Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গা নয়, বৌদ্ধ শরণার্থিদের আশ্রয় দিতে আগ্রহী ভারত

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সংহিসতা থেকে বাঁচতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে নিজেদের নীতি লঙ্ঘন করলো ভারত। রোহিঙ্গাদের বাদ দিয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১ হাজার ৩০০-এর বেশি বৌদ্ধ শরণার্থীকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য মিজোরামে আশ্রয় দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বৌদ্ধ বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের কারণে অনেক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পালিয়ে ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছে। ১ হাজার ৩০০-এর বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে কেন্দ্রীয় সরকার মিজোরামের প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ভারতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে তাদের ফেরত পাঠানোর জন্য গত আগস্টে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সবকটি রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, রোহিঙ্গারা ভারতের সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে যে আবেদন করেছে, তা শুনানিযোগ্য নয়। কারণ, ৩২ অনুচ্ছেদ দেশের নাগরিকদের জন্য; অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের জন্য নয়। মিজোরাম সরকারের সূত্র জানিয়েছে, লাইটলাঙ, ডুমজাটলাঙ, হমাইঙবুচাউ এবং জচাচচাহ গ্রামে উদ্বাস্তু এবং স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। এই উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা চলছে। রাজ্য প্রশাসনের খবর অনযায়ী, মানবিক কারণে এসব উদ্বাস্তুকে গ্রহণ করা হয়েছে। সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেতে তারা তাদের বাড়িঘর ত্যাগ করেছে। লঙ্গটলাই জেলার ডেপুটি কমিসনার টি অরুন আইএএনএসকে বলেন, উদ্বাস্তুরা ছয় দিন আগে মিজোরাম ভূখন্ডে প্রবেশ করেছে। তারা এখন জেলার চারটি গ্রামে অবস্থান করছে। তাদেরকে আশ্রয় কেন্দ্র, বৌদ্ধ বাড়ি, মন্দির এবং আরো নানা স্থানে রাখা হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা অবস্থা অস্বীকার করা যায় না। অরুন বলেন, আমাদের আসলে দুটি আইন আছে। একটি হলো জাতীয় নিরাপত্তা এবং অন্যটি মানবিক সহায়তার সাথে সম্পর্কিত। দি হিন্দু।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ