পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের কিছু ব্যবসায়ী ভারত থেকে ‘বিফ’ অর্থাৎ গরুর গোশত আমদানির জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন। বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সমিতি এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেছেন, বাজারে গরুর গোশতের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের আমিষের চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে গরুর গোশত আমদানি একটি বাস্তবসম্মত সমাধান হতে পারে। তিনি জানান, শুধু ব্যবসায়ীরা নয়, এ ব্যাপারে সরকারও যথেষ্ট উৎসাহী।
কিন্তু বাংলাদেশের সরকার বা ব্যবসায়ীরা চাইলেও ভারত থেকে ‘বিফ’ বা গরুর গোশত আমদানি করা কি আদৌ সম্ভব?
ভারতের গোশত রপ্তানিকারকদের সমিতির প্রধান ফাওজান আলাভি বিবিসিকে জানিয়েছেন, ভারত থেকে রপ্তানি করার গোশতের ১০০ ভাগই মহিষের গোশত, এক গ্রামও গরুর গোশত নয়। ভারত প্রতি বছর ৭০টির মত দেশে ১০ লাখ টনের মত প্রক্রিয়াজাত গোশত রপ্তানি করে ৪০০ কোটি ডলার আয় করে।
এই গোশতের পুরোটাই মহিষের গোশত, কারণ ভারত থেকে গরু বা গরুর গোশত রপ্তানি নিষিদ্ধ। ভারতে হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে এমনকি মহিষের গোশত রপ্তানিও দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে বলে সেদেশের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন।
বিষয়টি তুললে, এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ভারত থেকে গরুর গোশত আমদানির কথাই ভাবা হচ্ছে এবং সেটা সম্ভব। কিন্তু ভারতের গোশত রপ্তানিকারকদের সমিতির প্রধান ফাওজান আলাভি বলছেন, বাংলাদেশে যদি ভারত থেকে আমদানি করে, সেটা অবশ্যই মহিষের গোশত হবে। কেউ কেউ এই গোশতকেই বিফ বলে, কিন্তু এটি গরুর গোশত নয়, মহিষের গোশত। এ বাদেও, তিনি বলেন, সেই মহিষের গোশতও বাংলাদেশে রপ্তানি সম্ভব নয় যদি না বাংলাদেশ সরকার প্রক্রিয়াজাত গোশতের ওপর আমদানি কর না তোলে।
‘বাংলাদেশ গোশতের জন্য বড় বাজার। আমাদের ধারণা বাংলাদেশে প্রতি মাসে কমপক্ষে ১ হাজার টন গোশত রপ্তানি সম্ভব। ভারতের রপ্তানি করা গোশতের পুরোটাই হালাল। কিন্তু বাংলাদেশে যদি তাদের ৪০ শতাংশ আমদানি কর না ওঠায়, তাহলে সেই রপ্তানি একবারেই লাভজনক হবে না’।
তিনি জানান, ‘সময়ে সময়ে বাংলাদেশের আমদানিকারকরা খোঁজ-খবর করেন, কিন্তু আমদানি করের কারণে সেই উদ্যোগ আর এগোয় না’।
ভারত থেকে গরু পাচার কমে যাওয়ায় সা¤প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে গরুর গোশতের দাম অনেকটা বেড়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশের ভোক্তারা মহিষের গোশতকে গরুর গোশতের বিকল্প হিসাবে গ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।