পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : কাবুলে তালেবানদের জন্য রাজনৈতিক অফিস খোলার জন্য আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির প্রতি দাবি জানিয়েছেন দেশটির ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ। অচল হয়ে পড়া শান্তি আলোচলনা শুরুর উপায় নিয়ে আলোচনার জন্য কাবুলে ধর্মীয় নেতাদের দু’দিনব্যাপী সম্মেলন শেষে গত বুধবার এই আহŸান জানানো হয়। তারা বলেন, কাবুলে তালেবানদের জন্য অফিস খুললে তাদের প্রতি ইতিবাচক আহŸান জানানো হবে। আফগান সরকার যখন ২০টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে “কাবুল প্রসেস” শান্তি সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখনই ধর্মীয় নেতাদের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি এ দাবি জানানো হলো। অন্যদিকে, দেশের ভেতরেই তাদের সাথে শান্তি আলোচনা শুরুর একটা সুযোগ হবে। এদিকে ঘানি বলেন, সরকার তালেবানদের সাথে অভ্যন্তরীণ আলোচনা শুরুর চেষ্টা করবে। তবে পাকিস্তানের সাথে শান্তি আলোচনার প্রশ্নে ইসলামাবাদের সাথে কথা বলবে সরকার এবং শান্তি আলোচনা হবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে। ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশে ঘানি বলেন, আপনাদের সব প্রস্তাব আমরা মেনে নিচ্ছি, তবে তালেবানদেরও প্রমাণ করতে হবে যে, শান্তির ব্যাপারে তাদের আগ্রহ ও সদিচ্ছা রয়েছে। তালেবানদের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে কাবুলে দুই দিনের এক সম্মেলনের আয়োজন করে হাই পিস কাউন্সিল (এইচপিসি)। সম্মেলনের পরই তারা প্রেসিডেন্টের কাছে এই প্রস্তাব পেশ করলো। হাই পিস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ করিম খলিলী সম্মেলনের উদ্দেশে বলেন, আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা তালেবানদের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্য বিভিন্ন পন্থা নিয়ে মতবিনিময় করেন। আফগানিস্তানের ভেতরেই তাদের সাথে সম্ভাব্য শান্তি আলোচনা শুরুর ব্যাপারেও আলোচনা করেন তারা। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাত শতাধিক ধর্মীয় নেতারা এ সম্মেলনে অংশ নেন। খলিলী বলেন, শান্তিই দেশের চলমান অস্থিতিশীলতার একমাত্র সমাধান। তালেবানদের সাথে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা। বুধবার সম্মেলন শেষ হয় এবং এরপরই সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করে নিজেদের অভিমত জানান ধর্মীয় নেতারা। সহিংসতার পথ পরিত্যাগ করতে তালেবানদের প্রতিও আহŸান জানান ধর্মীয় নেতারা। খলিলী বলেন, শান্তি প্রক্রিয়াকে আমরা সমর্থন দেবো এবং একে আরো শক্তিশালী করার চেষ্টা করবো। সর্বত্র শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শান্তিকামী জনতার কণ্ঠকে আমরা তুলে ধরবো। আফগান সরকার এই সম্মেলনে তালেবানদের সাথে তাদের শান্তি প্রক্রিয়ার কৌশল ঘোষণা করবে। ঘানি আরও বলেন, পাকিস্তানের সাথে আমি শান্তি স্থাপন করতে চাই, কিন্তু তালেবানরা সেটা চায় না। তালেবানরা যদি নিজেদের আফগানী মনে করে এবং ধর্মীয় নেতাদের প্রতি তাদের যদি কোন শ্রদ্ধাবোধ থাকে, তাহলে তাদের উচিত হবে আমাদের সাথে অভ্যন্তরীণ শান্তি আলোচনায় যোগ দেয়া, যাতে করে আমরা পাকিস্তানের সাথে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে শান্তি আলোচনা শুরু করতে পারি। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।