পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কৃষি মন্ত্রণালয় উৎপাদন ঘাটতি পুরণে আগামী বোরো আবাদ এরিয়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যেই মাঠপর্যায়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশও দেয়া হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নির্ভরযোগ্য সুত্র এই তথ্য দিয়ে জানায়, সারাদেশে রোপা আমন ধান আবাদ ও উৎপাদন অতিবৃষ্টি ও পোকা মাকড় আক্রান্তের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সুত্রমতে, গড় ফলনও হয়েছে কম। সারাদেশে প্রায় ৮০ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। প্রত্যাশা ছিল বিঘাপ্রতি ১৭/১৮ মণ ধান পাওয়া যাবে। কিন্তু বাস্তবে পাওয়া যাচ্ছে ১৩/১৪ মণ। গড়ে ৪মণ কম হচ্ছে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল আজিজ গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, ‘ফলন খুবই ভালো হয়েছে। কোনরূপ ঘাটতি হবে না। লেট আমনের ফলন আশানুরূপ’। অথচ মাঠের তথ্য হচ্ছে, এবার ফলন কম হয়েছে। ধান পাকার মুহূর্তে নি¤œচাপের কারণে টানা ৩দিনের অবিরাম বর্ষণে ‘পাকা ধানে মই’ দেয়ার মতো ঘটনা ঘটে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। কৃষকদের কথা, ধান ও চালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমরা এবার তুলনামুলক বেশী জমিতে রোপা আমন আবাদ করি। কিন্তু ফলন কম হওয়ায় প্রত্যাশিত আর্থিক লাভ হয়নি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্র জানায়, সারাদেশে মোট ৫৬লাখ ৩০হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। এর মধ্যে ছিল ৫৩লাখ ৩০হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন ও ৩লাখ হেক্টরে বোনা আমন। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হয়নি। লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ধরা হয় ৫৫ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর। সদ্যবিদায়ী মহাপরিচালক বলেছিলেন আমনে চাল উৎপাদন হবে ১কোটি ৪০লাখ মেট্রিক টন। সুত্রমতে, ওই পরিমাণ চাল উৎপাদন হচ্ছে না এমন আশংকা প্রবল। ফলে আমনে উৎপাদন ঘাটতি থাকছে এটি অনেকটা নিশ্চিত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঘাটতি ও ফলন কম হওয়ার কথা স্বীকার না করলেও কৃষি মন্ত্রণালয় উৎপাদন ঘাটতি পুরণ করতে রোপা আমন ধান কাটার পরেই ‘ল্যান্ড ফি’্র হলে বোরো আবাদের দিকে জোর দিতে বলেছে এবং আবাদ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরো লক্ষাধিক হেক্টর জমিতে যাতে বোরো আবাদ বেশী হয় তার ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের। অতিসম্প্রতি এ ব্যাপারে দেশের ১৪টি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকদের নিয়ে মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে রোপা আমনের উৎপাদন কম হয়েছে। যা পুষিয়ে নেয়ার জন্য বোরো আবাদ এরিয়া বৃদ্ধি করতে হবে। সে মোতাবেক কয়েকটি রিজিয়নে ইতোমধ্যে মাঠকর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমনকি যেসব কৃষক ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সরিষা ও মুসুর আবাদ করেননি তাদের থামিয়ে দিয়ে সেখানে বোরো আবাদ করতে বলা হয়েছে। সুত্রমতে, চলতি মৌসুমে সারাদেশের ৪৮টি জেলার ২লক্ষাধিক হেক্টর জমির রোপা আমন ধান আক্রান্ত হয় অকাল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায়। যার মধ্যে শতকরা থেকে প্রায় ২৫ভাগ সম্পুর্ণ ক্ষতি হয়। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় বাদামী ফড়িংসহ বিভিন্ন পোকা মাকড়ের আক্রমণ হওয়ায় রোপা আমন ধানের ক্ষতি হয়। সেসব কৃষকদের সর্বনাশ ঘটে।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত মৌসুমে বোরোতে বøাস্ট ও পাহাড়ী ঢল, গমে বøাস্ট, রোপা আমনে পোকা মাকড় ও অতিবৃষ্টি এইভাবে পর পর উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সামগ্রিক ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। কৃষকরা হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত। প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয় ভিন্ন তাছাড়া এরপরের আবাদ ও উৎপাদন যাতে কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে কৃষি কর্মবর্তাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। সুত্রমতে, এমনিতেই আবহাওয়ার ফেরফেরে কৃষি উৎপাদনে অনেকটা এলোমেলো হয়েছে। যেমন চলতি রবি মৌসুমে তেল ও ডাল জাতীয় ফসল আবাদ ও উৎপাদন সময়মতো করতে পারেননি কৃষকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।