পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের রামগড় পৌরসভার মহামুনি ও ভারতের সাবরুম মহকুমার দোলবাড়ী সীমান্ত সংযোগ ফেনী নদীতে মৈত্রী সেতু-১ নির্মাণের অগ্রগতি কাজ পরিদর্শন করলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
বুধবার দুপুর ১ টায় দুদেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল রামগড় পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে ব্রিজটি নির্মাণের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠক শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, রামগড়ের মহামুনি এলাকার ফেনী নদীতে মৈত্রী সেতু ১ নির্মাণে আর কোন বাধা রইলো না। এটি নির্মিত হলে এই অঞ্চলের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।
এসময় ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানান, গত ১০ বছরে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন অতুলনীয়ভাবে এগিয়েছে। ফেনী নদীর উপর প্রস্তাবিত এই ব্রিজ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংযোগসহ ব্যবসা, পর্যটন বৃদ্ধি করবে। এসময় হাইকমিশনার মন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেন তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা দেশের স্বাধীনতা ও সাংবিধানিক মূল্যবোধ রক্ষা তিনি লড়াই করছেন।
এসময় সেতুমন্ত্রী ও হাইকমিশনার ছাড়াও খাগড়াছড়ি জেলার সাংসদ উপজাতীয় শরণার্থী টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সাবেক সাংসদ ও শরণার্থী টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান যন্তিন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী মোহাম্মদ চাহেল তস্তরী, চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপদ বিভাগের এডিশনাল চীফ আফতাব হোসেন, মন্ত্রীর সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে ভারতীয় সড়ক ও জনপদ বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৬ সালের ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৩৬ ঘণ্টার সফরে যে ২২টি বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হলো ঢাকা ও দিল্লি তার একটি হলো রামগড়-সাবরুম স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে রামগড় পৌরসভার মহামুনি ও দক্ষিণ ত্রিপুরার সাবরুম মহকুমার দোলবাড়ী সীমান্ত সংযোগ ফেনী নদীতে মৈত্রী সেতু-১ নির্মাণ।
চুক্তিটি সাক্ষর হওয়ার পরপরই আনন্দে ভাসছে রামগড় ও সাবরুমের মানুষ। দুইপাড়ের মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্দীপনা। অর্থনৈতিক ভাবে অনুন্নত রামগড় ও সাবরুমের মানুষ মনে করছে এই মৈত্রী সেতু তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।