রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে নজির হোসেন নজু : দীর্ঘদিন ধরে জনবল সঙ্কট আর অপর্যাপ্ত বাজেটের কারণে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে দেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা। এদিকে আধুনিকায়নে অবকাঠামোর আংশিক উন্নয়ন করা হলেও অত্যাধুনিক মেশিনপত্র স্থাপন এবং জনবল না থাকায় কারখানায় কাঙ্খিত উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া অনেক যন্ত্র নষ্ট হয়ে পড়ে থাকলেও মেরামতের কোন উদ্যোগ নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ১৮৭০ সালে স্থাপিত সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার অতীতে যাত্রীবাহী কোচ ও মালবাহী ওয়াগন তৈরির পাশাপাশি মেরামত করা হতো ইঞ্জিন। কিন্তু জনবল সঙ্কট ও অপর্যাপ্ত বাজেটের কারণে জোড়াতালি দিয়ে চলছে মেরামত কাজ।
জানা গেছে, কারখানার যান্ত্রিক বিভাগে ২ হাজার ৮৩৪ পদের স্থলে রয়েছেন ১ হাজার ৪৯ জন। একইভাবে বৈদ্যুতিক বিভাগে ৩৩৫ জনের স্থলে ১৬১ জন, পূর্ত বিভাগে ৭৫ জনের স্থলে ৪২ জন, সরঞ্জাম বিভাগে ৩০৮ জনের স্থলে ১১৬ জন, ডিএমও বিভাগে ১৫৩ জনের স্থলে ৮৫ জন, হিসাব বিভাগে ১১৫ জনের স্থলে ৪২ জন, এবিই/ময়দানে ৪৭ জনের স্থলে ৩৪ জন, এবিই/কারখানায় ১২৭ জনের স্থলে ২২ জন, রেলওয়ে স্কুলে ২৫ জনের স্থলে ১৫ জন এবং ট্রেড এ্যাপ্রেন্টিস ২ জন কর্মরত রয়েছেন। অর্থাৎ মঞ্জুরীকৃত ৪ হাজার ১৯ টি পদের স্থলে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৫৬৮ জন। ২ হাজার ৪৫৩ টি পদই শূন্য। সীমিত সংখ্যক লোকবল দিয়েই এখানে মেরামত হচ্ছে যাত্রীবাহী ও মালবাহী কোচ। এছাড়া তৈরি করা হয় সুইং হ্যাগার, সেন্টার পিভোট, ড্রবার, ব্রেক স্যাফটসহ বিভিন্ন ধরণের ১ হাজার ২০০ রকমের যন্ত্রাংশ।
এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুরস্থ রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শেখ রোবায়েতুর রহমান জানান, বর্তমান সরকার ২০০৩ সাল থেকে রেলের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছে। এ উন্নয়ন ধারা ধরে রাখতে কারখানাটিতে জনবল নিয়োগ খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মো. মোখছেদুল মোমিন বলেন, ১৯৭০ সালে দুই শিফটে সৈয়দপুর কারখানায় ১০ হাজার শ্রমিক কর্মচারী ছিল। পর্যায়ক্রমে হ্রাস পেয়ে বর্তমানে কর্মরত ১ হাজার ৫৬৮ জন। অথচ কারখানায় মেশিনারিজ এন্ড প্লান্টসের সংখ্যাই ৭৮৭টি। এমতাবস্থায় উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ মারাতœকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কারখানাটিকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে জনবল নিয়োগের দাবি জানিয়ে স¤প্রতি প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
কারখানার বিভাগীয় তত্বাবধায় (ডিএস) মুহাম্মদ কুদরত-ই-খোদা জানান, ২০১৮ সালে ৮০ জন এবং ২০১৯ সালে আরো ৯২ জন শ্রমিক-কর্মচারী অবসরে যাবেন। ফলে জরুরি ভিত্তিতে কারখানায় জনবল নিয়োগ দেয়া না হলে যে কোন সময় কারখানার কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।