মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) বলেছে, আশ্রয় শিবির থেকে ফিরে যাওয়ার পর রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আরও বেশি বিপদে পড়বে। দেশে ফেরার পর মিয়ানমার সরকার তাদের নিরাপত্তা দেবে না- এমন অভিযোগ করে আরসা আরও বলেছে, এর মাধ্যমে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের দেশে নিয়ে নিজেদের শরণার্থী শিবিরগুলোতে বন্দি করে ফেলতে চাচ্ছে। গত রোববার এক বিবৃতিতে এসব অভিযোগ করে আরসা। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কীভাবে ফেরত পাঠানো হবে- তা চূড়ান্ত করে গত ১৬ জানুয়ারি একটি চুক্তিতে সই করেছে দু’দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ। তবে প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের এ চুক্তিকে ধোঁকাবাজি বলে মনে করছে আরসা। পার্সটুডের এক প্রতিবেদনে আরসার এ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন পরিকল্পনা প্রসঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত বলেন, মিয়ানমারে এখনো রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা হলো তারা কোথায় যাবে? তারা জীবনযাপনের সব উপকরণ হারিয়ে ফেলেছে। ঘর-বাড়ি, জমি ও ফসল সবই গেছে। তিনি আরো বলেন, সর্বস্বহারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে প্রকৃত অবস্থা জানাতে হবে। এরপর তারা ফিরতে রাজি হলেই কেবল তাদেরকে সেখানে পাঠানো যেতে পারে। রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়াটা হতে হবে স্বেচ্ছায়। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোয় মানবিক পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি আল-জাজিরা টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কয়েক মাস পরই বর্ষাকাল শুরু হবে। বর্ষাকালে সেখানকার জনাকীর্ণ ক্যাম্পগুলোতে ভূমিধসের কারণে আমরা হয়তো অনেককেই হতাহত হতে দেখবো। অতিবৃষ্টির কারণে নানা ধরনের রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর জনাকীর্ণ অবস্থার উন্নতি ঘটাতে সহযোগিতা করার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সন্ত্রাস দমনের নামে রাখাইন রাজ্যে হিংস্র অভিযান চালায়। এ সময় তারা নির্যাতন, বাড়িঘরে আগুন ও গণধর্ষণ চালালে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসতে শুরু করে। এ অভিযান শুরুর পর থেকে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা নতুন করে আশ্রয় নিয়েছে। এখনও আসছে। তাদের ফেরত নেয়ার বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের পরও সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ঢুকছে রোহিঙ্গারা। আল-জাজিরা, পার্সটুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।