নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
হঠাৎ করেই ব্যাটিং কোচের পদ থেকে অ্যাশওয়েল প্রিন্সের পদত্যাগের পর থেকেই চলছিল গুঞ্জন। চব্বিশ ঘন্টা যেতে না যেতেই সেটিই রূপ নিল বাস্তবে। বাংলাদেশ দলের সাবেক প্রধান কোচ জেমি সিডন্স আবারও নিতে চলেছেন টাইগারদের দায়িত্ব। এবার অবশ্য সিডন্স শুধু ব্যাটিংয়ের দিকটা সামলাবেন। বিসিবি থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও প্রিন্সের চেয়ারেই বসতে যচ্ছেন এই অস্ট্রেলিয়ান। বিসিবি সভপতি নাজমুল হাসান পাপনের উদ্ধৃতি দিয়ে ক্রিকইনফো বলেছে, ‘জেমি সিডন্স জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হতে যাচ্ছেন। সিনিয়র ক্রিকেটার ও বোর্ড ডিরেক্টরদের কাছ থেকে আমরা শুনেছি যে তিনি ভালো কোচ, এ কারণেই তাকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এর আগে ২০০৭ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করেন সিডন্স। ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর পদত্যাগ করেন। সিডন্সের অধীনে বাংলাদেশ দল ১৯ টেস্টের মধ্যে ২টি জিতেছে, হেরেছে ১৬টি। এছাড়া ওয়ানডে ম্যাচে ৮৪ ম্যাচে ৩১ জয়ের বিপরীতে পরাজয় ছিল ৫৩ ম্যাচে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ৮ ম্যাচে সবগুলোই হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে সিডন্সের সবচেয়ে বড় অবদান ছিল আজকের এই পঞ্চপাণ্ডব তৈরিতে ভূমিকা রাখা। তার আমলে টাইগার ব্যাটসম্যানদের উন্নতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এখনো সাকিব-তামিমরা তাদের পারফর্মেন্সের কৃতিত্ব সিডন্সকে দেন।
ঘরের মাঠে আসন্ন আফগানিস্তান সিরিজকে সামনে রেখে আনুষ্ঠানিকতাও এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছেন সাবেক এই কোচ। বিভিন্ন ভেন্যুতে ভেন্যুতে গিয়ে ম্যাচ দেখেছেন বিপিএলের। কাজ পাগল এমন একজনকে পেয়ে যারপরনাই খুশি টাইগারদের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও। সাবেক এই অধিনায়ক মনে করেন, পরীক্ষিত সিডন্স বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটিং কোচ, ‘সিডন্স তো পরীক্ষিত কোচ। অন্যতম সেরা ব্যাটিং কোচ। তরুণ যারা আসছে তাদের জন্য অনেক কাজে লাগবে। বিপিএলে সব ছেলেদের খেলা দেখছে। আমাদের ছেলেদের এটিটিউড কী, এই ফরম্যাটে কোন এটিটিউডে ব্যাটিং করছে সেটাই ও দেখছে।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটের উত্থানের সাথে জড়িয়ে যে ক্রিকেটাররা, তারা উঠে এসেছিলেন সিডন্সের হাত ধরে। সুজন তাই আশাবাদী, সিডন্সের উপস্থিতি জাতীয় দলের কার্যকারিতা বাড়াবে, এনে দিবে সাফল্য, ‘যেহেতু বাংলাদেশের ক্রিকেটে আগে কাজ করে গেছে, তামিমদের সাথে অনেক ভালো সম্পর্ক, তামিমরা তখন ছোট ছিল ওর সাথেই কাজ করেছে। এখন পরিণত সাকিব, তামিম, মুশফিককে পাচ্ছে। ও আসলে অবশ্যই অনেক ভালো হবে। তরুণদের জন্যও বড় ব্যাপার হবে।’ এদিকে পারিবারিক কারণে পদত্যাগ করা অ্যাশওয়েল প্রিন্স আসলে ঠিক কী কারণে পদত্যাগ করেছেন, তা জানা নেই বলে দাবি করলেন সুজন। তিনি জানান, ‘শুধু জানি প্রিন্স পদত্যাগ করেছে। কেন তা নিশ্চিত নই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।