বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে আধিপত্য নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের সবাই ছাত্রলীগের কর্মী।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটায় মেডিকেল কলেজের শেখ রাসেল ছাত্রাবাসে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্র ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আহত ছাত্ররা ছাত্রলীগ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখার সাবেক দুই সভাপতি আবদুল হান্নান ও হাবিবুর রহমানের সমর্থক। গত ছয় মাসে এ নিয়ে তিনবার দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত দুজন ছাত্র হলেন-আবদুল হান্নানের সমর্থক তৌফিক আহমেদ ও হাবিবুর রহমানের সমর্থক ইরফানুল হক। তারা মেডিকেল কলেজের ২৩তম ব্যাচের ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী। মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন তাঁরা। ইরফানুলকে ঘটনার পরপরই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তৌফিককে প্রথমে শহরের মুন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
আহত বাকি ছাত্ররা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, গতকাল মধ্য রাতে ছাত্রাবাসে হাবিবুর রহমানের সমর্থকেরা আবদুল হান্নানের সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। এ সময় উভয় পক্ষ লাঠিসোঁটা, দা ছেনি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ১০ জন আহত হন।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মহসিন-উজ-জামান চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে গতকাল মধ্যরাতে সংঘর্ষ হয়েছে। আমরা বিষয়টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও স্থানীয় সাংসদকে জানিয়েছি। কলেজের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হচ্ছে। সেখানে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে।’
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সালাম মিয়া বলেন, ‘ছাত্রলীগের দুই পক্ষ নিজেদের মধ্য ঝামেলা করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। অতীতেও এ দুটি পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।