পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সিপিবি, বাসদ, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চাসহ কয়েকটি বাম দলের ডাকা হরতালে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ সারা দেশে বাম দলগুলো আধা বেলা হরতাল পালন করবে। কাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সারা দেশে এই হরতালের কর্মূসচির ডাক দিয়েছে। এছাড়া বাম দলগুলোর ডাকা হরতালে বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি, নাগরিক ঐক্যও সমর্থন জানিয়েছে।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ কর্মসূচিকে বিএনপির সমর্থনের কথা জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গতকাল বুধবার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বলেন, আমরা মনে করি, জনস্বার্থে এই হরতাল অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত। আগামীকাল বাম দলগুলো যে হরতাল ডেকেছে, আমি বিএনপির পক্ষ থেকে বিএনপি সেই হরতালকে পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করছি। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম গড়ে ৩৫ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে, যা আগামী ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। গত ২৩ নভেম্বর বিইআরসির ওই ঘোষণার পরপরই হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করে বাম দলগুলো। তাদের ভাষায়, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ওই সিদ্ধান্ত গণবিরোধী।
বিইআরসির পক্ষ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব পাওয়ার পরপরই এদিন সন্ধ্যায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে ৩০ নভেম্বর হরতালের ঘোষনা দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। এর আগে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স হরতালের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নিয়ে যে গণশুনানি হয়েছিল সেখানে আমরা এর বিরোধিতা করি। কারণ বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে সাধারণ মানুষ চাপে পড়বে। অথচ কিছু কিছু জায়গায় সংশোধন করা হলে বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়েও গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ করা যায়, সেটা আমরা ওখানে উপস্থাপন করেছি। সিপিবির এই নেতা বলেন, হঠাৎ করে খুচরা পর্যায়ে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম ৩৫ পয়সা বাড়ানো হলে সাধারণ জনগণ অতিরিক্ত চাপে পড়বে, এরই প্রতিবাদে আমরা বৃহস্পতিবার বেলা ২টা পর্যন্ত দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ হরতালের ডাক দিয়েছি।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিদ্যুতের দাম গড়ে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বাড়িয়েছিল সরকার। তাতে মাসে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের খরচ বেড়েছিল ২০ টাকা ৬০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারে খরচ বাড়ে কমপক্ষে ৩০ টাকা। চলতি বছর মার্চে বিভিন্ন খাতে গ্যাসের দাম ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর পর জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছিলেন, গ্যাসের দাম বাড়ায় বিদ্যুতের দামও সমন্বয় করা প্রয়োজন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আরেক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য কমিশন বিদ্যুৎ সংস্থা ও কোম্পানিসমূহের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলা গণশুনানির আয়োজন করে। কিন্তু পরদিন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা অবশ্যই কর্মসূচি দেব। আমাদের একটা ধারণা আছে হরতাল দেওয়া মানে জনগণের সম্পৃক্ততা, এটা সব সময় সঠিক নয়। জনগণের সম্পৃক্ততা নিয়েই আমরা আমাদের পক্ষে যেটা সম্ভব হবে সেই কর্মসূচি দেব। আমরা জনগণের সঙ্গে আছি। বামদের হরতালে বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি, নাগরিক ঐক্যও সমর্থন জানিয়েছে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এই সরকার গণবিরোধী সরকার, এই সরকার মানববিরোধী সরকার, এই সরকার মানবতাবিরোধী সরকার। যতদিন তারা সিংহাসন আটকে রাখবে, ততদিন জনগণ পিষ্ঠ হবে, দলিত হবে, নিষ্ঠুরভাবে তারা দমন করবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় প্রতি সাপ্তাহে হাজিরা দিতে বাধ্য করে হয়রানির প্রতিবাদে’ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে এই মানববন্ধন হয়। রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা তার প্রতিহিংসা পূরণের জন্যই বেগম খালেদা জিয়াকে আইনের নামে, বিচারের নামে হয়রানি করছেন- এটা জনগণের কাছে স্পষ্ট। আমরা বলতে চাই, অনেক জুলুম করেছেন, অনেক মায়ের কোল খালি করেছেন, অনেক মায়ের সস্তানকে গুমের নামে লাল দেয়ালের মধ্যে আটকে রেখেছেন এদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে। এসব বন্ধ করুন। সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, নিপুণ রায় চৌধুরী, জাতীয় দলের সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হুদা মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।