Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গৌরনদীতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ১০, বোমা উদ্ধার

গৌরনদী (বরিশাল) গৌরনদী উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ৬:১১ পিএম

চাঁদা দাবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বড়দুলালী গ্রামে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী হামলা-পাল্টাহামলা, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয় পক্ষের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ সময় ১টি বোমার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে গৌরনদী থানার ওসি মনিরুল ইসলাম একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত একটি বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিশ। গুরুতর আহত ২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছ।
স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল হাওলাদার (২৪) উপজেলার বড়দুলালী গ্রামে পালরদী নদীতে দেশীয় বালু উত্তোলন মেশিন দিয়ে বালু ভরাটের ব্যবসা করে আসছিলো। সম্প্রতি বড়দুলালী গ্রামের জানে আলমের ডোবা ভরাটের কাজ নেয়। গত মঙ্গলবার রাসেল ভরাট কাজ শুরু করেন। ভরাট কাজকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবলীগ নেতা সোহরাব বেপারী, সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মামুন প্যাদাসহ কতিপয় যুবলীগ নেতাকর্মীর সঙ্গে তাদের ঝগড়াঝাঁটি হয়। এর জের ধরে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘণ্টাব্যাপী হামলা-পাল্টাহামলা, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বালু উত্তোলন মেশিনের ১৫টি পাইপ কেটে ফেলা হয়েছে। হামলা ও সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী সোহরাব বেপারী (৪০), মামুন প্যাদা (৩৫), তার চাচা শ্বশুর সোহাগ বেপারী (৩৬), সমর্থক লিটন হাওলাদার(২০), সাইদুল বেপারী (২৮), ফিরোজ সরদার (৩৮), ছাত্রলীগ নেতা রাসেল হাওলাদার (২৮), তার মা হাসিনা বেগম(৫০), সমর্থক খলিল খন্দকার (৩৫), আরিফ হোসেন(২৫)সহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় সোহাগ বেপারীকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও সোহরাব বেপারীকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাসেল হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, বার্থী ইউনিয়নের বড়দুলালী গ্রামে আমি বালু ভরাটের কাজ নেই। যুবলীগের সদস্য মামুন প্যাদা, তার সহযোগী সোহরাব বেপারীকে নিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমার ওপর হামলা করে।
চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ কর্মী সোহরাব বেপারী বলেন, আমি ও রাসেল যৌথভাবে বালু ভরাটের ব্যবসার কাজ শুরু করি। ব্যবসার অংশ দাবি করলে ঝগড়াঝাঁটি হয়।
সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মামুন প্যাদা বলেন, চাঁদা দাবির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে তিনি একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনাস্থল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় অবিস্ফোরিত একটি বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে।



 

Show all comments
  • Mizanur Rahman ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ৬:২১ পিএম says : 0
    বোমা বাজি তো শুধু বিরোধী দলের লোকেরা করে ! আওয়ামীলীগের লোকতো সব সোনার ছেলে ! এখন এদের কাছে বোমা পাওয়া গেল কেন?????
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংঘর্ষ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ