মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারের নেত্রী সুচিকে পরামর্শ দেবার জন্য যে আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা প্যানেল গঠন করা হয়েছে সেটির সদস্য এবং মার্কিন কূটনীতিক বিল রিচার্ডসন পদত্যাগ করেছেন।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এই প্যানেলের ভূমিকা ও অং সান সুচি'র 'সদিচ্ছা' নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মি. রিচার্ডসন।
এই প্যানেলটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মি: রিচার্ডসন এটিকে 'লোক দেখানো' বলে উল্লেখ করেছেন।
মিয়ানমার সরকার মি: রিচার্ডসনকে এ প্যানেলে যোগ দেবার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, রোহিঙ্গাদের দুর্দশার বিষয়টি আন্তরিকতার সাথে আলোচনা করা হয়নি।
তিনি অং সান সুচি'র ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন।
একসময় ক্লিনটন প্রশাসনে কাজ করা এই অভিজ্ঞ কূটনীতিক বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে মিজ সুচি'র 'নেতৃত্বে নৈতিকতার ঘাটতি' রয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রিচার্ডসন বলেছেন, সোমবারে এক বৈঠক চলার সময় মিজ সু চি'র সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়েছে।
সোমবারের বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে রিপোর্ট করতে গিয়ে মিয়ানমারে আটক হওয়া রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের আটক হবার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মি: রিচার্ডসন।
এই প্রসঙ্গের অবতারণা করতেই মিজ সুচি 'ক্ষিপ্ত' হয়ে যান এবং এ বিষয়ে কথা বলা 'অ্যাডভাইজরি বোর্ডের কাজ নয়' বলেও তিনি সাফ জানিয়ে দেন।
এছাড়া এই প্যানেল নামে মাত্র থাকলেও কাজের কাজ কিছু না করে মূলত সেদেশের সরকারকে তুষ্ট রাখা বা মনোরঞ্জন করাই মূল উদ্দেশ্য বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
তার ভাষায় সরকারের জন্য 'চিয়ার-লিডিং স্কোয়াড' হিসেবে কাজ করবেন না বলেই তিনি পদত্যাগ করেছেন।
অং সান সু চি উদ্যোগে গত বছর এ আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ড গঠন করেছিল মিয়ানমার সরকার।
এর উদ্দেশ্য ছিল রাখাইন রাজ্যের স্থিতিশীলতার জন্য সুপারিশ বাস্তবায়ন করা।
১০ সদস্য বিশিষ্ট এ উপদেষ্টা বোর্ডের পাঁচজন বিদেশি সদস্য।
মি: রিচার্ডসনের পদত্যাগের পর এখনো মিয়ানমার সরকারের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
মিয়ানমারে যে নৃশংসতা চলছে, সেটিকে জাতিসংঘ 'জাতিগত নিধনের একটা ধ্রুপদী উদাহরণ' হিসেবে বর্ণনা করেছে।
সূত্র: বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।