গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
একদিনের ব্যবধানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরও এক কর্মকর্তাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মো. মোতালেব হোসেন। এ ছাড়া আরও একজন কর্মকর্তার বাসায় গিয়ে অপরিচিত ব্যক্তিরা খোঁজখবর নিয়ে এসেছে। এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও খোঁজখবর নিচ্ছেন।
গতকাল রোববার সকালে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ শিক্ষামন্ত্রীর বাসায় গিয়ে এ বিষয়ে কথা বলেন।
জানা যায়,শনিবার বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে তুলে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে হাজারীবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি-জিডি করা হয়েছে।
হাজারীবাগ থানা পুলিশ জানিয়েছে, বছিলা ব্রিজের কাছে মোতালেব হোসেনের বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে। শনিবার বিকেলে তিনি ভবনের নির্মাণ কাজ দেখতে যান। এ সময় তিন-চারজন অজ্ঞাত ব্যক্তি নির্মাণাধীন ভবনের নিরাপত্তারক্ষীর কাছে মোতালেব সম্পর্কে জানতে চান। মোতালেব ছাদে আছেন জানার পর তারা সেখানে যায়। বাড়ি ভাড়া নেয়ার কথা বলে তাকে নিচে নামিয়ে এনে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় তারা।
মোতালেবের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি। রাজধানীর গ্রিন রোডে সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারে তিনি থাকতেন।
এ ব্যাপারে হাজারীবাগ থানার ওসি মীর আলিমুজ্জামান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গত শনিবার শিক্ষামন্ত্রীর পিও মো. মোতালেব হোসেনকে রাজধানীর বসিলা এলাকা থেকে কয়েকজন ব্যক্তি মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যান। মোতালেব এখানে তাঁর নির্মাণাধীন বহুতল বাড়ির কাজ তদারক করতে গিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে হাজারীবাগ থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে ওই দিনই একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
একই দিনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরেকজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু আলম খানের বাসায় কয়েকজন ব্যক্তি খোঁজখবর নিয়ে আসেন বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেষণে কর্মরত উচ্চমান সহকারী নাসিরউদ্দিন নিখোঁজ হন। তিনি খিলক্ষেত এলাকার লেকসিটি কনকর্ডে থাকতেন।
এই তিন কর্মকর্তা ও কর্মচারী গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বনভোজনে বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।