নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দীর্ঘ পথচলার অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের ঝুলি। সিনিয়র ক্রিকেটারদের সেই অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞার ওপরই ভরসা রাখছেন খালেদ মাহমুদ। সিদ্ধান্ত গ্রহণে দলের সিনিয়রদের ভাবনাকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর।
সাবেক কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের শেষ সময়টায় দলের অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গে তার সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল বলে শোনা যায়। বিশেষ করে সিনিয়র ক্রিকেটারদের কয়েকজনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল শীতল। হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ার পর ড্রেসিং রুমের হাওয়া স্বস্তিদায়ক হওয়ার কথা আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়েছেন অনেকেই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুক্রবার জয়ের পর সাকিব আল হাসান বলেছেন, স্বাধীনতা পাওয়ার পাশাপাশি এখন তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণেও ভূমিকা রাখতে পারছেন।
দলে সিনিয়রদের দায়িত্ব বোঝাতে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের আগে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান বলেছিলেন, ‘মাশরাফি-সাকিবই এবার কোচ।’ টিম ম্যানেজমেন্টও এবার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সিনিয়রদেরই। দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদের মতে, সিনিয়রা এটা অর্জন করেই নিয়েছেন, ‘মাঠের সিদ্ধান্ত আসলে ক্রিকেটারদেরকেই নিতে হবে। তারা সবাই বেশ অভিজ্ঞ। আমার মনে হয়, সাকিব, তামিম, মাশরাফি, মুশফিক, রিয়াদদের মিলিয়ে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে এখন প্রায় ৬০ বছরের অভিজ্ঞতা আছে। সিদ্ধান্ত নেবার সামর্থ্য অবশ্যই তাদের আছে। ঢাকা লিগে বলেন বা জাতীয় দলে, এই ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই ঘুরেফিরে অধিনায়কত্ব করেছে।’
মাঠের বাইরে থেকে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে অধিনায়ককে দ্বিধায় ফেলে দেওয়ার নীতিতে বিশ্বাসী নন মাহমুদ, ‘মাঠের বাইরে থেকে আমি যে বোলারকে বল করাতে বলব, অধিনায়ক হয়তো তার ব্যাপারে খুব একটা আত্মবিশ্বাসী নয়। সেক্ষেত্রে যদি আমি বার্তা পাঠাই, তখন অধিনায়কের মনে একটা সংশয় তৈরি হয়। সেই সংশয় আমি তৈরি করতে চাই না। মাশরাফি অনেক অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটার, সাকিবও অভিজ্ঞ। তাদের দুজন মিলে মাঠের সিদ্ধান্ত নেয়াটাই ভালো। আমি মনে করি যে, এটা আসলে ক্রিকেটারদেরই খেলা। ওরা মাঠে গিয়ে খেলে বলেই বাংলাদেশ ভালো করে। তাদের সিদ্ধান্ত তো থাকবেই। তাদের একটা দায়িত্ব তো থাকবেই।’
আগের দিন সাকিব বলেছিলেন, দলের ড্রেসিং রুমে এখন সবাই অনেক বেশি সম্পৃক্ত। একই কথা প্রতিধ্বনিত হলো মাহমুদের কণ্ঠেও, ‘আমি যেটা মনে করি, ড্রেসিংরুম এখন অনেকটা আত্মবিশ্বাসী। নিজেদের মধ্যে পরামর্শগুলো ভালো হয়। আমরা চেষ্টা করি সবকিছুতেই ক্রিকেটারদেরকে সম্পৃক্ত রাখতে। তাদেরকে আমরা সেই দায়িত্বটা দিয়েছি। ড্রেসিংরুম একই আছে, বাংলাদেশ দলে খুব একটা পরিবর্তন হয় না। স্বাধীনতার কথা যেটা বলা হয়েছে, সেই জিনিসটা হয়তো একটু বেশি আছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।