Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ‘ষড়যন্ত্র’ ছিল -ছাত্রলীগ সভাপতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ৪:২৩ পিএম

সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ‘ষড়যন্ত্র’হিসেবে দেখছেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। তিনি বলেন, সাত কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্তি বাতিলের আন্দোলনে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে’র পেছনে অনেক ষড়যন্ত্র ছিল।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্রলীগ ছাড়াও ‘ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ নামক এই জোটে রয়েছে জাসদ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, ছাত্রলীগ (বিসিএল), বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র সমিতি, বাসদ ছাত্রলীগ, জাতীয় ছাত্র ঐক্য ও জাতীয় ছাত্র কেন্দ্র।

এসময় ছাত্রলীগ সভাপতি আরও বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি প্রতিরোধ ও প্রতিশোধ নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেছেন জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম সুমন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘গত ১৫ জানুয়ারি সাত কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলের বিষয়ে কিছু শিক্ষার্থী মাননীয় উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। তারা উপাচার্যকে উদ্দেশ করে অশালীন স্লোগান দিতে থাকে। পরে উপাচার্য তাদের ভেতর থেকে পাঁচ জন প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অসম্মতি জানিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অশালীন স্লোগান দিতে থাকে। ফলে বিভিন্ন হল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসে ভিড় জমাতে থাকে। একপর্যায়ে দুই দল সাধারণ শিক্ষার্থীর মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়। যার ফলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পণ্ড হয়ে যায়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কতিপয় নামধারী আন্দোলনাকারী বাম ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়।’

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘এরপর ঢাবি কর্তৃপক্ষ ৫০ জন ভাঙচুরকারীর নামে অজ্ঞাত মামলা করে। যার ফলশ্রুতিতে ২৩ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অপ্রীতিকর ও ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখা যায় এই দুই সংগঠনের নেতারা ঢাবি উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং তার সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়, লাঞ্ছিত করা হয়। সেই খবর সাধারণ শিক্ষার্থীদের কানে পৌঁছালে তারা উপাচার্যকে উদ্ধার করেন। যার ফলে আন্দোলনরত দুই দলের নেতারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতারা দুই পক্ষের সংঘর্ষকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নেয়। যার ফলে আন্দোলনরত দুই বাম দলের নেতারা ছাত্রলীগের নেতাদের ওপর চড়াও হয়। এতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন আহত হন। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ছাত্রী বোনদের ওপর নির্যাতন চালায়।’

সংবাদ সম্মেলনে ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। ঘোষিত তিন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ৩১ জানুয়ারি সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র সমাবেশ, ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসবিরোধী মানববন্ধন এবং ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা।

ছাত্রলীগের দাবির মধ্যে রয়েছে- শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও প্রশাসন ভবন ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ, সক্রিয় সব ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা ও দোষীদের শাস্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে অবিলম্বে পরিবেশ পরিষদ চালু করা, অবিলম্বের ডাকসু নির্বাচন তফসিল ঘোষণা, বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজ নিয়ে বিরাজমান সমস্যা দ্রুত সমাধান।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। উপস্থিত ছিলেন জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুল ইসলাম সুমন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল)'র সভাপতি শাহজাহান আলী সাজুসহ ছাত্র সংগ্রামের নেতৃবৃন্দ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছাত্রলীগ

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ