২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
এখন পুরুষত্বহীনতার রুগী প্রায়ই পাওয়া যাচ্ছে। আর এতে উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমত হতাশ। অভিভাবকরাও বেশ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
পুরুষত্বহীনতা : প্রকৃত অর্থে এটি পুরুষের যৌনকার্যে অক্ষমতাকেই বুঝায়।
মূলত পুরুষত্বহীনতাকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়Ñ
ইরেকশন ফেইলিউর ঃ অর্থাৎ পুরুষ লিঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা।
পেনিট্রেশন ফেইলিউর ঃ অর্থাৎ লিঙ্গের যোনিদ্বার ছেদনে ব্যর্থতা।
প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন ঃ অর্থাৎ সহবাসে দ্রুত বীর্য-স্খলন তথা স্থায়িত্বের অভাব।
কারণসমূহ ঃ প্রধান প্রধান কারণগুলো হলো - বয়সের পার্থক্য
পার্টনারকে অপছন্দ (দেহ-সৌষ্ঠব, ত্বক ও মুখশ্রী)
দুশ্চিন্তা, টেনশন ও অবসাদ
ডায়াবেটিস
যৌনবাহিত রোগ (সিফিলিস, গনোরিয়া)
রক্তে সেক্স-হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
যৌনরোগ বা এইডস-ভীতি
নারীর ত্রুটিপূর্ণ যৌনাসন
সেক্স-এডুকেশনের অভাব।
উপসংহার : দেখা যায়- উঠতি বয়সের যুবকরা হাতুড়ে ডাক্তারের খপ্পরে পড়ে বা স্বেচ্ছায় বিভিন্ন হরমোন ইনজেকশন নেয় অথবা ভুয়া ওষুধ সেবন করে। এটি মোটেই কাম্য নয়। কারণ, এর পার্শ্বক্রিয়ার শেষ পর্যন্ত সত্যিকারভাবে পুরুষত্বহীনতার সম্ভাবনা দেখা দেয়Ñ যা থেকে পরবর্তীতে আরোগ্য লাভ করা অসম্ভব হয়ে উঠে।
ষ ডা. একেএম মাহমুদুল হক খায়ের
ত্বক, যৌন, সেক্স ও এলার্জি বিশেষজ্ঞ এবং কসমেটিক সার্জন।
সিনিয়র কনসালটেন্ট, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
ফোন ঃ ০১৭১৯-২১৯৪২৯, ০২-৯৩৪২৮৭৬
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।