Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আপনারা এখনো ইরাক-আফগান ছাড়ছেন না কেন : এরদোগান

কুর্দিদের বিরুদ্ধে অভিযান শিগগিরই শেষ হবে : তুরস্ক

| প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ার ভূখন্ড দখলের পরিকল্পনা তুরস্কের নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কেন আফগান ও ইরাক থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করছে না সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। গত সোমবার রাজধানী আংকারায় একটি অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট এরদোগান এসব কথা বলেন। এরদোগান বলেন, তুরস্ক সিরিয়ায় কোনো সন্ত্রাসী দেখতে চায় না। খুব তাড়াতাড়িই আফরিন অঞ্চলে চলমান অপারেশন শেষ হবে। অন্য কোনো দেশের ভূখন্ড দখলের পরিকল্পনা তুরস্কের নেই। লক্ষ্যসমূহ পরিপূর্ণ হলেই চলমান অপারেশন শেষ হবে। তিনি বলেন, চলমান অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চের লক্ষ্য কুর্দিস নয়, এই অঞ্চলের সন্ত্রাসীদের টার্গের করে এ অপারেশন চালানো হচ্ছে। এটা খুব স্পষ্ট, কুর্দি নাগরিকদের সাথে আমাদের কোনো সমস্যা নেই; এটি কুর্দিদের বিষয় নয়। এটি সিরিয়ার সন্ত্রাসীদের আস্থানা ধ্বংসের বিষয়। অপরদিকে, উত্তর সিরিয়ায় কুর্দি ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযান শিগগিরই শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে তুরস্ক। অভিযনের তৃতীয় দিনে গত সোমবার উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় আফরিনের কয়েকটি গ্রাম তুর্কি বাহিনী দখল করে নিয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের গণমাধ্যম। এদিন আংকারা থেকে টেলিভিশনে সরাসরি প্রচারিত এক ভাষণে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, আমরা আফরিনকে মুক্ত করেই ছাড়ব। আমরা পিছু হটব না। বিষয়টি নিয়ে আমরা রুশ মিত্রদের সঙ্গে কথা বলেছি; আমাদের একটি চুক্তি আছে। কুর্দি যোদ্ধাদের নির্মূল করতে গত শনিবার থেকে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অভিযান চালাচ্ছে তুর্কি বাহিনী। সিরিয়ায় ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মি’ নামে পরিচিত তুরস্কপন্থি বিদ্রোহী গোষ্ঠী তুরস্কের এ সামরিক অভিযানে সহায়তা করছে। গত সোমবার সিরিয়ার এ বিদ্রোহীদের নিয়েই তুরস্কের সেনারা প্রতিরোধবিহীনভাবে আফ্রিনের গ্রামগুলো দখল করেছে। কুর্দি ওয়াইপিজি পরিচালিত দল ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস’ (এসডিএফ) তুরস্কের এ অভিযানে নারী ও শিশুসহ ১৮ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার দাবি করেছে। এসডিএফ মুখপাত্রের বরাত দিয়ে গত সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, অভিযানে আরও ২৩ জন আহত হয়েছে। তুরস্ক সরকার কুর্দি ওয়াইপিজি মিলিশিয়াদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে গণ্য করে। তবে এই যোদ্ধাদের অনেকেই ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। আফরিন প্রদেশের বেশিরভাগ এলাকা ওয়াইপিজির নিয়ন্ত্রণে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত কুর্দি অবস্থানগুলোতে তুরস্কের অভিযানের ফলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আঙ্কারার উত্তেজনা সৃষ্টির আশংকা বাড়ছে। আনাদোলু, বিবিসি, রয়টার্স।



 

Show all comments
  • আবু নোমান ২৪ জানুয়ারি, ২০১৮, ৩:২৬ এএম says : 0
    যুক্তরাষ্ট্রকে অনতিবিলম্বে মধ্যপ্রাচ্য ছেড়ে যেতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • তামান্না ২৪ জানুয়ারি, ২০১৮, ৫:৪৬ পিএম says : 0
    মুসলীম দেশগুলোকে সাথে নিয়ে এরদোগানকেেএগিয়ে যেতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • নোমান ২৬ জানুয়ারি, ২০১৮, ১১:২১ এএম says : 0
    তুরকীরা বুঝতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্রের অশান্তির শয়তানি কুটচাল।।।ধন্যবাদ এরদোয়ান।।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এরদোগান


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ