফিরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে স্থান পেয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনের ধারাগুলো আরো কঠিন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই আইনের সমালোচনা করেছে বিএনপি। দলটির নেতারা বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আইসিটি আইনের আগের চেয়েও খারাপ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ বলেন, গুড সাইন (শুভ লক্ষণ)। আমি যতটুকু জেনেছি, নতুন আইন আরো খারাপ। এর চেয়ে বেশি এখন আর বলতে পারব না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটা নিয়ে ইতোমধ্যে সবাই বলতে শুরু করেছেন। কেবল খোলসটা পরিবর্তন করা হয়েছে, মূল আইনটা থেকেই গেছে। তিনি বলেন, পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ৫৭ ধারা রেখে দেয়া হয়েছে। শুধু নামটা পরিবর্তন করা হয়েছে। একদলীয় শাসন ব্যবস্থার আর কি বাকি থাকল- এমন প্রশ্নের জবারে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বারবার এই কথাগুলো বলছি। অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা বলছেন- দেশে একদলীয় শাসনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আসলে ট্রেডিশনাল ভাষায় বলতে হয়- শুধু বোতল পাল্টানো হয়েছে। মানে নতুন বোতলে পুরানো মদ...। তিনি বলেন, একজন মানুষ যত ভালোই হোক শুধু তার যদি প্রসংশাই হয়, তাহলে সে তো মানুষ থাকে না, সে তো ফেরেশতা হয়। মানুষ মাত্রই সমালোচনা থাকতে পারে। এখানে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলে তো কথাই নেই। তর্কহীন সমাজ কোনো সমাজ নাকি! তাহলে এটা তো মৃত সমাজ। এটা কী ধরনের আইন বুঝি না। এটাকে জংলি আইন ছাড়া কিছু বলা যায় না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইসিটি আইনের ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭ ও ৬৬- এ পাঁচটি ধারা বাতিল করেছে মন্ত্রিসভা। তিনি বলেন, ‘আগে ৫৭ ধারায় জাম্বল ছিল অর্থাৎ ছোট করে লেখা ছিল। এটা এখন বিস্তারিত করা হয়েছে এবং অপরাধের প্রকৃতি অনুযায়ী শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আগে এ আইনে ঘটনার তদন্তের বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না, এটা তা করা হয়েছে। তবে মন্ত্রিপরিষদ জানান, নতুন খসড়া আইনে মানহানিকর তথ্য পরিবেশনের জন্য তিন বছরের কারাদন্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। তিনি জানান, খসড়ায় জাতির পিতা, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা, প্রচারণার মদদ দেয়ার শাস্তি অনধিক ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা অনধিক ৫০ লাখ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডের বিধান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।