পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পরিকল্পনা রাজ্য সরকারকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। বিজেপি প্রজাতন্ত্র দিবসে ‘ভারত মাতা পূজা’র পরিকল্পনা করেছে। তাতে ভারতমাতার জন্য পূজা ও হওয়ান করা হবে। ভারত মাতা হচ্ছে অবিভক্ত ভারত উপমহাদেশের মানচিত্রের বিরুদ্ধে এক কল্পিত নারী চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রশাসন কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে তা নিয়ে বিপাকে পড়েছে। কারণ গেরুয়া দলের সশস্ত্র মিছিলসহ অন্যান্য কর্মসূচির মত পূজা ও প্রার্থনা কর্মসূচিকে বন্ধ করা যাবে না। রাম নবমীতে এ ধরনের মিছিল হয়েছিল।
যদিও বিজেপির কর্মসূচি উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে বলে রাজ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে , তা সত্তে¡ও কীভাবে পরিস্থিতির মোকাবেলা করা হবে তা নিয়ে তারা বিভ্রান্ত। কারণ ‘ভারতমাতা’ প্রার্থনা বন্ধ করা হলে তা দেশপ্রেমহীনতা বলে দেখা হতে পারে। রাজ্য গোয়েন্দা দফতর যেসব খবর পেয়েছে তাতে বোঝা যায় যে ভারতমাতার পিছনে থাকা মানচিত্র, যাতে পাকিস্তান, বাংলােেদশ ও আফগানিস্তান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, তা বাংলােেদশের সীমান্ত এলাকাগুলোতে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে গোয়েন্দা শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, দলীয় নেতারা যদি দেশ বিভাগ এবং ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে তাদের উপলব্ধির ব্যাপারে গরম কথাবার্তা বলেন তাহলে উত্তেজনা সৃষ্টি ও গোলযোগ ঘটতে পারে।
রাজ্য প্রশাসন বিজেপির কর্মসূচির ব্যাপারে তীক্ষè নজর রাখতে যাচ্ছে।
উত্তর চব্বিশ পরগণার তৃণমূল কংগ্রেসের এক এমএলএ বলেন, আমরা এটা বন্ধ করতে পারি না যদিও আমাদের কাছে আগাম খবর আছে যে বিজেপি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে। কারণ,এ ধরনের কর্মকান্ড আমাদের কাছে ভুল বার্তা দেবে। আমরা তাদের ফাঁদে পড়ব না।
তৃণমূল কংগ্রেস তাদের ছেলেদের রাস্তায় নামানো ও বিজেপি সমর্থকদের চেয়ে তাদের সংখ্যা যাতে বেশি হয় তা নিশ্চিত করবে। ইতোমধ্যে মাঠে সমর্থকদের জড়ো করতে ও বিজেপির ভারতাত্মা দিবসের পাল্টা জবাব দিতে রাজপথে সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এদিকে ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতা বিষয়ে মূকনাট্য ও সহিষ্ণুতার থিম তুলে ধরার রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা এদিনটিতে বড় ঘটনা হতে যাচ্ছে। কেন্দ্র দিল্লীতে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে মূকনাট্যের অংশগ্রহণ নাকচ করে দিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি একে বৈষম্যমূলক ও তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের প্রতি একটি হামলা হিসেবে দেখছেন। তবে তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে মূকনাট্য এবং ধর্মনিরপেক্ষতায় ঐক্যের থিমটি রাজ্যের কুচকাওয়াজের প্রধান থিম করার সিদ্ধান্ত নেন।
তৃণমূল কংগ্রেস দেরিতে হলেও তাদের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের তুষ্ট করার অভিযোগ ঝেড়ে ফেলতে চাইছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।