পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের বর্তমানের সার্বিক হতাশাজনক চিত্র তুলে ধরে ‘রুটির চেয়ে গাঁজা বেশি পাওয়া যায়’ মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার তরুণদের কোনো স্বপ্ন দেখাতে পারছে না। এই হতাশার কারণেই তরুণরা ব্যাপকভাবে মাদকে ঝুঁকে পড়ছে। দোকানে দোকানে মাদক, ইয়াবা, গাঁজা সবই পাওয়া যায়। রুটির চেয়ে গাঁজা বেশি পাওয়া যায়। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে দলের এক যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির যৌথসভায় এই পরিস্থিতির কারণ কী- এই প্রশ্ন তুলে নিজেই তার জবাব দেন এরশাদ। বলেন, কোনো কাজ নাই। লেখাপড়া শিখে চাকরি নাই। তারা হতাশাগ্রস্থ বাপ-মায়ের বোঝা, সমাজের বোঝা, ছেলের সামনে কোনো ভবিষ্যত নাই। তখন সে মাদকের আশ্রয় নেয়। দারিদ্র্যের দুঃখ-যন্ত্রণা ভুলে যেতে চায়। একমাত্র উপায় হিসেবে মাদককে বেছে নেয়। তিনি বলেন, দেশে শিক্ষিত যুবক-নারীর সংখ্যা কত এবং শিক্ষিত যুবকদের অবস্থা কী- এই সরকার এসব নিয়ে চিন্তা করে না।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়াউদ্দিন বাবলু, বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ফখরুল ইমাম, মীর আবসুদ সবুর আসুদসহ কেন্দ্রীয়, অঙ্গ ও সহযোগী সংগটনের নেতারা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কেবল মধ্যম আয়ের দেশের সুবিধা পাচ্ছে অভিযোগ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ বলেন, প্রতিদিন ঢাকায় হাজার হাজার মানুষ আসে কাজের সন্ধানে। কোনো কাজ নাই। মানুষ ফুটপাতে শুয়ে থাকে। আমাদের নাকি মধ্যম আয়ের দেশ। মধ্যম আয় শুধু আওয়ামী লীগের মধ্যে। নারীদের জন্য বাংলাদেশ অনিরাপদ হয়ে উঠেছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, কারো মেয়েই আজকে নিরাপদ নয়। গ্রামেগঞ্জের বাবারা মেয়েকে ১৫ বছরের আগেই বিয়ে দিয়ে দেয়। বাল্যবিবাহ বন্ধকরণসহ যত আইন করেন এটা বন্ধ করতে পারবেন না। কারণ এরা বড় হলেই বাবা-মার বিপদ। ধর্ষণের কথা প্রতিদিন তো শুনছেনই। দেশে সামনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে যাচ্ছে পূর্বাভাস দিয়ে এরশাদ বলেন, বর্তমানে দেশের অবস্থা ভালো নয়। আমার ধারণা, সামনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কাছে এ দেশের মানুষ নিরাপদ নয়। শুধু দেশের মানুষ নয়, এরা একদল আরেক দলের কাছে নিরাপদ নয়। আমাদের কাছে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও দেশের মানুষ সবাই নিরাপদ। দুর্বলের সঙ্গে কেউ হাত মেলায় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের আরো সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। দুর্বলকে কেউ গুরুত্ব দেয় না। জাতীয় পার্টি কোনো খেলনা নয়। আমাদের ছাড়া আগামী নির্বাচনে কোনো দল ক্ষমতায় যেতে পারবে না। জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিভিন্ন কর্মসূচিতে মানুষের উপস্থিতি দেখে এখন নিজেকে ৪০ বছর বয়সীর মতো শক্তিশালী মনে হয় তার। আমি মনে করি আমার বয়স ৪০ বছর। যখন আমি দেখি আমার জনসভায় লোক বেশি তখন আমার বয়স কমে। আর যদি লোক কম দেখি তখন আমার বয়স বাড়ে। আগামী সংসদ নির্বাচনকে জীবনের শেষ ভোট জানিয়ে এরশাদ বলেন, ভোটে জিতে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখেই মরতে চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।