Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গোমস্তাপুরে আমনের মাঠে সবুজের হাসি, দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মুহা. আতিকুর রহমান, গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) থেকে

গোমস্তাপুরে সবুজে সবুজে ভরে উঠেছে আমন ধানের মাঠ। কিন্তু ধানের দাম নিয়ে এখনও শঙ্কায় আছে কৃষকেরা। যে দিকে চোখ যায় প্রাকৃতিক এক সৌন্দর্যের চির চেনা আবহ। এ যেন এক সবুজের চাদরে ঢাকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে অপূর্ব কারুকার্য। গোমস্তাপুরের আমনের মাঠগুলোতে যেদিকে চোখ চায় মাইলের পর মাইল সবুজের সমারোহ। এক সময় নিম্নভূমি ডোবা জলাশয়ে ধান চাষ অসম্ভব ছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে কৃষি খাতে তার ওই সুবাদে আর ডোবা জলাভূমি পতিত নয়। দিগন্ত জুড়ে যেন সবুজ ফসলের মাঠ। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাসুদ হোসেন জানান, চলতি আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ হাজার ১৪৫ হেক্টর, যা ছাড়িয়ে মোট আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৫৮০ হেক্টর। তন্মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে স্বর্ণা ১১ হাজার ৫ ২০ হেক্টর, ব্রিনা ধান ৩৪-৩০০ হেক্টর, ব্রি ধান ৫২-৭০ হেক্টর, ব্রি ধান ৫৭-১৮০ হেক্টর, ব্রি ধান ৫১-১৬০ হেক্টর, ব্রি ধান ৫৬-১৭০ হেক্টর, ব্রি ধান ৬২-১৫ হেক্টর, বিনা ধান৭-৫০ হেক্টর, বিনা ধান ৯-০৬ হেক্টর, বিনা ধান ১১-০৯ হেক্টর, এবং স্থানীয়জাত চিনি আতব ৩ হাজার ১০০ হেক্টর। বরেন্দ্রর শুষ্ক আবহাওয়ায় এ বছরে কাক্সিক্ষত বৃষ্টিপাত হওয়ায় যেমন ধানগাছ ভালো হয়েছে, তেমনি অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। রহনপুর পৌর এলাকার খয়রাবাদ মহল্লার কৃষক মফিজ উদ্দিন জানান, এ বছরে হালকা মাজরা পোকা ও পাতা পচা (স্থানীয় ভাষায় পচড়া) রোগ দেখা দিয়েছে তবে কীটনাশক প্রয়োগ করে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। তবে এ রোগটা বেশি দেখা দিয়েছে। ধান চাষ করে খুব একটা লাভবান না হওয়ায় এ বছর অন্যান্য ফসলের উপর ঝুঁকে পড়েছে কৃষকেরা। যেমন আম ও আখ চাষে বেশি আগ্রহী অনেক কৃষক। কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ বছরে কাক্সিক্ষত ফলন আসতে পারে এ উপজেলার দুটি অর্থকরী ফসলের মধ্যে একটি ধান অন্যটি আম। ফল-ফলন যাই হোক এখন কৃষকের প্রয়োজন কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য। আমন ধানের ন্যায্য মূল্য পেলে কৃষক যেমন পাবে তার বাঁচার আকুতি তেমনি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কৃষকের ভূমিকা হয়ে উঠবে অর্থবহ এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্ট কৃষি গবেষকরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গোমস্তাপুরে আমনের মাঠে সবুজের হাসি
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ