পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইসরায়েলে সরকারি দুর্নীতি ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগে তদন্তের মুখে থাকা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। শনিবার রাজধানী তেল আবিবের ওই বিক্ষোভে প্রায় ২০ হাজার ইসরায়েলি যোগ দিয়েছিল। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর থেকে প্রতি সপ্তাহে হওয়া দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় ছিল।
চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বপালন করা নেতানিয়াহু দুর্নীতির দুটি ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। একটিতে তিনি এক ধনী ব্যবসায়ীর কাছ থেকে উপহার নিয়েছিলেন এবং দ্বিতীয়টিতে এক সংবাদপত্র মালিকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী দৈনিককে ডুবিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে বেশি কভারেজ পাওয়ার চুক্তিতে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। এসব অভিযোগ সত্বেও কোনো অন্যায় করার কথা অস্বীকার করেছেন নেতানিয়াহু।
পার্লামেন্টে প্রস্তাবিত একটি খসড়া আইনের কারণেই শনিবারের বিক্ষোভটি ব্যাপক রূপ পায়। আইনটিতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তদন্তে যেসব তথ্য পাওয়া যাবে তা প্রকাশে পুলিশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই আইনটি পার্লামেন্টে পাশ হতে পারে।
রয়টার্সের এক ক্যামেরাম্যান ও ইসরায়েলি গণমাধ্যম বিক্ষোভকারীর সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার বলে জানিয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
সমালোচকরা বলছেন, খসড়া আইনটি নেতানিয়াহুকে রক্ষার একটি নির্লজ্জ পদক্ষেপ এবং তার বিষয়ে তদন্ত সম্পর্কে জনগণকে অন্ধকারে রাখাই এর উদ্দেশ্য। আইনটির সমর্থকদের দাবি, সন্দেহভাজনের অধিকার রক্ষার জন্যই এ আইন। এ বিষয়ে নেতানিয়াহু বলেছেন, ব্যক্তিগত আইনের পক্ষাবলম্বন করার কোনো আগ্রহ তার নেই।
তবে একথা বললেও প্রস্তাবটি আইনটি প্রত্যাহার করার কোনো আদেশও দেননি তিনি। নিজেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার দাবি করে নেতানিয়াহু বলেছেন, “(তদন্তে) কিছুই পাওয়া যাবে না কারণ কিছু নেই।”
যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তবে পদ ছাড়ার চাপে পড়বেন নেতানিয়াহু অথবা তার প্রতি জনসমর্থন বজায় আছে কি না তা পরীক্ষা করতে আগাম নির্বাচনের ডাক দিতে পারেন তিনি। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।