মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : সদ্য সমাপ্ত বছরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এ তথ্যের সুবাদে এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে ক্ষেপে যেতে পারেন। এর ফলে নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়তে পারে। অভ্যন্তরীণ চাহিদার ফলে চীনে আমদানির পরিমাণ বাড়ায় দেশটির বৈশ্বিক উদ্বৃত্ত কমে যাওয়া সত্তে¡ও বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির সঙ্গে তাদের উদ্বৃত্ত বৃদ্ধি পেল। শুক্রবারে প্রকাশিত উপাত্তে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির রফতানি ও আমদানির পার্থক্য বেড়ে ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতির দেশটির বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৫৮০ কোটি ডলারে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প দুই দেশের বাণিজ্য ভারসাম্যের বিষয়টি নিয়ে সমালোচনায় মুখর। তিনি মনে করেন, এর কারণ হচ্ছে বেইজিংয়ের অন্যায্য নীতি এবং তার ধারণা, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে চাকরির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে। এমনকি একবার তিনি বেইজিংয়ের নীতিকে ‘ধর্ষণ’ বলে আখ্যাও দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের এ ধরনের মন্তব্য এবং অর্থনীতিতে জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। উল্লেখ্য, জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ ট্রাম্প নাফটা চুক্তি থেকে নিজের দেশকে সরিয়ে নেয়া এবং প্রতিবেশী কানাডার সঙ্গে আরো একটি চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করার হুমকি দিয়েছেন। তবে একসময় রেসলিংসহ টেলিভিশনে নানা রিয়েলিটি শো করে বেড়ানো ট্রাম্প বাণিজ্য ভারসাম্য কমানো না হলে চীনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের অব্যাহত হুমকি দিলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা নেননি। নভেম্বরে ট্রাম্পের বেইজিং সফরের সময় দেশ দুটি ২৪ হাজার কোটি ডলারের বেশি বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দেয়, যা ট্রাম্পের বাণিজ্যবিষয়ক ক্ষতে কিছুটা উপশমের কাজ করে। তবে অনবরতভাবে চীনের উদ্বৃত্ত বাড়তে থাকায় এর বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নেয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছর চীনের মেধাস্বত্ব নীতি অনুসরণ বিষয়ে একটি বড় তদন্তের ফলাফল প্রকাশ করার কথা যুক্তরাষ্ট্রের। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে নতুন করে শুল্ক আরোপ এবং তদন্ত শুরু হলেও এখন পর্যন্ত চীন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানির বিরুদ্ধে বড়সড় কোনো প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তবে ঐতিহাসিকভাবে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে শুল্ক আরোপের বিরুদ্ধে চীন ইটের বদলে পাটকেলÍ এ রকম ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। তবে এটি নিশ্চিত নয়, বর্তমান অবস্থায় চীনের নেতারা কতদিন ধৈর্য ধারণ করবেন। হংকং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের গ্রেটার চায়না এবং নর্থ এশিয়ার জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ডিং সুয়াং বøুমবার্গ নিউজকে বলেন, একটি গুরুতর অনিশ্চয়তা হচ্ছে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য বাণিজ্যিক দ্ব›দ্ব। এএফপি, বøুমবার্গ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।