Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শীতবস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে হবে খুৎবা পূর্ব বয়ান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০২১, ৫:৩২ পিএম

 


শীতের আগমনী বার্তা টের পাচ্ছি আমরা। সামনে শীতের ভরা মৌসুমে প্রচন্ড শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কা থাকায় শীত কেন্দ্রিক দুর্ভোগ আরও বাড়বে। এমতাবস্থায় সমাজের বিত্তবান ও মানবিক গুণসম্পন্ন ব্যক্তিদের দায়িত্ব হচ্ছে শীতবস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে অসহায় শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানো। এটা নববী আদর্শ। বস্ত্রদানের ফযীলত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “কোনো মুসলমান অন্য মুসলমানকে কাপড় দান করলে আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতের পোশাক দান করবেন। আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে পেশ ইমাম এসব কথা বলেন। রাজধানীর মসজিদগুলোতে জুমার জামাতে প্রচুর মুসল্লির সমাগম ঘটে।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি এহসানুল হক জিলানী আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, মানব জীবনে তাকওয়ার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম । শরিয়তের পরিভাষায় তাকওয়া হলো, একমাত্র আল্লাহর ভয়ে যাবতীয় অন্যায় কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা। যার মধ্যে তাকওয়া থাকে সে পার্থিব জীবনের লোভে কোনো খারাপ কাজ করে না এবং পরকালীন জীবনের কল্যাণ ও মঙ্গলের কাজে সব সময় নিজেকে নিয়োজিত রাখে। সাহাবি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, যে ব্যক্তি নিজেকে শিরক, কবিরা গুনাহ ও অশ্লীল কাজকর্ম-কথাবার্তা থেকে বিরত রাখে তাকে মুত্তাকি বলা হয়। একজন মুমিনের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সফলতার মূল ভিত্তি হচ্ছে তাকওয়া। মানব জীবনে তাকওয়ার গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, "হে ইমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় কর এবং খাঁটি মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না "। (সূরা আলে-ইমরান-১০২) আরও ইরশাদ হয়েছে, "এবং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আর মনে রেখ, নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাকিদের সঙ্গে আছেন"।(সূরা বাক্বারাহ -১৯৪)। তাকওয়া আল্লাহর নৈকট্য ও ভালোবাসা লাভ করার উপায়। কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে "নিশ্চয় আল্লাহ তা'য়ালা মুত্তাকিদের ভালোবাসেন"(সূরা তাওবা-৪)।
আল্লাহতায়ালা অপর আয়াতে ইরশাদ করেন মুত্তাকিরা থাকবে নিরাপদ স্থানে। (সূরা দুখান-৫১) মুত্তাকিরা আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহপাকের বাণী- "তোমাদের মাঝে সে ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত যে তোমাদের মধ্যে অধিক মুত্তাকি"। (সূরা হুজুরাত-১৩)। তাকওয়া শুধু মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয় না, বরং তা জান্নাতে প্রবেশ করতেও সাহায্য করে। যেমন মহান আল্লাহপাকের বাণী- "আর যে ব্যক্তি তার রবের সামনে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং নিজেকে কুপ্রবৃত্তি থেকে ফিরিয়ে রাখে, নিশ্চয় জান্নাত হবে তার আবাসস্থল"। (সূরা নাযি’আতঃ৪০-৪১) "সাহাবি হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) কে প্রশ্ন করা হলো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! মানুষের মধ্যে অধিক সম্মানিত কে? তিনি বললেন, তাদের মধ্যে যে অধিক মুত্তাকি বা পরহেজগার"। (বুখারি ও মুসলিম)। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত যে, "রাসূল (সা.) আল্লাহর কাছে এভাবে দোয়া করতেন, হে আল্লাহ! আমাকে হিদায়াত, তাকওয়া, পবিত্রতা ও অমুখাপেক্ষিতা এসব গুণ দান করুন"। (মুসলিম) । তাকওয়া এমন একটি গুণ যা সমাজে ইতিবাচক মূল্যবোধ সৃষ্টি করে এবং তাকওয়ার অভাবে মানব চরিত্র পাপকর্মে লিপ্ত হয়ে সামাজিক জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। যার নজির বর্তমান বিশ্বের সর্বত্র বিরাজমান।
সুতরাং তাকওয়া অর্জনের যে পদ্ধতিগুলো রয়েছে তার অনুসরণ করতে হবে। যথা (এক) আল্লাহ তায়ালা সর্বত্র বিরাজমান এই চিন্তা-চেতনা পোষণ করা। তিনি সবকিছু দেখেন, সব কিছু শুনেন, সবকিছুর খবর রাখেন, তার চোখে ফাঁকি দেয়ার ক্ষমতা কারো নেই। এই প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন "তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা তোমাদের সমস্ত কর্ম সম্পর্কে অবগত আছেন "। (সূরা হাশর -১৮)। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, "হে ঈমানদারগণ তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং পরকালের জন্য যা কিছু সঞ্চয় করেছো তার প্রতি মনোনিবেশ করো"। (সূরা হাশর-১৮) আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, "হে ঈমানদারগণ তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সৎ লোকদের সংস্পর্শ গ্রহণ করো "। (সূরা তওবা-১১৯)। অতএব আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে একজন প্রকৃত মুমিন মুত্তাকি হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন।
ঢাকার মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, মহান আল্লাহর ইচ্ছায় নিয়মতান্ত্রিকভাবেই ঋতুর পালাবদল ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা শীতের আগমনী বার্তা টের পাচ্ছি। হু হু করে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। শীত মৌসুম বহু মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়। বিশেষত দিনমজুর, ছিন্নমূল এবং বাস্তুুহারা জনগোষ্ঠী তীব্র শীতে নিদারুণ কষ্ট ভোগ করেন। সামনে শীতের ভরা মৌসুমে প্রচন্ড শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কা থাকায় শীত কেন্দ্রিক দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে। এমতাবস্থায় সমাজের বিত্তবান ও মানবিক গুণসম্পন্ন ব্যক্তিদের দায়িত্ব হচ্ছে শীতবস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে অসহায় শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানো। এটা নববী আদর্শ। বস্ত্রদানের ফযীলত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “কোনো মুসলমান অন্য মুসলমানকে কাপড় দান করলে আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতের পোশাক দান করবেন। ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান করলে আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতের সুস্বাদু ফল দান করবেন। কোনো তৃষ্ণার্ত মুসলমানকে পানি পান করালে মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতের সিলমোহরকৃত পাত্র থেকে পবিত্র পানীয় পান করাবেন।” (সুনানে আবু দাউদ)।

খতিব আরও বলেন, খেদমাতে খালক্ব বা সৃষ্টির সেবা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান ও ইবাদত। এ ব্যাপারে ত্রুটি হলে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে জিজ্ঞাসিত হতে হবে। প্রশ্ন করা হবে বস্ত্রহীনদের বস্ত্রদান ও ক্ষুধার্তদের খাদ্যদান সম্পর্কে। ইসলাম মানবীয় গুণাবলীর ক্ষেত্রে পরোপকার ও জনকল্যাণমূলক কাজকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ গুণ আখ্যা দিয়ে এর প্রতি উৎসাহ দিয়েছে। মহাগ্রন্থ আল কোরআনের "সূরা কসাস" এর ৭৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তোমরা মানুষের প্রতি তেমন অনুগ্রহ কর (সাদক্বাহ বা যে কোন উপায়ে) যেমন আল্লাহ তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। এছাড়া সূরা বাকারার ২৭১ নম্বর আয়াতে বলেছেন, যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান-খয়রাত কর তবে তা কতইনা উত্তম। আর যদি দান গোপনে কর এবং অভাবগ্রস্তদের দিয়ে দাও তবে তা তোমাদের জন্য আরও উত্তম। (এর দ্বারা) আল্লাহ তায়ালা তোমাদের গোনাহ মাফ করে দিবেন। জেনে রাখ, তিনি তোমাদের কাজকর্মের ব্যাপারে অধিক খবর রাখেন। বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব একটি মুসিবত দূর করবে, আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তার মুসিবতসমূহ দূর করে দিবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষকে সচ্ছল করে দিবে, রব্বে কারীম তাকে ইহকাল ও পরকালে সচ্ছল করে দিবেন এবং আল্লাহ বান্দার সাহায্য করবেন যদি বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্য করে"। (সহীহ মুসলিম)। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করুন আমীন।
দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা রেজাউল করিম আজ জুমার খুৎবার বয়ান বলেন, ইমাম বাগভীর বর্ণনা মতে শিরিকের সূচনা পৃথিবীতে হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও হযরত নূহ আলাইহিস সালামের মাঝামাঝি সময়ে হয়েছিল। সে সময় আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্ত ৫ জন নেককার বান্দা ছিলেন। তাদের ইন্তেকালের পর লোকেরা সুদীর্ঘকাল পর্যন্ত তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আল্লাহর বিধি-বিধান অব্যাহত রাখে। কিছুদিন পর শয়তান তাদের এই বলে প্ররোচিত করল যে, তোমরা যেসব মহাপুরুষের অনুসরণ করো, যদি তাদের মূর্তি তৈরি করে সামনে রেখে দাও, তবে তোমাদের উপাসনা পূর্ণতা লাভ করবে, এবং বিনয় ও একাগ্রতা অর্জিত হবে। তারা শয়তানের ধোকা বুঝতে না পেরে মহাপুরুষদের প্রতিকৃতি তৈরি করে উপাসনালয় স্থাপন করল, এবং তাদের স্মৃতি জাগরিত করে ইবাদত এ বিশেষ পুলক অনুভব করতে লাগলো। এভাবে মানুষ শয়তানের প্ররোচনায় ভালো মনে করে মূর্তি পূজার মত জঘন্যতম শিরিক গুনাহ অবলীলায় করতে থাকে। আমাদের সমাজে অনেক ভাই ইবাদত মনে করে বিদআতের মত জঘন্যতম কবিরা গুনাহ অবলীলায় ইবাদত মনে করে করছে। আল্লাহ তা'আলা বলেন নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সাথে শরিক করাকে ক্ষমা করবেন না। এছাড়া সবকিছু, যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। এবং কেউ আল্লাহর সাথে শরিক করলে সে ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট হয়। (সূরা নিসা ১১৬) কেউ আল্লাহর সঙ্গে শরিক করলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত অবশ্যই হারাম করবেন, এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। জালেমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।( সূরা মায়েদা) ৭২
মিরপুরের ঐতিহ্যবাহী বাইতুল মামুর জামে মসজিদ এর খতিব মুফতি আব্দুর রহীম কাসেমী আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন : মানব জীবনে পরীক্ষার গুরুত্ব অপরিশীম। পরীক্ষার মাঝেই উন্নতি অবনতি নিহিত। পরীক্ষার মাধ্যমেই মানুষ সম্মানী হয় আবার পরীক্ষার দ্বারাই মানুষ (অকৃতকার্য্য হলে) অপমানিত হয়। উত্তাল সাগরে যেমন পাড়ি দেয়া ব্যতিত দক্ষ নাবিক হওয়া যায়না ঠিক তেমনি পরীক্ষা ছাড়াও জীবনে উন্নতি লাভ করা যায়না। পরীক্ষা মানুষের উন্নতি ও অগ্রগতির সোপান। ইসলামে এর অবস্থান অত্যন্ত পরিস্কার। পবিত্র কোরআনুল কারীমে বহু স্থানে পরীক্ষার বিষয়টি বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, মহিমাময় তিনি, যার হাতে গোটা রাজত্ব। তিনি সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান। যিনি মরণ ও জীবন সৃষ্টি করেছেন, তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্যে, কর্মে তোমাদের মধ্যেকে উত্তম ? তিনি পরাক্রমশালী ও অতি ক্ষমাশীল। ( সূরা: মুলক, আয়াত নং ১ ও ২ )। আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, আমি তোমাদেরকে ভয়, ক্ষুধা, সম্পদনষ্ট, প্রাণহানী ও শস্যের ক্ষতি সাধনের মাধ্যমে পরীক্ষা করবো। ( সূরা বাকারা, আয়াত নং ১৫৫ )। অন্য আয়াতে আরো বলেন, আল্লাহকে ভয় করো এবং ভেবে দেখো পরজীবনের জন্য কী সঞ্চয় করেছো। ( সূরা : হাশর, আয়াত নং ১৮ )। খতিব বলেন, বিধাতার পক্ষ থেকে পুরা ইহকালই মানুষের জন্য পরীক্ষার সময়। আর পৃথিবী হল পরীক্ষার কেন্দ্র। এই কেন্দ্রের কর্মের প্রতিফলেই পরজগতে কেহ জান্নাতের শান্তি লাভে ধন্য হবে আবার কেউ জাহান্নামের উত্তপ্ত আগুনে জলবে। কাজেই পৃথিবী নামক এই পরীক্ষার হলে যদি নেক আমলের দ্বারা জীবন সজ্জিত করা না যায় তাহলে পরকালে জাহান্নামের অনলে দগ্ধ হওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা। শত ক্রন্দন কোন কাজে আসবেনা। তাইতো প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়ার জিন্দেগিতে অধিক পরিমানে নেক আমল করার প্রতি উৎসাহিত করেছেন এবং বলেছেন, নিশ্চয় ধারারবাহিক নেক আমল আল্লাহ তায়ালার নিকট অধিক প্রিয়। (বুখরী শরীফ, হাদীস নং ৫৫২৩ । তিনি আরও বলেন, সমুদ্রের তরঙ্গের ন্যায় একের পর এক ফিতনা আসার পূর্বেই তোমরা নেক আমলের প্রতিযোগিতা করতে থাক। ( আল হাদীস )। অতএব আমাদের প্রত্যেককে নেক আমলের প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়ে আল্লাহর বিধান পালনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ অনুসরণে জীবন গঠন কার প্রতি সতেষ্ট হতে হবে। আল্লাহ সবাইকে দুনিয়া ও আখিরাতের পরীক্ষায় সফল হওয়ার তৌফিক দান করেন। আমিন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ