পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফারুক হোসাইন : ৮ ফেব্রুয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ইস্যু করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপির পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা শুরু হয়ে গেছে। ‘রায় নিয়ে’ রাজপথে বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা হলে কঠোর হাতে দমনের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা। একই সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে ‘খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রাখার নীল নকশা হিসেবে’ দ্রুত এই মামলা সম্পন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছে বিএনপি। শুধু তাই নয় ‘খালেদা জিয়া ১৫ দিনের মধ্যে জেলে যাবেন’ প্রতিমন্ত্রীর আগাম মন্তব্য করায় ‘রায়ে পর্দার আড়ালে’ সরকারের হাত রয়েছে বলেও তারা অভিযোগ করছেন। নেতিবাচক রায় হলে রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। সে জন্যই স্থায়ী কমিটির বৈঠক, শরীক দলগুলো সঙ্গে বৈঠক এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিশেষ নির্দেশনা পাঠাচ্ছে বিএনপি। দুই দলের এমন মুখোমুখি অবস্থায় ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে এসএসসিও দাখিল পরীক্ষা। বছরের শুরুতে স্কুল-কলেজ-মাদরাসায় ক্লাস শুরু হয়েছে। আবার শীতের মৌসুমেও দ্রব্যমূল্য আকাশছোঁয়া। আন্দোলনের ছুতো পেলেই সিন্ডিকেট করে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি করা হয়। ফলে ৮ ফেব্রুয়ারি ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরকে হুংকার হুমকি-ধমকিতে মানুষের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি করছে। কারণ অস্থিরতা সৃষ্টি হলে সাধারণ মানুষকে পড়তে হয় চরম ভোগান্তি।
৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণের পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অন্যতম আসামী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সরকার ও সংসদের বিরোধী দলের বিভিন্ন মন্ত্রী ও বিশেষ দূত তাদের বক্তব্যে বিএনপি নেতাকর্মীরা আশঙ্কা করছেন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে আগামী নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। মামলার দ্রুতগতি এবং হঠাৎ করে রায়ের তারিখ ঘোষণায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের মনেও। রায় পরবর্তী করণীয় নিয়ে কৌশল নির্ধারণ করছেন দলের শীর্ষ নেতারা। খালেদা জিয়ার সাথে অন্যায় কিছু হলে প্রতিক্রিয়া দেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজপথে নেমে আসবেন বলে জানা গেছে।
দলীয় সূত্র মতে, রায়ের দিনক্ষণ নির্ধারণের পর ঢাকায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা একাধিকবার বৈঠক করেছেন। অঙ্গসংগঠনের নেতারাও পৃথকভাবে বৈঠক করেছেন। এ নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। সারা দেশে শান্তিপূর্ণ গণজমায়েতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে রায় না দেখে কঠোর কোনো কর্মসূচিতে যাবে না দলটি। রায় নিয়ে রাজপথে আন্দোলনের পাশাপাশি আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতিও নিচ্ছে বিএনপি। গত বৃহস্পতিবার রায়ের তারিখ নির্ধারণের পরপরই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য উপস্থিত আইনজীবীদের নির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট সিনিয়র আইনজীবীরা প্রাথমিক কাজ শেষ করেছেন। রায় নিয়ে বিএনপির ভাবনার বিষয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে যেতে না দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে সরকার। আর এটি করা হলে নির্বাচনের জন্য বিএনপি তৈরি হচ্ছিল, তা বাধাগ্রস্ত হবে। গণতান্ত্রিক পরিবেশ পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে। রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হবে।
অঙ্গসংগঠনকে প্রস্তুত করার পাশাপাশি বিএনপি সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে ২০ দলীয় জোটকেও একই বার্তা দিতে চায় দলটি। আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপির সাথে থাকার জন্য জোটের শীর্ষ নেতারা অঙ্গীকারও করেছেন। আন্দোলনের প্রস্তুতির সাথে সাথে তৎপরতা চলছে কূটনৈতিক পর্যায়েও। মামলায় খালেদা জিয়ার জড়িত না থাকা, অর্থ আত্মসাতের কোনো প্রমাণ না পাওয়া, তার বিরুদ্ধে আদালতে উপস্থাপিত ফাইল ঘষামাজা ও স্বাক্ষর না থাকা ইত্যাদি বিষয়েও অবহিত করা হচ্ছে তাদেরকে।
এদিকে আন্দোলন ও রায় পরবর্তী কৌশল নিয়ে সব স্তরের সাথেই বৈঠকে বসবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ইতোমধ্যে গত শনিবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সাথে বৈঠক করেছেন তিনি। বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে বিএনপি কোন নির্বাচনে অংশ নিবে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। গতকাল একই ইস্যুতে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন জোট নেত্রী খালেদা জিয়া। জোটের শীর্ষ নেতারা খালেদা জিয়ার সাজা দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে বিএনপি যে কর্মসূচি গ্রহণ করবে তার সাথে একাত্মতা প্রকাশ এবং রাজপথে থেকে তা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছেন তারা।
২০ দলীয় জোটের শরীক দল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায়টি রাজনৈতিক রায় হবে। কারণ সরকার বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোটকে নির্বাচনের বাইরে রেখে আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। রায় নিয়ে জোটের শরীক দলের অবস্থান কি জানতে চাইলে পার্থ বলেন, বিএনপি কি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আমরা সেদিকে তাকিয়ে আছি। তারা কি চিন্তা করছে, কি কর্মসূচি দিচ্ছে আগে সেটি দেখতে চাই। আর জোটের শরীক হিসেবে ২০ দলীয় জোট যে কর্মসূচি গ্রহণ করবে আমরা রাজপথে থেকে তা বাস্তবায়ন করবো।
জোটের অন্যতম শরীক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি রেহেনা প্রধান বলেন, খালেদা জিয়ার মামলাকে সরকার ষড়যন্ত্রের নীলনকশা হিসেবে ব্যবহার করছে। মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার কথা বলছে। যাতে ২০ দলীয় জোট আগামী নির্বাচন অংশ না নেয় এবং আওয়ামী লীগ আবারও ৫ জানুয়ারির মতো ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে পারে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হয়তো ভুলে গেছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাকে ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হবে না। ২০ দলীয় জোটের প্রধানকে যদি মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় তাহলে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি বিএনপির নেতৃত্বে সারাদেশে আন্দোলন গড়ে তুলবে।
দল ও জোটের শরীকদের পাশে রাখার পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতাও জোরদার করছে বিএনপি। আগামীকাল বিকেল ৪টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ১০০টি দেশের কূটনীতিক এবং ২০টি বিদেশি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবে দলটি। বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ১০০টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং ২০টি বিদেশি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ইতোমধ্যে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব, তুরস্ক, ইরান, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেদারল্যান্ডস। এছাড়া ইউএনডিপি, জাইকা, ইউএসএইড, এডিপি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ ২০টি বিদেশি সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানের প্রধানদেরও বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বিএনপি সূত্র জানায়, বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার ভিত্তি সম্পর্কে ব্রিফ করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মামলায় খালেদা জিয়ার জড়িত না থাকা, অর্থ আত্মসাতের কোনো প্রমাণ না পাওয়া, তার বিরুদ্ধে আদালতে উপস্থাপিত ফাইল ঘষামাজা ও স্বাক্ষর না থাকা বিষয়ে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করবেন বিএনপি মহাসচিব। একই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির অবস্থানও পরিষ্কার করা হতে পারে। দলের পক্ষ থেকে কূটনীতিকদের অবহিত করা হবে- নির্বাচনের জন্য বিএনপির প্রস্তুতি বাধাগ্রস্ত করতেই খালেদা জিয়াকে সরকার মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এটি করা হলে নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশও পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানানো হবে।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ফের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন খালেদা জিয়া। ৮ ফেব্রুয়ারির আগে যে কোন দিন দলের নির্বাহী কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করে দলের নেতাকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, মামলায় যদি ন্যায়ভিত্তিক সুবিচার, সাক্ষীপ্রমাণের ভিত্তিতে রায় দেয়া হয় তাহলে তিনি (খালেদা জিয়া) বেকসুর খালাস পাবেন। কিন্তু সরকার বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে আদালতকে ব্যবহার করছে। বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আবার একটি প্রহসনের নির্বাচন করতে মরিয়া সরকার। এ কারণে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা অস্বাভাবিক গতিতে পরিচালিত হয়েছে। তড়িঘড়ি করে রায়ের দিন ঘোষণা করা হয়েছে, যা কখনও আইনি কর্মকান্ড হতে পারে না। আমরা মনে করি এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মকান্ড। খালেদা জিয়াকে যদি অন্যায়ভাবে কোনো রায়ের মাধ্যমে জেলে দেওয়া হয় তাহলে দলের সিনিয়র নেতারা সকলে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করবে বলে জানান তিনি।
খালেদা জিয়াকে অন্যায় সাজা দিয়ে কারাগারে নিলে নেতাকর্মীরা ঘরে বসে থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়া হলে আমরা কি তখন কান্নাকাটি করবো? ঘরে বসে থাকবো? না, খালেদার মুক্তির আগেই সরকারের পতন ঘটাবো। দেশ তখন কারাগারে পরিণত হবে। বিএনপি আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি সরব হলে সিডরের চেয়েও ভয়ঙ্কর হবে।
নজিরবিহীনভাবে তাড়াহুড়ো করে মামলা শেষ করা হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শেষ দিনে আইনজীবীরা আরো কথা বলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাদের কথা বলার কোনো সুযোগ না দিয়ে বক্তব্য শেষ করা হয়েছে এবং মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কেন এই জোর করা? আইনের স্বাভাবিক যে গতি তা বন্ধ করে দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে কেন এই রায় দেওয়ার চেষ্টা? কারণ একটাই বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
দলের নেতাকর্মীরা ও জনগণ প্রস্তুত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেনতেন রায় দেওয়া হয়। মানুষ তা মেনে নেবে না। তারা পথে নেমে আসবে। সঠিক বিচার হতে হবে, ন্যায়বিচার হতে হবে। অন্যথায় জনগণ প্রস্তুত আছে। দলের নেতাকর্মীদের তিনি প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা নিজেরা প্রস্তুত থাকুন, জনগণকে প্রস্তুত করুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।