নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : চার জাতির সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হচ্ছে আজ থেকে। আসরে অংশ নিচ্ছে স্বাগতিক বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান। খেলছে না পাকিস্তান, মালদ্বীপ ও শ্রীলংকা। কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী দিন সকাল সাড়ে ১১টায় দিনের প্রথম ম্যাচে ভারত মোকাবেলা করবে ভুটানকে। একই ভেন্যুতে দুপুর আড়াইটায় স্বাগতিক বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল। টুর্নামেন্টে রাউন্ড রবিন লিগ শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দু’দল মুখোমুখি হবে ট্রফি জয়ের লড়াইয়ে। স্বাগতিক হিসেবে বাংলাদেশ এ টুর্নামেন্ট শুরু করবে ফেভারিট হিসেবেই। গতকাল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মিডিয়াকে এমনটাই জানান বাংলাদেশ কিশোরী দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তিনি বলেন,‘ আসরে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিপক্ষ ভারত হলেও নেপালও শক্তিশালী দল। নারীদের ফুটবলে তারা দ্রæত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তারাও হয়ে উঠতে পারে ট্রফির দাবিদার। তবে আমরা ছাড় দিয়ে কথা বলবো না। টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততেই লড়বে বাংলাদেশ। আমরাই শিরোপাজয়ের ক্ষেত্রে ফেভারিট।
কোচের কন্ঠে আতœবিশ্বাসী সুর থাকার একমাত্র কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের দলটি বেশ অভিজ্ঞ। গত সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয়া দলটির ১১ ফুটবলারই রয়েছেন সাফের দলে। এছাড় জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ও আছেন বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৫ দলে। তাই শিরোপা প্রত্যাশা করতেই পারেন কোচ ছোটন।
পুরুষ জাতীয় দলের পারফরম্যান্স ও ফিফা র্যাঙ্কিং যেখানে ক্রমশ নীচের দিকে, সেখানে বাংলাদেশের নারী জাতীয় ফুটবল দলের ঠিক উল্টো দৃশ্য। প্রতিনিয়তই উন্নতি করছে তারা। শুক্রবার ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দেখা গেছে ছয় ধাপ উন্নতি করেছে সাবিনা-কৃষ্ণারা। ১০৬ নম্বর থেকে ১০০ নম্বরে উঠে এসেছে তারা। এজন্য তাদের অভিনন্দন জানিয়েছে বাফুফে। এটাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা দলের সেরা র্যাঙ্কিং। এশিয়ার মধ্যে এখন তারা আছে ২৪তম এবং সাফ অঞ্চলে দ্বিতীয় অবস্থানে। সাফ অঞ্চলে বাংলাদেশের আগে আছে ভারত (এশিয়ায় ত্রয়োদশ, বিশে^ ৫৭তম) এবং নেপাল (এশিয়ায় ২২তম, বিশে^ ৯১তম)। এটি কোচ ছোটনকে কাল স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি বলেন, ‘র্যাঙ্কিংযে আমাদের উন্নতি হয়েছে ভাল কথা। তবে আমরা এটাকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চাই না। কারণ মাঠের খেলাটাই আসল। জিতলে বা সাফল্য পেলে র্যাঙ্কিং এমনিতেই ভাল হবে। এটা নিয়ে বেশী উচ্ছ¡সিত হওয়ার কিছু নেই।’
২০১৫ সালে এএফসি অনুর্ধ্ব-১৪ বালিকা চ্যাম্পিয়নশিপে (আঞ্চলিক জোন, সাউথ এ্যান্ড সেন্ট্রাল) বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়নের খেতাব জিতেছিল। ওই আসরে ভারত, ভুটান ও নেপালের বিপক্ষে খেলা বাংলাদেশ দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই আছে বর্তমান অনুর্ধ্ব-১৫ দলে। কাজেই এটাকে দলের বাড়তি শক্তি হিসেবেই দেখছেন লাল-সবুজদের কোচ ছোটন। ২০১৫ সালের ওই আসরটি নেপাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ফাইনালের আগে কাঠমান্ডুতে প্রলয়ঙ্কারী ভূমিকম্প সংগঠিত হয়। এতে ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। ফাইনাল খেলা স্থগিত করা হয়। তবে কয়েক মাস পর তা নেপালেই অনুষ্ঠিত হয়।
অনুর্ধ্ব-১৪ আসরে নেপালকে দু’বার হারিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা (১-০ এবং ৯-০ গোলে)। কাজেই আজকের ম্যাচে বাংলাদেশই ফেভারিট, এতে কোন সন্দেহ নেই? এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্দা বলেন, ‘আমরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমাদের প্রস্তুতিও ভাল। দেশের মাটিতে খেলা। বিজয়ের মাস চলছে। একাত্তরে আমরা যেমন বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলাম, তেমনি ফুটবল মাঠেও ভাল খেলে আমরা এবার বিজয় ছিনিয়ে আনতে চাই। এজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।