পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান তমাল এস এম পারভেজ বলেছেন, বিদেশে বিনিয়োগ করলে আরও বেশি লাভবান হতে পারতাম। তারপরও দেশের প্রতি ভালোবাসায় বিনিয়োগ করে ব্যাংক করেছি। কারণ আমার দেশের লোকজন সুবিধা পাবেন। পারিপার্শ্বিক লোকজনের কাজে আসবে। তিনি বলেন, ব্যাংক আমাদের কাছে সন্তানের মত। ব্যাংকের ইমেজ নিয়ে সমস্যা হয়েছে। পরিচালকদের সম্মতিতে আমি শুধুমাত্র দায়িত্ব নিয়েছি। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। এখন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করাটাই চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তমাল। তিনি বলেন, হারিয়ে যাওয়া ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনাই হবে নতুন পরিচালনা পরিষদের প্রধান কাজ। একই সঙ্গে আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে যা যা করা প্রয়োজন, তাও করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। দৈনিক ইনকিলাবকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানান বেসরকারি ব্যাংকটির সদ্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়া তমাল এস এম পারভেজ। সাবেক চেয়ারম্যানের প্রশংসা করে তিনি বলেন, সঠিক সময়ে ব্যাংকের দায়িত্ব ছেড়েছেন। এটা তার মহাত্মই বলতে হবে। তিনি বুঝতে পেরেছেন এই সময়ে ব্যাংকের হারানো ইমেজে ফিরিয়ে আনতে অন্য কাউকে দরকার। এ জন্য তিনি চেয়ারম্যানের পদ ছেড়েছেন। তিনি বলেন, আমাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব প্রদানে হয়তো আমার যোগ্যতা ও সক্ষমতাকে দেখা হয়েছে। এছাড়া সাবেক চেয়ারম্যান ফরাসত আলী কিছুটা অসুস্থ্যও বলে উল্লেখ করেন নতুন চেয়ারম্যান। তিনি অনেক ত্যাগ করেছেন। আমিও করছি। এখন থেকে আমাকেও বাংলাদেশে বেশি সময় থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ব্যাংকের উপর থেকে মানুষের যে আস্থার সঙ্কট তৈরি হয়েছে তা ফিরিয়ে আনা বর্তমান পরিচালনা পরিষদের অন্যতম লক্ষ্য। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের যে সব বিধি নিষেধ আছে সেগুলোতে পৃথকভাবে নজর দেয়া হবে। তিনি বলেন, ব্যাংকে যে ‘ল্যাক অব ডিসিপ্লিন’ সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করা হবে। পাশপাশি রেগুলেটরি অর্গানগুলোর মধ্যে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা দূর করাও অন্যতম দায়িত্ব।
ব্যাংক নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা গুজব থাকলেও নতুন ব্যাংক হিসেবে আমরা খারাপ নই, শুধুমাত্র কিছুটা কমপ্লায়েন্স ঘাটতি রয়েছে। সেটা আর থাকবে না। এক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজর দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ডিপোজিটরদের কোন ধরণের সমস্যা হবে না। এখানের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি কর প্রদানকারী তালিকায় আছে।
পারভেজ বলেন, ব্যাংকের উদ্যোক্তারা সৎ উপায়ে টাকা অর্জন করে সঠিক চ্যানেলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছেন। বিদেশে থেকে টাকা আয় করা খুবই কঠিন। এই কঠিন শ্রমের ফসল এই ব্যাংক। তাই এ ব্যাংককে কোনভাবেই নষ্ট হতে দেব না।
একান্ত আলাপকালে তমাল এস এম পারভেজ আরো বলেন, চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে আমরা খারাপ করছি না। ব্যাংকে ডিসিপ্লিন (শৃঙ্খলা) বা অন্য যে প্রশ্ন আসছে তা আর থাকবে না। পুরানো সমস্ত প্রশ্নের জবাবদিহিতা থাকবে। এগুলো অবশ্যই জনগণের কাছে জবাব দিবো। তিনি বলেন, কিছু লোন ক্লাসিফাইড (খেলাপী) হয়েছে। আমি ও বোর্ডের প্রত্যেকটা লোক এই লোনকে বিশেষভাবে নজরে রাখব। ক্লাসিফাইড হওয়া প্রত্যেকটা গ্রাহকের কাছে গিয়ে গিয়ে এটা দ্রæত রিকোভার করার জন্য বলবো। তমাল এস এম পারভেজ আশা প্রকাশ করে বলেন, চলতি ডিসেম্বর মাসেই সবাই দেখবে ক্লাসিফাইড লোন দুই শতাংশের নিচে চলে এসেছে। এমনকি এক শতাংশও হতে পারে। ধীরে ধীরে এটি শূণ্যের কোটায় নিয়ে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
ব্যাংককে একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করে নতুন চেয়ারম্যান বলেন, ক্লাসিফাইড লোনে কোন বেনামী লোন নেই। আমরা জানি ‘হু আর দেম’। বেনামী হলে খুঁজেই পেতাম না। এ রকম কোন বেনামী লোন নাই, যাকে আমরা চিনিনা। যাদেরকে লোন দেয়া হয়েছে ম্যানেজমেন্ট তাদেরকে চেনে না এ রকম কোন রেকর্ডও নেই। তাই বোর্ড চেষ্টা করবে লোন ফেরত আনার জন্য। ডিসেম্বরের মধ্যে ভাল রেজাল্ট আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পারভেজ।
তমাল এস এম পারভেজ দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি রাশিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি। ২০১৩ সালের এপ্রিলে এনআরবিসি ব্যাংক যখন যাত্রা শুরু করে মূল উদ্যোক্তা ছিলেন ফরাসত আলী। তিনি সে সময় নিউ ইয়র্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ফরাসত আলীর নেতৃত্বেই বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা মিলে প্রতিষ্ঠা করেন এই ব্যাংকটি। শুরু থেকে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন ফরাসত আলী। আর উদ্যোক্তা পরিচালক ছিলেন তমাল এস এম পারভেজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।