Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিশুদের অবস্থা উদ্বেগজনক

মিয়ানমার আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা

| প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারের আশ্রয় শিবিরে বর্তমানে অবস্থানরত বা আটকে থাকা ৬০ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর দুর্দশার দিকে ঠিকমতো নজর পড়ছে না কারো। মধ্য রাখাইনের ময়লা ও আবর্জনাপূর্ণ স্থানে অবস্থিত এসব রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অবস্থানরত শিশুরা ভয়ানক উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে দিনাতিপাত করছে বলে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে ইউনিসেফ। এতে বলা হয়, ইউনিসেফের সহযোগীরা ওই ক্যাম্পে এখন পর্যন্ত ২০ জনের মতো পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া শিশুদের সন্ধান পেয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে পরিবার বিচ্ছিন্ন শিশুদের সংখ্যা কমপক্ষে ১০০ জনের বেশি হবে। এদের বেশির ভাগই আবার উত্তর রাখাইনে আটকে আছে। যেখানে ইউনিসেফের সহযোগীরা নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রবেশ করতে পারছে না। প্রায় এক মাসব্যাপী মিয়ানমার সফরের ভিত্তিতে এসব কথা সাংবাদিকদের বলেন ইউনিসেফের মুখপাত্র মারিক্সি মেরকাডো। তিনি রাখাইনের পরিস্থিতির ভয়াবহ চিত্রের কথা উল্লেখ করে বলেন, ২৫শে আগস্টের পূর্বে ইউনিসেফ রাখাইনের ৪৮০০ অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুকে সেবা দিচ্ছিলো। তাদের অপুষ্টির মাত্রা উদ্বেগজনক। সহিংসতা পরিস্থিতির পর থেকে সেসব শিশুকে আর সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় তাদের জীবন হুমকির মুখে রয়েছে। মেরকাডো আরো বলেন, লুটপাট, ধ্বংসযজ্ঞ এবং প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার কারণে আমাদের বহিঃবিভাগীয় সেবা প্রদানের ১২টি কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। জাতিসংঘের সাহায্য প্রদানকারী সংস্থাগুলোর উত্তর রাখাইনে প্রবেশ করতে না পারার ঘটনাকে তিনি ‘সমস্যার সৃষ্টিকারক’ উল্লেখ করে বলেন, বর্তমানে সারা বিশ্বের চোখ বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া ৬৫৫,০০০ রোহিঙ্গার দিকে। কিন্তু মিয়ানমারে আটকে থাকা ৬০,০০০ শিশুর দিকে কারো চোখ নেই। তাদের কথা সবাই যেন ভুলে গেছে। তারা আটকে আছে মধ্য রাখাইনের পুঁতিগন্ধময় আশ্রয় কেন্দ্রে। ইউনিসেফ- মিয়ানমার সরকার এবং রাখাইনের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিলে রাখাইনের শিশুদের মানবিক সহায়তা দিতে আগ্রহী। তবে এ জন্যে রাখাইনে ঢোকার অবাধ প্রবেশাধিকার থাকতে হবে। মিয়ানমার সফরে নিজের দেখা দুটি নিকৃষ্ট আশ্রয় শিবিরের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে ওই মুখপাত্র বলেন, এর মধ্যে একটি হচ্ছে ‘পাউকটাও টাউনশিপ’। বলেন, ৪-৫ ঘণ্টার বোট যাত্রায় সেখানে পৌঁছুতে হয়। পৌঁছানোর পরে সবার আগে আপনার যা অনুভূত হবে, তা হল নাড়িভুঁড়ি উল্টে আসা দুর্গন্ধ। ক্যাম্পের কিছু অংশ বস্তুতই নর্দমা। পুরো ক্যাম্প নোংরা আবর্জনাপূর্ণ। সেখানে বাচ্চারা খালি পায়ে কাদামাটি এবং ময়লার ভেতর দিয়ে হেঁটে বেড়ায়। ওই ক্যাম্পের এক পরিচালক শুধু ডিসেম্বরের প্রথম ১৮ দিনের মধ্যেই ৮ জন শিশুর মৃত্যুবরণের কথা জানান। ওই শিশুদের সবার বয়স ৩ থেকে ১০ বছরের মধ্যে। এছাড়াও, মিস মেরকাডো রাখাইনের রোহিঙ্গা স¤প্রদায়ের মধ্যে বিরাজমান তীব্র ভীতির কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি একটি পরিবারের কাছ থেকে জানতে পারি যে তারা তাদের বাচ্চাকে জাপানিস এন্সিফালিটিস রোগের টিকা দেন নি, কারণ টিকাদানের কর্মকাÐ পরিচালনায় ছিল মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা। অন্যদিকে, সরকারি কর্মকর্তারা বলছে, নিরাপত্তা ছাড়া রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে যেতে সাহস পাচ্ছেন না তারা। সব কিছু মিলিয়ে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, শিশুরা সেবা বঞ্চিত হচ্ছে। ইউএন নিউজ সেন্টার।

উত্তর কোরীয় নেতা কিমের সঙ্গে
আলোচনায় আগ্রহী মুন-ট্রাম্প


ইনকিলাব ডেস্ক : দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন গত বুধবার বলেছেন, তিনি উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী। এর ঠিক আগের দিন পিয়ংইয়ং জানায়, তারা দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় আসন্ন শীতকালীন অলিম্পিকে তাদের ক্রীড়াবিদদের পাঠাবে। তবে মুন এ বিষয়ে অগ্রগতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দেন। অপরদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলে দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম খবর দিয়েছে। ট্রাম্প গত বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের সঙ্গে এক টেলিফোন সংলাপের সময় এই প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেন বলে এসব গণমাধ্যম জানিয়েছে। পিয়ংইয়ংকে সতর্ক করে দিয়ে মুন বলেন, যদি তারা উসকানি চালিয়ে যায়, তাহলে আরো বেশি কঠোর অবরোধের সম্মুখীন হবে। এক সংবাদ সম্মেলনে মুন বলেন, এটি কেবল শুরু, গতকাল ছিল প্রথম ধাপ এবং আমি মনে করি আমাদের একটি শুভসূচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যেকোনো সময়’ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে তিনি আলোচনায় রাজি, তবে সেটি ‘সঠিক অবস্থায়’ হতে হবে। খবরে বলা হয়, ট্রাম্প দুই কোরিয়ার মধ্যকার সা¤প্রতিক আলোচনা এবং আসন্ন শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য অংশগ্রহণ নিয়ে বুধবার জায়ে-ইনের সঙ্গে প্রায় আধাঘণ্টা কথা বলেন। টেলিফোনালাপের এক পর্যায়ে কিম জং-উনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর আগে মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র সম্পর্কে বিশেষ সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজনে তিনি কিম জং-উনের সঙ্গে কথা বলতে রাজি আছেন। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া গত দুই বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে মঙ্গলবার দু’দেশের সীমান্তবর্তী পানমুনজমে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় মিলিত হয়। এর আগে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে শত্রুভাবাপন্ন দু’টি দেশের মধ্যে সর্বশেষ আলোচনা হয়েছিল। ট্রাম্প ও কিমের বাগযুদ্ধ, পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, আর এর ফলে দেশটির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবরোধ গোটা বিশ্বকে শঙ্কার মধ্যে ফেললেও দুই কোরিয়ার শান্তি আলোচনার অগ্রগতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ভূমিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মুন। ইংরেজি নববর্ষের সংবাদ সম্মেলনে বুধবার মুন বলেন, আমি মনে করি দুই কোরিয়ার মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠানের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বড় ধরনের কৃতিত্বের দাবিদার। আমি তাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। এএফপি, রয়টার্স, পার্সটুডে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিশু

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ