পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : পূর্বঘোষিত দলীয় কর্মসূচী অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও তার অংগ সংগঠন গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করে। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, মহানগর বিএনপির কালো পতাকা সমাবেশে বক্তাগণ বলেছেন ৫ জানুয়ারি মার্কা কোন নির্বাচন দেশে আর হতে দেওয়া হবে না। খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখে কোন নির্বাচন হবে না। সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। এই লক্ষ্যে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। কেন্দ্রঘোষিত গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে মহানগর বিএনপি নগরীর কাজির দেউড়ির মোড়ে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না পেয়ে আনুমানিক ২০০ গজ দূরে নাসিমন ভবনে সমাবেশ করছে দলটি। বিকেল তিনটা থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের হাতে ছিল কালো পতাকা।
নগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজউল্লাহর নেতৃত্বে একটি মিছিল নাসিমন ভবনের দিকে যাবার সময় কয়েকজনের কাছ থেকে কালো পতাকা কেড়ে নেয় পুলিশ। এসময় কয়েকজন কর্মী গিয়ে এক পুলিশ সদস্যদের ধাক্কা দিলে উভয়পক্ষে হাতাহাতি হয়। পুলিশ লাঠি চার্জ শুরু করলে নেতাকর্মীরা দ্রæত নাসিমন ভবনের দিকে সরে যান। এসময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে বেশকিছু কালো পতাকা নিয়ে নেন।নাসিমন ভবন, কাজির দেউড়িসহ পুরো এলাকায় প্রায় ২০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে নগর বিএনপির সেক্রেটারি আবুল হাশেম বক্কর, মাহবুবুর রহমান শামীম, আবু সুফিয়ান, শামসুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এদিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে নগরীর দোস্তবিল্ডিং এলাকায় সকালে কালো পতাকা হাতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাহবুবুর রহমান শামীম। সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া এদেশে কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। ভোটারবিহীন নির্বাচনের চিন্তা বাদ দিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির সভা সমাবেশের উপর অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে মুক্ত পরিবেশে সভা সমাবেশ করার সুযোগ দিতে হবে। অন্যথায় জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে দাবী আদায় করে ছাড়বে। বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন, এড. নুরুল ইসলাম, নাজমুল মোস্তফা আমিন, এড. মো: কাশেম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, এড. মো: আবু তাহের, নজরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
চট্টগ্রাম জাগপা
জাতীয় গণতান্ত্রিক পাটির্র (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান বলেছেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের সময় সরকার বলেছিল যে, ‘এ নির্বাচন শুধুমাত্র সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার নির্বাচন। পরবর্তী সময় সকল দলের অংশগ্রহণে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।’ কিন্তু সরকার সে প্রতিশ্রæতি রক্ষা করেনি। বরং নির্বাচন ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে বর্তমান সরকার ও সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি নগরীর আগ্রাবাদে জাগপার প্রতিবাদ সমাবেশে এ সব কথা বলেন। জাগপার কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু মোজাফ্ফর মো. আনাছের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. হেলালের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর সহ-সভাপতি তানিয়া আকতার রুপা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, যুব জাগপার সভাপতি মারুফ হোসেন, জাগপা ছত্রলীগের মহানগর সভাপতি ছানাউল্লাহ সানি, মহিলা জাগপার সাধারণ সম্পাদক কামরুন নাহার মনি, যুব জাগপার সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, পুলিশের বাধার মুখে গতকাল রাজশাহীতে কালো পতাকা হাতে নিয়ে গণতন্ত্র হত্যা দিবসের বিক্ষোভ মিছিল করতে পারেনি রাজশাহী মহানগর বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে মালোপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে কালো পতাকা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্শনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু সিটি মেয়র ও নগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল নগর সেক্রেটারী এ্যাড শফিকুল হক মিলনের নেতৃত্বে মিছিল বের করতে গেলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। সেখানেই রাস্তার উপর বসে দাড়িয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
মতিহার থানা বিএনপির সভাপতি আনসার আলীর পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্যে দেন, রাজশাহী জেলা যুবদলের সভাপতি মোদাজ্জেদ জামান সুমন, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সমাপ্ত, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বলেন, শেখ হাসিনা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি। জনগন সে সময়েও তার পক্ষে রায় দেয়নি। এক প্রভাবশালী বিদেশী শক্তির আশ্রয় নিয়ে তিনি জোরপূর্বক ক্ষমতায় বসে আছেন। এই অবৈধ সরকার চাইনা সঠিক নির্বাচন করতে। কোন সৈরাশাসক চিরস্থায়ী হতে পারেনা। এই সরকারের সৈরাতন্ত্রও চিরস্থায়ী হবে না। সকল সৈরাশাসকদের ন্যায় এই সরকারকেও বিতাদিত করা হবে।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, গনতন্ত্র হত্যা দিবসে বরিশালের রাজপথেই নামতে পারল না বিএনপিসহ তাদের জোট। পূর্বঘোষিত দলীয় কর্মসূচী অনুযায়ী গতকাল শুক্রবার সকালে নগরীর টাউন হল সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি ও তার অংগ সংগঠন সমাবেশের ডাক দিয়েছিল। এজন্য মহানগর পুলিশের কাছে অনুমোদনও চাওয়া হয়। অপরদিকে ছাত্রলীগের তরফ থেকে একই সময়ে টাউন হল প্রাঙ্গনে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সমাবেশ আহবান করা হয়। অপরদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও আজ (শনিবার) সকালে টাউন হল প্রাঙ্গনে সবাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপির আবেদন নাকচ করে ছাত্রলীগকে সমাবেশ করার অনুমোদন দেয়া হয়। ফলে গতকাল যথারিতি টাউন হল প্রাঙ্গনে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগ। এর আগে বৃহস্পতিবারও ছাত্রলীগ নগরীতে সমাবেশ ও র্যালী বের করে ।
পুলিশের অনুমোদন না মেলার পাশাপাশি দলীয় কার্যালয়ের পাশেই ছাত্রলীগের সমাবেশ থাকায় গতকাল সকাল থেকইে বিএনপি অফিসটি ছিল তালাবদ্ধ। কোন নেতা-কর্মীকেও দলীয় কার্যালয়ে ও তার আসেপাশে দেখা যায়নি। ফলে গনতন্ত্র হত্যা দিবসে বরিশাল বিভাগীয় সদরে কোন কর্মসূচীই পালন করতে পারেনি বিএনপি সহ তার সমমনা দলগুলো। গতবছরও এ কর্মসূচী পালনকালে পুলিশের উপস্থিতিতে শাষক দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনের হামলায় সদর রোডে বিএনপি কার্যালরে আসেপাশের এলাকা রনক্ষেত্রের রূপ নেয়।
ল²ীপুর সংবাদদাতা জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে ল²ীপুরে পতাকা মিছিল বের করছে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীরা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে জেলা বাসটার্মিনাল এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা। পরে মিছিলটি সড়ক প্রদক্ষিন শেষে ইটেরপোল এলাকায় গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গিয়ে শেষ হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা জহিরুল ইসলাম, জেলা যুবদল নেতা রশিদুল হাসান লিংকন, সদর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি জাকির হোসেন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন,এমএ মমিন ও আবু ছায়েদ। এসময় বক্তারা বলেন, আজকের এ দিনে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। এ দিনটিকে গত ৪ বছর ধরে বিএনপি গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতা এ দিবস পালন করা হয়।
মেহেরপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, গণতন্ত্র হত্যা দিবসে মেহেরপুর জেলা বিএনপির কালো পতাকা মিছিল হয়। জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন-এর নেতৃত্বে মেহেরপুর জেলা বিএনপি সকাল ১০টায় কালো পতাকা মিছিল করেছে। মিছিল পুর্ব সমাবেশে মাসুদ অরুন বলেন, গণতন্ত্র পূর্নরুদ্ধারের সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে হবে।
নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা জানান, গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে কালো পতাকা মিছিল নেত্রকোনায় তীব্র পুলিশী বাঁধায় পন্ড হয়ে গেছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ড্যাব নেতা অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আনোয়ারুল হক সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, জেলা বিএনপির উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে জেলা শহরের ছোটবাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে কালো পতাকা মিছিল করতে চাইলে পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তিনি ব্যারিস্টার কায়সার কামালের ওপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও শুক্রবার ভোর রাতে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনীক মাহবুব চৌধুরীর বাসভবনে পুলিশী তল্লাশির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
ফুলপুর (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ফুলপুরে বিএনপির কালোপতাকা মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জে যুবদল সভাপতিসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকেই ফুলপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি শাহ্ শহীদ সারোয়ারের ফুলপুর থানা রোডস্থ বাসভবন থেকে শুক্রবার বিকেলে বিএনপির একটি কালোপতাকা মিছিল বের হলে পুলিশ বাধা দিয়ে বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে। এতে উপজেলা যুবদল সভাপতি সানোয়ার হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক বিপুল ফকির, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ, বিএনপি নেতা এমদাদ হোসেন খান, গোলজার হোসেন, আমজাদ সরকার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা খাতুন, রাকিবুল হাসান সোহেলসহ ১৫ জন আহত হন।
লাঠিচার্জে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নিলে পুলিশ প্রায় ঘন্টা ব্যাপী তাদের অবরোদ্ধ করে রাখে। উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। এতে আমাদের ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গৌরীপুরে গণতন্ত্রহত্যা দিবসে বিএনপি,যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা কালো পতাকা মিছিল করেছে। সকালে জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এড.নুরুল হকের নেতৃত্বে মিছিলে অংশগ্রহণ করে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুল ইসলাম খান শহীদ,পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আকবর আনিস,বিএনপি নেতা ও পৌর কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম রিপন,আরিফুল ইসলাম ভুঞা এনাম,উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নূরুজ্জামান সোহেল,কলেজ ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদির,ছাত্রনেতা জিকু সরকার,তারা মিয়া,ছিদ্দিক,জাহাঙ্গির,রুবেল প্রমুখ। অপরদিকে ময়মনসিংহ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আহম্মেদ তায়েবুর রহমান হিরনের নেতৃত্বে একটি কালো পতাকা মিছিল বের হলে পুলিশী বাধার মুখে পন্ড হয়ে যায়।
বিকালে ময়মনসিংহ জেলা উত্তর যুবদলের সাধারন সম্পাদক শামছুল হক ভিপি শামছুর নেতৃত্বে মিছিলে অংশ গ্রহন করে যুবদল নেতা সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম, ইলিয়াস উদ্দিন,মোঃ সোহেল রানা মেম্বার, সিটি মাসুদ,আব্দুস ছাত্তার, মাসুদ মেম্বার,সাহেব আলী,ডাঃ শাহজাহান, মাজহারুল, খোকন,শহীদ, মজিবুর, আনোয়ার হোসেন মীর সবুজ, হুমায়ুন, রফিকুল, মজিবুর, খোকন,আলীম মেম্বার, মোস্তকিম, সবুজ, রাসেল কাঞ্চন, আলম, রাজা, লাল্টু,বিএনপি নেতা ওসমান গনি মাস্টার প্রমুখ।
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ঢাকার কেরানীগঞ্জে বিএনপির মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১৫জন নেতাকর্মী এবং আটক হয়েছে ৬জন। আটককৃতরা হচ্ছে মোঃ হাসান(১৮), মোঃ জনি(৩১), মোঃ আকতার হোসেন(৫৫), পলাশ(২১), আব্দুল আউয়াল(৩৫) ও মোঃ লোকমান হোসেন(৫১)। তবে আহতদের নাম জানা যায়নি।
জানা যায় বিএনপির গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কেরানীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি এডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে জিনজিরার মনুবেপারির ঢাল এলাকা থেকে একটি কালো পতাকা মিছিল বেরা করা হয়। মিছিলটি আমিরাবাগের জিসান কমিউনিটি সেন্টারে পৌছার আগেই পিছন দিক থেকে মডেল থানার একদল পুলিশ মিছিলের উপর বেদম লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে থাকে । এতে ১৫জন বিএনপির নেতাকর্মী আহত হয়। এসময় পুলিশ ৬জনকে আটক করে।
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান, নওগাঁয় গণতন্ত্র হত্যা দিবসে পুলিশের বাধায় নির্দিষ্ট স্থানে মিছিল ও সমাবেশ করতে পারেনি জেলা বিএনপি। শুক্রবার দুপুরে শহরের কেডির মোড় বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে জেলা বিএনপির একটি মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা লেঃ কর্নেল অবঃ আব্দুল লতিফ খান, জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব নজমুল হক সনি, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল ইসলাম টুকু ও ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক আমিনুল হক বেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মামনুর রহমান রিপন ও শফিউল আজম ওরফে ভিপি রানা, জেলা বিএনপি নেতা এ্যাডঃ রফিকুল আলম, শহর বিএনপির আহবায়ক নাছির উদ্দীন আহমেদ, জেলা মৎসজীবি দলের সভাপতি আমিনুর রহমান বিন্টু, জেলা যুবদলের সভাপতি বায়েজিদ হোসেন পলাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান ফারুক, জেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।