মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাখাইনে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর আগস্ট মাসেই ৬,৭০০ রোহিঙ্গা প্রাণ হারায়
৬৯ শতাংশ মৃত্যু গুলিতে, ৯ শতাংশ আগুনে পুড়ে, পিটিয়ে মারা হয়েছে ৫ শতাংশ
রোহিঙ্গাকে
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা বাহিনীর ‘জাতিগত নির্মূল’ অভিযানে কমপক্ষে ৯ হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। ২৫ আগস্ট থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আগস্ট মাসেই ৬,৭০০ রোহিঙ্গা প্রাণ হারায়। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা মেডিসিনস স্যানস ফ্রন্টিয়ারস (এমএসএফ) আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে এক জরিপ চালানোর পর এ তথ্য জানিয়েছে। মিয়ানমারের সরকারি কর্মকর্তারা সেনা অভিযানে ৪০০ রোহিঙ্গার প্রাণহানির তথ্য জানালেও এমএসএফের তথ্য বলছে ভিন্ন কথা। আন্তর্জাতিক এ দাতব্য সংস্থা বলছে, ব্যাপক সহিংসতার ঘটনায় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টতার পরিষ্কার প্রমাণ পাওয়া গেছে। গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতার পর রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এমএসএফ নামের সংস্থাটি বলছে, মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ পরিচালিত ব্যাপক সহিংসতার স্পষ্ট ইঙ্গিত এটি। এমএসএফ-এর তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট থেকে ৬ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। তাদের জরিপে বলা হয়, ২৫ আগস্ট থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তত ৯ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারে মারা যায়। এর মধ্যে অন্তত ৬ হাজার ৭শ’ মৃত্যুর কারণ সহিংসতা, যার মধ্যে পাঁচ অথবা তার চেয়ে কম বয়সের শিশু ছিল ৭৩০ জন। তবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দাবি, নিহতের সংখ্যা ৪০০ যাদের মধ্যে বেশিরভাগই আরাকান সন্ত্রাসী। সংস্থার মতে, ৬৯ শতাংশ মৃত্যু ঘটেছে গুলিতে। ৯ শতাংশ রোহিঙ্গা মারা গেছেন আগুনে পুড়ে। আর পিটিয়ে মারা হয়েছে ৫ শতাংশ রোহিঙ্গাকে। নিহতদের মধ্যে পাঁচ বছরের নিচের শিশুরাও রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫৯ শতাংশকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, ১৫ শতাংশকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে আর পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ৭ শতাংশ শিশুকে। ২ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হয়েছে স্থলমাইন বিস্ফোরণে। এমএসএএফের মেডিক্যাল পরিচালক সিডনি ওং বলেন, এই সংখ্যা আসলে আমাদের ধারণা মাত্র। আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এমন একটি হিসেবে দাঁড় করাতে পেরেছি। এমনকি সব রোহিঙ্গাদের সঙ্গেও কথা বলার সুযোগ হয়নি। এছাড়া সব পরিবার পালিয়ে আসার সুযোগও পায়নি। অনেক পরিবারের সবাই রোহিঙ্গা সেনাদের হাতে খুন হয়েছেন। রোহিঙ্গারা ভয়াবহতার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেছেন, দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুরুষ সদস্যদের ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করছে, নারীরা প্রতিনিয়ত সেখানে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে আর তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।