পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের উত্তরাঞ্চলের সাথে সমগ্র দক্ষিনাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়কের ওপর নির্ভরশীল।
দেশের ৮ নম্বর জাতীয় মহাসড়ক এটি। কিন্তু মাত্র ১৮ ফুট প্রস্থ এ মহাসড়কটি ৪ লেনে উন্নীত করনের কোন বাস্তব উদ্যোগ এখনো অনুপস্থিত। এ লক্ষে পরিপূর্ণ সমিক্ষা ও নকশা প্রনয়ন শেষ হলেও তহবিল সংকটে কাজ আটকে আছে। বরিশাল বিভাগীয় সদর ছাড়াও পায়রা সমুদ্র বন্দর ও পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সাথে সারা দেশের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাও এ মহাসড়কের ওপর নির্ভরশীল। দক্ষিনাঞ্চলের অপর ৫ জেলার সাথেও সারা দেশের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা এ মহাসড়কের ওপরই নির্ভরশীল।
বছর কয়েক আগে বরিশাল সিটি করপোরেশন মহানগরীর কাশীপুর বাজার থেকে আমতলা মোড় পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার রাস্তা তিন লেনে উন্নীত করেছে সরকারী অর্থায়নে। কিন্তু সড়ক অধিদফ্তরের এ মহাসড়কটি অযাচিতভাবে সিটি করপোরেশেন ৩ লেনে উন্নীত করলেও সে কাজে বরিশাল সড়ক বিভাগকে অবহিতও করা হয়নি। এজন্য সড়ক বিভাগ থেকে কোন পরারমর্শও গ্রহন করা হয়নি।
ফলে প্রায় ৬০কোটি টাকা পানিতে গেছে বলে অভিযোগ আছে। মহাড়কের মূল অংশের ১৮ ফুট ‘ক্যারেজ ওয়ে’র পাশের শোল্ডার ঢেকে সেখানে আয়ারল্যান্ড স্থাপন করায় দূর্ঘটনার ঝুকি বেড়েছে। অভিযোগ আছে মহাসড়কের দু পাশের বিপুল সংখ্যক মেহগনি সহ অন্যান্য মূল্যবান গাছ কেটে সাবাড় করে সিটি করপোরেশনের ঠিাকাদার। কাজের মান নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। ক্ষমতাশীন দলের এক প্রভাবশালী নেতা একাজের একটি বড় অংশের কাজ করায় সড়ক বিভাগ অনেকটা চুপ থাকতেই বাধ্য। মহাসড়কের মূল অংশের দুপাশের বর্ধিত অংশ এত নিম্নমানে তৈরী হয়েছে যে, তাতে কোন ভাড়ী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে শুরুতেই। সে বর্ধিত অংশের মূল রাস্তা থেকে শুরু করে ফুটপাত বেদখল হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। কিছু সরকারী প্রতিষ্ঠানও এ মহাসড়কের কোন কোন অংশসহ ফুটপাথ বেদখল করে আছে।
সরকারী সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের খেলার মাঠের পাশে বরিশাল ফরিদপুর-মহাসড়কের পাশের নবনির্মিত ফুটপাথ ও শোল্ডারের ওপর ‘ওজোপোডিকো’ বহু সংখ্যক বিদ্যুতের খুটি ফেলে প্রায় দখল করে আছে। বিশাল ঐসব বৈদ্যুতের খুটি ফেলার সময় ফুটপাথের অনেক টাইলস পর্যন্ত ভেঙে গেছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করলে তিনি ওজোপাডিকো’র নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিষয়টি অবহিত করে ঐসব খুটি দ্রুত অপসারনের অনুরোধ করেন। তবে এরপরে প্রায় পনের দিন চলে গেলেও বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহসড়কের হার্ড শোল্ডার ও তার ফুটপাত থেকে বিদ্যুতের খুটিগুলো অপসারন করা হয়নি। ফলে প্রতিনিয়তই সেখানে ছোট-বড় দূর্ঘটনা ঘটছে। সন্নিহিত এলাকার অন্তত দশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও এলাকাবাসীর নিরাপদ পথচলাও সেখানে এখন হুমকির মুখে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।