Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শীতবস্ত্র বিতরণে ২০ কর্মকর্তা নিয়োগ জেলায় জেলায় কন্ট্রোল রুম

| প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সারাদেশে শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে শীতার্তদের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে কম্বল ও শুকনো খাবার বিতরণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ২০ কর্মকর্তাকে শীতপ্রবণ ২০ জেলায় পাঠিয়েছে সরকার। এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়-অধিদপ্তর এবং জেলায় জেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। একই সাথে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোরও অনুরোধ জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, শৈত্যপ্রবাহে শীতবস্ত্রের জন্য কেউ যেন কষ্ট না পায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের মজুদের কোনো কমতি নেই। চলমান শৈত্যপ্রবাহে কুড়িগ্রাম. দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, যশোর, ঝিনাইদহ, পাবনা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। এসব জেলায় শীতবস্ত্র ও শুকনো খাবার বিতরণ এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ২০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। তারা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করবেন, কম্বল ও শুকনো খাবার বিতরণ নিশ্চিত করে মন্ত্রণালয়কে শৈত্যপ্রবাহের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করবেন। শীত না কমা পর্যন্ত এসব কর্মকর্তা ওই ২০ জেলায় থাকবেন।
তিনি বলেন, শীতার্তদের জন্য ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১০ লাখ ১১ হাজার ৯০০টি কম্বল এবং ৮০ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী তার ত্রাণভান্ডার থেকে ১৮ লাখ কম্বল পাঠিয়েছেন। অতি শীতপ্রবণ ২০ জেলার জন্য এক লাখ কম্বলের পাশাপাশি ৮০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জেলায় জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ওই সব কন্ট্রোল রুম থেকে তথ্য পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরে একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, সোমবার রাতে অনেকে চলে গেছেন। অনেকে আজ (মঙ্গলবার) রাস্তায় আছেন। মঙ্গলবার রাতে ত্রাণসচিব উত্তরবঙ্গে যাবেন। আমি চাঁদপুরে গিয়ে কম্বল বিতরণ করব। সবাইকে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি। মায়া বলেন, আগে দেখা যেত, অনেক প্রতিষ্ঠান সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়ত, বিত্তবানেরাও ঝাঁপিয়ে পড়ত, এবার কিন্তু এই লক্ষণটা দেখি না। আমি বিত্তবানদের অনুরোধ করব অতীতে যেভাবে আপনারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, দলমত নির্বিশেষে সবাই ঢাকায় বসে টেলিভিশনে চেহারা না দেখিয়ে চলুন শতার্তদের পাশে গিয়ে দাঁড়াই। এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব শাহ কামাল ছাড়াও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শীতবস্ত্র

২৮ জানুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ