পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাসার ভিতরে বখাটেদের নিয়ে মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেছে এক পুলিশ কর্মকর্তা। গুরুত্বর আহত অবস্থায় রাজিয়া সুলতানা নিলাকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে সাভার পৌর এলাকার তালবাগ মহল্লার ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বদরুদ্দোজা মাহমুদ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাজিয়া সুলতানা নিলা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ৯মাস আগে তার স্বামী ঢাকা জেলা (উত্তর) ডিবিতে বদলি হয়ে আসার থেকে ৫বার তার উপর অমানুষিক নির্যাতন করেছে। প্রতিবারই মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় কারনেই মারধর করা হয় বলে জানান তিনি। এছাড়াও সে মাদক ব্যবসার সাথেও যুক্ত।
তিনি আরও বলেন, ৪বছর যাবত তাদের বিয়ে হয়েছে কিন্তু তাদের কোন সন্তান নেই। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে প্রায় ৫মাস আগে তিনি ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের নিকট স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। তখন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এবং তার বিরুদ্ধে মামলা করার পরামর্শ দিলে সংসারের কথা চিন্তা করে মামলা করেনি। তিন মাস বরখাস্ত থাকার পর তাকে ডিবি থেকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়। কিন্তু এখনও তিনি সেখানে যোগদান করেনি।
তিনি আরো বলেন, আমার বাবা নেই। মামারে খবর দেয়া হয়েছে। সে আসলে থানায় অভিযোগ দিব।
ঢাকা জেলা (উত্তর) গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, বদরুদ্দোজা খুব খারাপ লোক ছিল। স্ত্রীকে প্রায়ই মারধর করতো। এ কারনে আমি রিপোর্ট দিয়ে তাকে বদলি করিয়েছি। তবে এখন কোথায় আছে জানি না। আজকের ঘটনায় আমি সাভার থানায় জানিয়েছি তার বিরুদ্ধে মামলা নেয়ার জন্য বলেন ওসি। তবে এসআই বদরুদ্দোজা মাহমুদের মুঠফোনে এ বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরহাদুজ্জামান ভুইয়া বলেন, হাসপাতালে আহতের সাথে কথা হয়েছে। একটু সুস্থ্য হলেই তিনি অভিযোগ দিবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।