Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুলিশ কর্মকর্তাদের অপসারণ দাবিতে বেনাপোলে বিক্ষাভ ও মানববন্ধন

দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বন্ধ

বেনাপোল অফিস | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পুলিশ কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেধে দিয়ে গতকাল সকালে কাস্টমস কর্মকর্তারা বেনাপোলে বিক্ষাভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে। বন্ধ রয়েছে দু দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। প্রতিবাদে সারা দেশে কাস্টমস কর্মকর্তারা কালো ব্যাজ ধারণ করছে।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট কাস্টমস তল্লাশি কেন্দ্রে বুধবার রাতে ভারত থেকে আসা দুইজন পাসপোর্ট যাত্রীর ব্যাগেজ তল্লাশির ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও কাস্টমস কমকর্তাদের মধ্যে মারামারি, ও ভাঙচুরের ঘটনায় পাঁচ কাস্টমস কর্মকর্তা আহত হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হযেছে। বেনাপোল কাস্টমস অফিসার অ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি বীর মুক্তি যোদ্ধা নজরুল বাঙালি কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের জানান, সরকারি অফিস ভাঙচুর ও কাস্টমস অফিসারদের ওপর হামলার ঘটঁনায় জড়িত ওসি ওমর শরীফসহ পাঁচজন পুলিশের অপসারণ করা না হলে আগামী রবিবার থেকে কালোব্যাজ ধারণ, কর্মবিরতি ও আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বিজয়ের মাসে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বাঙালিসহ কাস্টমসের পাঁচ কর্মকর্তার ওপর পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, বিসিএস কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অ্যাসোশিয়েশন, বাংলাদেশে কাস্টমস একসাইজ অ্যান্ড ভ্যাট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ কাস্টমস একসাইজ অ্যান্ড ভ্যাট তৃতীয় শ্রেণী নির্বাহী কর্মচারী সমিতি। বেনাপোল কাস্টমস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কাস্টমস এর কাছে গোপন সংবাদ ছিল ভারত থেকে দু জন পাসপোর্ট যাত্রী এক লাখ ডলার ও রুপির একটি চালান নিয়ে বাংলাদেশে আসছে এমন সংবাদের ভিওিতে দুইজন পাসপোর্ট যাত্রীকে আটক করা হয়। পরে ওসি ওমর শরীফের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই যাত্রীদের ছিনিয়ে নেয় কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছ থেকে। তাদের কাছ থেকে আট লাখ টাকার অবৈধ মালামাল আটক করলেও ডলার ও রুপি আটক করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী জানান, বিজয়ের মাসে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সিনিয়র অফিসারসহ আরো পাঁচজন অফিসার পুলিশ কনস্টবেল কর্তৃক শারিরীকভাবে নির্যাতন করায় গোটা মুক্তিযোদ্ধাদের অসন্মানিত করা হয়েছে। এ ঘটনাটি সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ দেখে তদন্ত করা হলে মূল অভিযুক্তকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। কাস্টমস অফিসারদের মারধর করায় গোটা কাস্টমস এর মতো সরকারি একটি অফিসে এ ধরনের হামলা ভাঙচুর সত্যিই দুঃখজনক। কাস্টমসের কাজে অন্য একটি সংস্থার এ ধরনের হস্থক্ষেপ সরকারের রাজস্ব আদায়ে বাধাগ্রস্ত হবে। এ ধরনের তৎপরতা বন্ধ হওয়া উচিত। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত থেমে থেমে আমদানি-রফতানি শুরু হচ্ছে।



 

Show all comments
  • সেলিম ২২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ৭:০৯ পিএম says : 0
    পুলিশদের সমিতি নাই।তাই তাদের দোষ দেয়া সহজ।কাস্টম দের সমিতি অাছে।তাই তারা অান্দোলন করে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুলিশ

৩ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ