পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাবনায় ৩০ ও কুড়িগ্রামে ৫ জনের মৃত্যু
শীতের ঠক ঠক করে কাঁপছে মানুষ। রাতভর গাঢ় কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারিদিক। তা সরতে অনেক বেলা চলে যাচ্ছে। ভোর বেলাতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চালাতে হচ্ছে যানবাহন। হিমেল হাওয়া সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে ফেলেছে উত্তরাঞ্চলের মানুষকে। শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। পাবনায় শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায়সহ নানা রোগে জেলায় ৩০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সঙ্কট। কুড়িগ্রামে শীতজনিত রোগে শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু। দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে মানুষের দুর্ভোগ অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-
চট্টগ্রাম থেকে বিশেষ সংবাদদাতা জানান, পুরো ডিসেম্বরে শীতের দেখা মিলেনি। এবার জানুয়ারির শুরুতেই প্রায় সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। হাঁড় কাঁপানো উত্তরের হিমেল হাওয়ার সাথে অসহনীয় শীতের দাপটে কাহিল মানুষ। বিশেষত হতদরিদ্র জনগণের দুঃখ-কষ্ট সীমাহীন। হঠাৎ শীতের কামড়ে অনেক জায়গায় শীতজনিত রোগ-ব্যাধির প্রকোপও বেড়ে গেছে। হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রসমূহে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর ভিড়। মাঝরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কোথাও কোথাও দুপুরেও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার কারণে নৌ ও সড়কপথে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা-উপজেলাগুলোতে এবং পার্বত্যাঞ্চলে শীত ও কুয়াশার তীব্রতায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত।
গতকাল (শনিবার) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গায় ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৬.২ ডিগ্রি সে.। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.৬ এবং ১৩ ডিগ্রি সে.। গত শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৭.২ ডিগ্রি সে.। পারদ গতকাল নেমে যায় ৫.৮ ডিগ্রিতে। সর্বশেষ আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে আবহাওয়া বিভাগ জানায়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চ চাপবলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আজ (রোববার) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কুয়াশা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল অঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এর পরের পাঁচ দিনের আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, শীতে কাঁপছে রাজশাহী। তাপমাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সাথে রয়েছে হিমালয় ছুঁয়ে আসা হিমেল বাতাস। কাঁপছে মানুষ। কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারিদিক। ভোর বেলাতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চালাতে হচ্ছে যানবাহন। হিমেল হাওয়া সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে ফেলেছে মানুষকে। শীতের থেকে বাঁচতে দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। বেশি দুর্ভোগ বাড়িয়েছে দিন খেটেখাওয়া মানুষকে। পেটের তাগিদে সেই কাকডাকা ভোরে গ্রাম থেকে কাঁপতে কাঁপতে শহর পথে ছুটে আসা শহর পানে। জবুথবু অবস্থায় শ্রম বিক্রির স্থানে জড়ো হওয়া। বিরুপ আবহাওয়ার কারণে থমকে গেছে উন্নয়ন কর্মকান্ড। ফলে বেশির শ্রমজীবী মানুষ থাকছে কর্মহীন। আর কাজ না থাকা মানে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহার-অর্ধাহার। রিকশাচালক মুটে-মজুর, ফুটপাতের ব্যবসায়ী সবায় পড়েছে শীত দুর্ভোগে। হিমেল হাওয়ার কারণে লোক সমাগম কম হওয়ায় বড় বড় বিপণি বিতানে তার প্রভাব। হিমেল হাওয়ার মধ্যেও যারা পেটের তাগিদে ফুটপাথে পসরা নিয়ে বসেছিলেন। তাদেরও ছিল না প্রত্যাশিত ক্রেতা। তবে শীত নিবারণের জন্য ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বেশ ভালোই ছিল। বিভিন্ন বিপণি বিতানের গরম কাপড়ের দোকানে জ্যাকেট, সোয়েটার, মাফলার, টুপির বিক্রি বেশ ভালো। তবে শীত বাড়ার সাথে সাথে এসব কাপড়ের দামে উত্তাপ বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের সোজাসাপটা জবাব, এটা সিজনাল ব্যবসা। অনেক টাকা বিনিয়োগ করে মালামাল কিনতে হয়। তাই সবাই চেষ্টা করে মুনাফার। তবে খুব বেশি নেয়ার সুযোগ নেই। কারণ মার্কেট প্রতিযোগিতার। বেড়েছে রুম হিটারের চাহিদা ও দাম। শীত বিপর্যস্ত করেছে পদ্মা পাড়ের ছিন্নমূল মানুষ ও চরাঞ্চলের মানুষকে। রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, গতকাল এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্ব্বোচ্য ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পাবনা থেকে মুরশাদ সুবহানী জানান, পাবনা ও এর নিকটবর্তী জেলাসমূহে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত আছে। গতকাল (শনিবার ) দুপরের পর তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় আট কিলোমিটার। তীব্র কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র মানুষজন। শীতের তীব্রতায় জেলায় নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় বিভিন্ন হাসপাতালে এক সপ্তাহে ৩০ জন শিশু মারা গেছে। পাবনা জেনারেল হাসপাতালে গত এক মাসে গড়ে দেড় হাজার শিশু নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় ভর্তি হয়েছে।
গড়ে প্রতিদিন তিন থেকে চারজন শিশুকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে। এদিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
লালমনিরহাট থেকে মো. আইয়ুব আলী বসুনীয়া জানান, উত্তরের জেলা লালমনিরহাট। ভারতের হিমালয়ের পাশাপাশি হওয়ায় শীতকাল আসলেই লালমনিরহাট জেলার তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে আসে। তাই এবারের শীতে গোটা দেশ যখন কাপছে, লালমনিরহাটের মানুষ তখন হিম হয়ে গেছে গতকাল শনিবার লালমনিরহাট জেলার তাপমাত্রা ছিল পাঁচ ডিগ্রি সে.সি.। সারা দিন পশ্চিমের হিম হাওয়ায় গোটা জেলায় শীত জেঁকে বসেছে। চরম ভোগান্তিতে সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষ।
সারা দিন মিলে দুই-এক ঘণ্টা সূর্য্যরে দেখা মিললেও তীব্র শীতের কাছে তা হার মেনে যায়। গত চার দিন ধরে শীতের তীব্রতা থাকলেও গতকাল শনিবারের শীত কয়েক বছরের শীতকে হার মানিয়েছে। শীতের তীব্রতার কারণে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো কাজে যেতে পারছেন না। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে বয়স্ক মানুষগুলো বাড়ির বাইরে যেতে পারছেন না। ছোট শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শহরের গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতার ভিড় ও চড়া দামের কারণে শীত নিবারণের জন্য নিম্ন আয়ের মানুষগুলো গরম কাপড় কিনতে পারছেন না। সরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সংস্থা শীত নিবারণের জন্য কম্বল বিতরণ করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তীব্র শীতের কারণে ইরি ধানের বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আলু ক্ষেতে ছত্রাক-পচন দেখা দিয়েছে। শীত অব্যাহত থাকলে আলু, গম, ভুট্টাসহ শাকসবজির ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কুড়িগ্রাম থেকে শফিকুল ইসলাম বেবু, টানা চার দিনের শৈত্যপ্রবাহে প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা। সকালে তীব্র ঠান্ডায় কাজে বের হতে পারছে না মানুষ। এ ছাড়াও বিকেল থেকেই তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় সন্ধ্যার পরপরই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট, হাটবাজার ও দোকানপাট। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষজন। গরম কাপড়ের অভাবে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষেরা। কাজে বের হতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পরেছেন শ্রমজীবী মানুষ। এ পর্যন্ত শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলায় শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রাজারহাট উপজেলায় মারা গেছে তিনজন। মৃতদের মধ্যে গত শুক্রবার সকালে নয়ন মনি ও বৃহস্পতিবার মীম সদর হাসপাতালে মারা যায়। বাকি তিনজন রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১২ টায় মধ্যে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে বলে জানায় কুড়িগাম সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. জাহাঙ্গির আলম। তিনি আরো জানান, সদর হাসপাতালে শনিবার ২৪ ঘণ্টায় ৯৮ জন ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে ৩৫ জন শিশু, ডায়রিয়ায় ২০ জন ও অন্যান্য রোগে ৪৩ জন ভর্তি হয়েছে। শনিবার কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মোফাখখারুল ইসলাম জানান, শনিবার বিকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলা প্রশাসকের ত্রাণ কার্যালয় সূত্রজানায়, এ পর্যন্ত ৯ উপজেলায় ৫৭ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এগুলোর বিতরণ কাজ চলছে।
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান, উত্তরাঞ্চলের শীত প্রবণ এলাকা নওগাঁয় তীব্র শৈত্যপ্রবাহে ও হাঁড় কাঁপানো শীতে জনজীবন একেবারে কাহিল হয়ে পড়েছে। নদী অববাহিকায় কাজ করা জেলে বালু তোলা শ্রমিকসহ লোকজনের দুর্ভোগ বেড়েছে। অভাবী ও দুস্থ্য মানুষেরা শীতের গরম কাপড়ের অভাবে অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি বা বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বা কম্বল বিতরণ কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। গৃহপালিত পশুপাখিগুলোর অবস্থা শোচনীয়। গত মঙ্গলবার থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত সূর্য্যরে মুখ দেখা যাচ্ছে না। বাস, ট্রাক, কার, মোটরবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে দিনেও হেডলাইট ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে। তবে বেলা বাড়লে সূর্য্যরে তাপে লোকজন গা এলিয়ে নিচ্ছেন। গ্রামের চায়ের দোকানে সকাল ও সন্ধ্যায় লোকজনদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। আবার কেউ কেউ সিদ্ধ গরম ডিম ও শীতের নানা রকমের পিঠাপুলি খাচ্ছেন। শীত নিবারণের জন্য কোমলমতি শিশুরা খড়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে।
বোদা (পঞ্চগড়) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পঞ্চগড়ের বোদায় গত তিন দিনে হিমেল হাওয়ার সাথে ঘন কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আবারো গতকাল শনিবার সারাদিনে কোনো সূর্য্যরে আলো দেখা যায়নি। শীতের তাপমাত্রা তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। এতে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষেরা নাকাল হয়ে পড়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মাহমুদ হাসান জানান, সরকারিভাবে যে সব কম্বল বরাদ্দ পাওয়া হয়েছে, তা বিতরণ করা হয়েছে। আরো বরাদ্দ চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।