পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছুটির ঘণ্টা বেজে গেছে। স্কুল গেইটে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে তালা। কিছুক্ষণ পর ভেতর থেকে আসছে কান্নার শব্দ। পথচারীরা এগিয়ে গিয়ে দেখেন স্কুলে ভেতর কাঁদছে স্মৃতি মণি ও মণি দে নামে তৃতীয় শ্রেণির দুই শিশু শিক্ষার্থী। পরে তাদের তালাবদ্ধ স্কুল থেকে উদ্ধার করে আনা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল (বৃহস্পতিবার) নগরীর বৌদ্ধ মন্দির মোড়ের অদূরে ন্যাশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিভাবকরা বলছেন, স্কুল ভবন সড়কের পাশে হওয়ায় ওই দুই শিশুর কান্না শোনা গেছে। তা না হলে শনিবার পর্যন্ত দুই ছাত্রীকে স্কুলেই থাকতে হতো। এক পথচারীর কারণে আটকে পড়ার প্রায় দেড় ঘন্টার মধ্যে ওই দুই শিশুকে উদ্ধার করা গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, থানা শিক্ষা কর্মকর্তা শর্মিষ্ঠা মজুমদার, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদরুন নেসা। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও উদ্বিগ্ন হয়ে ছুটে আসেন স্কুলে।
মোঃ শেরখান নামের এক কিশোর জানান, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ শুনতে চাই দু’টি শিশু অস্বাভাবিকভাবে কান্না করছে। কান খাড়া করে শুনলাম। স্কুল ভবনের দিকে মনে হলো। মূল ফটক বন্ধ। পেছন দিয়ে দেয়াল টপকে কয়েকজন শিশুসহ আমরা ঢুকলাম। তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করলাম। আমি নিজে এ স্কুলের ছাত্র ছিলাম। মেয়ে দুটি উদ্ধার না হলে শুক্রবারও আটকা থাকত। বড় অঘটন ঘটতে পারত। খবর পেয়ে বিমান অফিস এলাকা থেকে স্কুলে ছুটে আসেন স্মৃতি মণির মা ফিরোজা বেগম। তিনি বলেন, মেয়ে বাসায় না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। পরে শুনি আমার মেয়ে স্কুল আটকা পড়েছে। সারা শরীর কাঁপছিল।
প্রধান শিক্ষিকা জানান, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী আছে। এর মধ্যে তৃতীয় শ্রেণিতে আছে ১৫০ জন। দোতলায় তাদের শ্রেণিকক্ষ। আমাদের শ্রেণিকক্ষগুলো খোলা থাকে। ভবনের ফটকে কলাপসিবল গেটে তালা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, দুই শিশুর সঙ্গে কথা বলে জেনেছি অন্য ছাত্রছাত্রীরা যখন ছুটি শেষ বাড়ি ফিরে যাচ্ছিল তখন তারা ফুচকা কিনে এনে খাচ্ছিল। আয়া তাদের দেখেনি। তাই ভবনের কলাপসিবল গেটে তালা দিয়ে যান। বেলা ১টা ৩০ মিনিটে স্কুল ছুটি হওয়ার পর তালা দেওয়া হয়। বিকাল ৩টা নাগাত শিশু দু‘টিকে উদ্ধার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।