নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এশিয়ান আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ দিন গতকাল মহিলা দলগত ইভেন্টে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়ে শুধু চমকই দেখাননি পদক জয়ের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন বাংলাদেশের তিন আরচ্যার রোকসানা আক্তার, বন্যা আক্তার ও সুস্মিতা বণিক। কিন্তু সেমিফাইনালে শক্তিশালী ভারতের কাছে হেরে প্রথমে ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। এরপর ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে আরেক শক্ত প্রতিপক্ষ ইরানের কাছে হেরে সব আশা শেষ হয়ে যায় লাল-সবুজের নারী আরচ্যারদের। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে কাল সকালে কোয়ার্টার ফাইনালে চাইনিজ তাইপের মুখোমুখি হয় রোকসানা-বন্যা-সুস্মিতারা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে তাইপেকে ২২৪-২২২ পয়েন্টে হারিয়ে কোয়ার্টার থেকে শেষ চারে পা রাখেন তারা। চ্যাম্পিয়নশিপের যে কোনো ইভেন্টের সেমিফাইনালে ওঠাই বাংলাদেশ আরচ্যারির ইতিহাসে সেরা সাফল্য। কিন্তু ভারতের কাছে হেরে সেমিতেই ছেদ পড়ে সুস্মিতাদের। শেষ চারে ভারতের বিপক্ষে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি স্বাগতিক নারী দল। ভারতের তৃষা দেব, জ্যোতিসু রেখা এবং পারভিনার সমন্বয়ে গড়া কম্পাউন্ড দলটির কাছে ২২৮-২১৩ পয়েন্টের ব্যবধানে হেরে যায় বাংলার প্রতিযোগীরা। ফাইনালে ওঠতে না পেরে স্বর্ণ, রুপা জেতার সম্ভাবনা আগেই শেষ হয়। সুযোগ থাকে তৃতীয় হয়ে ব্রোঞ্জ জেতার। কিন্তু সেই লড়াইয়ে ইরানী আরচ্যার বারাবি পারিসা, বাইবোরদি ঘিসা এবং ভরবানির সমন্বয়ে গড়া দলের কাছে ২২৯-২১৭ পয়েন্টে হেরে যায় বাংলাদেশ।
অভিজ্ঞতা আর ম্যাচ কম খেলা কারণে এশিয়ান আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপে স্বাগতিক হয়েও ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। যদিও এই টুর্নামেন্টে পদক জেতার কথা বলেনি তারা। ভালো খেলাই ছিল বাংলাদেশের লক্ষ্য। সেটা পূরণ হওয়ায় দারুণ খুশি বাংলাদেশ কোচ নিশীথ দাস। তার কথা, ‘ইরান শক্তিশালী দল। তাদের সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিনই। তারপরও মেয়েরা যতটুকু চেষ্টা করেছে ভালোই করেছে। আমাদের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা খুবই কম। বেশি বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলে আমার দল ভবিষ্যতে আরো ভালো ফল করবে।’ রিকার্ভে ভালো করবে দল। বিশেষ করে রোমান সানার উপর প্রত্যাশা ছিল কোচের। কিন্তু রোমান প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালেই দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরে বিদায় নেন। এতে অবশ্য অবাক হননি নিশীথ দাস। সার্বিক পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট তিনি। খুশি টুর্নামেন্ট আয়োজনে। এ ব্যাপারে নিশীথ দাস বলেন, ‘আমি ফেডারেশনকে ধন্যবাদ দিতে চাই সুন্দর একটা টুর্নামেন্ট তারা আয়োজন করেছে এবং একই সঙ্গে অনুরোধ করব যাতে আমাদের দলকে আরো বেশি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়। আমরা যেন বেশি বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাই।’
সেমিফাইনালে ভারতের কাছে হারের পরই মনোসংযোগে ঘাটতি চলে আসে। ইরানের বিপক্ষে নামার পর শুধু মনোসংযোগই নয় নার্ভাসনেসও কাজ করে প্রতিযোগি বন্যা, রোকসানা, সুস্মিতার। ইরানের বিপক্ষে হারের প্রসঙ্গে জাতীয় দল ও বাংলাদেশ আনসারের আরচ্যার বন্যা আক্তার বলেন, ‘মনোসংযোগের অভাবেই সেমিতে হেরে গেছি। কিছুটা নার্ভাসনেসও কাজ করেছে। বড় দলগুলোর বিপক্ষে কম খেলার কারণেই মূলত এটা হয়েছে। আসলে আমাদের বেশি বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে হবে। বড় বড় খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিয়মিত খেললে আমরাও নিজেদের সেরাটা দিতে পারব। ইরান অনেক ভালো দল। তাদের বিপক্ষে আসলে মনোসংযোগ ধরে রাখাটা কঠিনই। ওদের সঙ্গে যদি আগে দু’তিন বার খেলতাম তাহলেও আমরা এতটা নার্ভাস হতাম না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।