নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি যে কোন ক্রিকেটারের কাছেই কাঙ্খিত এক মাইলফলক। আর দ্বিশতক? তাও আবার ওয়োনডেতে? সে তো ব্যাটসম্যানদের কাছে একটা স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন একবার করে স্পর্শের সুযোগ হয়েছে চারজন ক্রিকেটারের। আর রোহিত শর্মা? এ নিয়ে তিন-তিনবার! রোহিতের এবারের তোপটা পড়েছে শ্রীলঙ্কার উপর। গতকাল মোহালিতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে। বলার অপেক্ষা রাখে না, ম্যাচটি জিতে সিরিজে সমতা এনেছে ভারত।
বিরাট কোহলির অনুপস্থিতিতে রোহিতই এখন দলের অধিনায়ক। প্রথম ওয়ানডেতে সোচনীয়ভাবে হারের ব্যর্থতাই হয়ত এদিন তাকে তাতিয়ে দিয়েছিল। যার জের নির্মমভাবে টানতে হলো লঙ্কান বোলারদের। পেরেরা-প্রদিপদের বেধড়ক পিটিয়েও ক্ষান্ত হননি ডানহাতি ওপেনার। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেছেন ১৫৩ বলে ২০৮ রান করে। ভারতও পায় ৪ উইকেটে ৩৯২ রানের বিশাল সংগ্রহ। যে সংগ্রহের ধারেকাছেও যেতে পারেনি থিসারা পেরেরার শ্রীলঙ্কা। ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে তারা করতে পারে ২৫১ রান। আর ম্যাচ হারে ১৪১ রানে।
এমন ম্যাচে জয় ভিন্ন বাকি সবকিছুই হয়ে পড়ে গৌণ। যেমন গৌণ হয়ে পড়েছে ৭০ বলে শ্রেয়াস আয়ারের ৮৮ ও শেখর ধাওয়ানের ৬৭ বলে ৬৮ রানের ইনিংস দুটি। ধাওয়ানের সঙ্গে ১১৫ রানের জুটির পর আয়ারের সঙ্গে ২১৩ রানের জুটি গড়েন রোহিত। ১২৬ বলেও রোহিতের রান ছিল ১১৬। এরপর হঠাৎই যেন ক্রিকেটীয় আশরীরী ভর করল তার ব্যাটে। যার তোপে খান খান হতে হল লঙ্কান বোলারদের। শেষ ২৭ বলে করে ফেললেন ৩৪১ স্ট্রাইক রেটে ৩টি চার ও ১১ ছক্কায় ৯২ রান। সবচেয়ে বড় ঝড় গেছে নুয়ান প্রদিপের উপর দিয়ে। ১০ ওভারে এই মিডিয়াম পেসারের কাছ থেকে আদায় করেন ১০৬ রান। মাইক লুইস (১১৩) ও ওহাব রিয়াজের (১১০) পর ওয়ানডেতে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ খরুচে বোলিং। তবে লঙ্কানদের হয়ে রেকর্ডটা এখন তার। আগের রেকর্ডটা ছিল মুত্তিয়া মুরালিধরনের (৯৯), ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
ভারতীয় ইনিংসের ৩৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ক্যারিয়ারের ১৬তম ও অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পান রোহিত। বীরেন্দ্র শেবাগকে টপকে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিকও এখন তিনি। ১৫১তম বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল-সেঞ্চুরি পেয়ে যান ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের বিশ্বরেকর্ডধারী রোহিত। শেষ পর্যন্ত ১৩টি চার ও ১২টি ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ২০৮ রানে।
বিশাল লক্ষ্যে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় সফরকারীরা। তবে এক প্রান্ত আগলে চেষ্টা চালিয়ে যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। সেটা কিসের চেষ্টা সেটা অবশ্য একটা কৌতুহলের বিষয়। ১৩২ বলে তার অপরাজিত ১১১ রানের ইনিংসের দিকে তাকিয়ে সে প্রশ্ন করায় যায়। তার মানে ওয়ানডে ক্রিকেটে ম্যাথিউসের দ্বিতীয় শতক কেবল হারের ব্যবধান কমাতেই কাজে লাগল।
ব্যাট বলে দারুণ নৈপূণ্য দেখালেও ১৮ বছর বয়সী ডানহাতি লেগ স্পিনার ওয়াশিংন্ট সুন্দরের অভিষেকটা কিন্তু মধুর হলো না। ১০ ওভার বল করে ১ উইকেট পেলেও খরচ করতে হয়েছে ৬৫ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত : ৫০ ওভারে ৩৯২/৪ রোহিত ২০৮*, ধাওয়ান ৬৮, আয়ার ৮৮; পেরেরা ৩/৮০)।
শ্রীলঙ্কা : ৫০ ওভারে ২৫১ (ম্যাথিউস ১১১, গুনারতেœ ৩৪; চাহাল ৩/৬০, বুমরাহ ২/৪৩)।
ফল : ভারত ১৪১ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : রোহিত শর্মা (ভারত)।
সিরিজ : ৩ ম্যাচের সিরিজ ১-১ ড্র।
ওয়ানডে ক্রিকেটে যত ডাবল-সেঞ্চুরি
ব্যাটসম্যান রান বল ৪ ৬ স্ট্রাইক রেট প্রতিপক্ষ ভেন্যু সাল
রোহিত শর্মা (ভারত) ২৬৪ ১৭৩ ৩৩ ১১ ১৫২.৬০ শ্রীলঙ্কা কলকাতা ২০১৪
মার্টিন গাপটিল (নিউজিল্যান্ড) ২৩৭* ১৬৩ ২৪ ১১ ১৪৫.৩৯ উইন্ডিজ ওয়েলিংটন ২০১৫
বীরেন্দ্র শেবাগ (ভারত) ২১৯ ১৪৯ ২৫ ৭ ১৪৬.৯৭ উইন্ডিজ ইন্ডোর ২০১১
ক্রিস গেইল (উইন্ডিজ) ২১৫ ১৪৭ ১০ ১৬ ১৪৬.২৫ জিম্বাবুয়ে ক্যানবের ২০১৫
রোহিত শর্মা(ভারত) ২০৯ ১৫৮ ১২ ১৬ ১৩২.২৭ অস্ট্রেলিয়া ব্যাঙ্গালুরু ২০১৩
রোহিত শর্মা (ভারত) ২০৮* ১৫৩ ১৩ ১২ ১৩৫.৯৪ শ্রীলঙ্কা মোহালি ২০১৭
শচীন টেন্ডুলকার (ভারত) ২০০* ১৪৭ ২৫ ৩ ১৩৬.০৫ দ.আফ্রিকা গোয়ালিয়র ২০১০
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।