Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সুজনের ক্লাসে পেসারদের দিন

| প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরের মাঠে আসন্ন দুটি সিরিজকে সামনে রেখে গেলপরশুই শুরু হয়ে গেছে বাংলাদেশ দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্প। প্রথম দিন ফিটনেস পরীক্ষা শেষে গতকাল থেকে জিমের পাশাপাশি শুরু হয়েছে ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন। প্রথম দিনেই পেসারদের নিয়ে আলাদা কাজ করেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে প্রথম দিনটা মাহমুদের কেটেছে পেসারদের নিয়েই। তবে পেসারদের নিয়ে বেশ চিন্তিত জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
২০১৫ সালটা ছিল বাংলাদেশের সোনার ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখার এক বছর। সেই সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল বাংলাদেশ দলের পেসারদের। কিন্তু গত দুই বছরে যেন খেই হারিয়ে ফেলেছেন পেসাররা। এ বছরটা তো খুব বাজেই গেল তাঁদের। বিসিবির চিন্তাটা এখানেই। এ বছর তিন সংস্করণে এমন একটা ম্যাচ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেটিতে শুধু পেসাররাই ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছেন। মাহমুদ তাই বললেন, ‘সব সময় দেখা গেছে ব্যাটসম্যানরা ম্যাচ জিতিয়েছে আমাদের। মোস্তাফিজ-মিরাজের কিছু ভালো স্পেল অবশ্য আছে। এটা নিয়ে ওদের সঙ্গে কথা বলছি। ব্যাটসম্যানরা যতটা উন্নতি করেছে, বোলাররা ততটা পারেনি।’
বোলারদের কোথায় সমস্যা, সেটিও অজানা নয় বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের। তবে মাহমুদ আশাবাদী, দ্রæতই ছন্দে ফিরবেন পেসাররা, আবারও দলকে এনে দেবেন সাফল্য, ‘গত দুই বছরে ভালো বোলিং করছে না আমাদের ফাস্ট বোলিং বিভাগ, এটা চিন্তার জায়গা। সব সময়ই বলি ওরাই ম্যাচ জেতায়। এটা নিয়ে একটু তাই চিন্তিত। চেষ্টা করব তারা যেন লাইন-লেংথ-অ্যাকুরেসি আয়ত্তে আনতে পারে। আমাদের বোলাররা এখনো অ্যাকুরেসি আয়ত্তে আনতে পারিনি। ম্যাচ জয়ে সুইং-অ্যাকুরেসি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা নিয়ে তাদের সঙ্গে কাজ করব।’
তবে এবার পেসারদের থেকে সেরা পারফরম্যান্সের প্রত্যাশায় সুজন। তার মতে, গত দুই বছরে পেসারদের থেকে যে পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করা হয়েছে, সেটা পাওয়া যায়নি। পুরোনো পেসারদের সঙ্গে এ স্কোয়াডে যোগ দিয়েছেন নতুন পেসাররা। সঙ্গে অনেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করে ফিরে এসেছেন। সব মিলিয়ে পেসারদের আসন্ন সিরিজের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করছেন টিম ডিরেক্টর, ‘তাসকিন, রুবেলদের অভিজ্ঞতার মূল্য রয়েছে। নতুন ক্রিকেটার সব সময় আলাদা ধরনের উত্তেজনা নিয়ে আসে। তবে গত দুই বছর পেসারদের থেকে যতটুকু প্রত্যাশা করেছি, সেটা হচ্ছে না। আমরা সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে চাই। হয়তো বা মুস্তাফিজের স্পেলে জিতেছি, মিরাজের স্পেলে জিতেছি। রুবেলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দারুণ একটা স্পেল আছে। এরকম হাতেগোনা কিছু সাফল্য আছে, সেগুলোকে মূল্যায়ন করেই এগিয়ে যেতে হবে।’
সুজনের আগে মুস্তাফিজ-তাসকিনদের খানিক সময় দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশ দলের সাবেক বাঁহাতি পেসার গোলাম নওশের। ১০ দিনের জন্য বাংলাদেশে এসেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রাথমিক যুগের এই অগ্রসেনানী। গতকাল সকালে বিসিবি একাডেমি মাঠে একটু তালিম দিয়ে গেলেন উত্তরসূরিদের। মুস্তাফিজ-তাসকিনদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন নওশের, ‘ওদের বলেছি ভালো বোলিং করতে, শতভাগ ফিট থাকতে। আমরা যেখানে-সেখানে খেতাম না। সব সময় একটা ক্রিকেট সংস্কৃতির মধ্যে থাকতাম। ক্রিকেট সংস্কৃতির মধ্যে থাকাটা খুব জরুরি। এভাবেই তোমাদের নিজেদের এগিয়ে নিতে হবে। নিজেদের মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। তারা দেশের সম্পদ। ওদের চলতে হবে সেভাবেই।’



 

Show all comments
  • রোকন ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ৭:২৩ এএম says : 0
    আশা করি আমাদের টিম নতুন বছরে আগের চেয়ে শক্তি শালী হয়েই ফিরবে ইনশাল্লাহ
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুজন

১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ