Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আখেরাতের মামলায় ফেল করলে কোনো খালাস নেই -পীর ছাহেব চরমোনাই

| প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বরিশাল ব্যুরো : মুসলিম উম্মাহর শান্তি, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অগ্রহায়ণের তিন দিনব্যাপী চরমোনাইর বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল গতকাল শেষ হয়েছে। চরমোনাই পীর ছাহেব আলহাজ হজরত মাওলানা রেজাউল করীম আখেরী মুনাজাতে দেশ ও জাতী সহ নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের শান্তির জন্য বিশেষভাবে দোয়া করেন। লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লীর বুক ফাটা কান্না ও আহাজারী নিয়ে মাহফিলের আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন আমীরুল মুজাহিদীন সৈয়দ মাওঃ মোঃ রেজাউল করিম পীর ছাহেব চরমোনাইর ।
গতকাল সকাল পৌঁনে ৯টায় কির্তনখোলা নদী তীরে চরমোনাই দরবারন শরিফে ২৫ মিনিট ব্যাপী এ মোনাজাতে পীর ছাহেব গোটা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও নিরাপত্তার জন্যও দোয়া করেন। পাীর ছাহেবের সাথে লাখো মুসুল্লী মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমীনের দরবারে দয়া ও পানাহ চেয়ে আহাজারী করেন।
মোনাজাত শেষে আগত মুসুল্লীগন শত শত বাস, লঞ্চ ও ট্রলার যোগে নিজ গšতব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। দরবার শরীফ ও সংলগ্ন এলাকায় ২টি মাঠ জুড়ে এবং নদীর বিস্তীর্ন এলাকা সহ আশপাশের বাগান, ঘড়বাড়ির আঙিনাসহ কোন স্থান তিল পরিমান ঠাঁই ছিলনা। মাহফিলে আগত মুসুল্লীদের মধ্যে ৪ জন মুসল্লীর মৃত্যু হয়। জানাযা শেষে তাদের কফিন নিজ নিজ ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে মুজাহিদ কমিটি।
গতকাল আখেরী মোনাজাত পূর্ব ফজর বাদ শেষ বয়ানে পীর ছাহেব চরমোনাই বলেন, যারা আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুলের নীতি অনুসরণ করে চলে, তারাই মোমেন। মানুষ মরার পরে রাস্তা হল দুটি, একটি জান্নাত অপরটি জাহান্নাম। ঈমান মানে মুখে স্বীকার করা, অন্তরে বিশ্বাস করা এবং সে অনুযায়ী কাজ করার নাম ঈমান। তিনি বলেন, কবরে চরমোনাইর পীরের মুরীদদের পরিচয়ে কোন লাভ নেই। দুনিয়া হল আখেরাতের কামাইয়ের জায়গা। দুনিয়ার মামলায় একবার ফেল করলে আবার উচ্চ আদালতে তদবির খালাসের আশা করা যায়, কিন্তু আখেরাতের মামলায় ফেল করলে কোন খালাস নেই। তিনি বলেন, কুরআন হাদীস অনুযায়ী নিজের জীবন গঠন করে কবরে যেতে পারলে মুক্তির আশা করা যায়। কলব পরিষ্কার হওয়ার একমাত্র ওষুধ হচ্ছে জিকির। বেশী বেশী আল্লাহ পাকের জিকির করলে কলবের ময়লা দূর হয়। পীর ছাহেব সকলকে সঠিকভাবে জিকিরে মশগুল থাকার নির্দেশ দেন। আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার জন্য সমস্ত হারাম বর্জন করারও তাগিদ দেন পীর ছাহেব। তিনি বরেন, গুনাহের জন্য আল্লাহর নিকট শিশুর মত ক্রন্দন করতে হবে। পীর ছাহেব চরমোনাই বলেন, আমাদের দায়িত্ব শুধু দাওয়াত পৌছিয়ে দেয়া, তাই আপনাদের দাওয়াত পৌছে দিলাম, এখন মানা আর না মানা আপনাদের দায়িত্ব। পীর ছাহেব বলেন, যারা চরমোনাই এসেছেন তারা সকল নির্দেশ মেনে চলবেন, অন্যথায় চরমোনাইর আসার দরকার নাই। কারন আমরা পীর মুরীদির ব্যাবসা করি না। পীর সাহেব আগামী নির্বাচনে বাংলার জমিনে ইসলামী হুকুমাত কায়েম করতে হলে হাত পাখায় ভোট দেওয়ারও আহবান জানান। মাহফিলের মুনাজাতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।



 

Show all comments
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। ৩০ নভেম্বর, ২০১৭, ১০:৫৯ এএম says : 0
    আপনি কেমন পীর দুনিয়ার মসনদের লোভে হাত পাখায় ভোট চাইতেছেন।আমরা বিভিন্ন ইসলামী মাহফিলে শুনে থাকি আল্লাহর অলিরা দুনিয়ার কোন মোহ পছন্দ করেন না।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Yasin Khan ৩০ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:৩১ এএম says : 0
    right
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পীর ছাহেব চরমোনাই


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ