Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমনের মাঠে কৃষকের হাসি

বি এম হান্নান, চাঁদপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অবিরাম বর্ষণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে আমন ধানের গন্ধে ভরে উঠছে গ্রামীণ জনপদ। আবহমান গ্রাম বাংলার সোনালি মাঠ এখন হেমন্তের পাকা ধানে ভরপুর। শুরু হয়েছে ধান কাটার উৎসব। মহাব্যস্ততায় দিন কাটছে কৃষকের। আমন ধান কাটার এমন চিত্র দেখা গেছে চাঁদপুর জেলার দুটি সেচ প্রকল্প তথা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর মেঘনা-ধনাগোদা বাঁধ ও চাঁদপুর সেচ প্রকল্পে।
চাষিরা বলছেন, অবিরাম বর্ষণে ধানের কিছুটা ক্ষতি হলেও ফলন ভালো হয়েছে। এবার প্রতি হেক্টরে ২.৬২ মেট্রিক টন রোপা আমন ধান উৎপাদন হচ্ছে। আর বোনা আমন উৎপাদন হচ্ছে প্রতি হেক্টরে ১.১৫ মেট্রিক টন। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের মুখে এখন হাসির ঝিলিক।
চাঁদপুর জেলার ৮টি উপজেলায় কম-বেশি রোপা আমন ও বোনা আমনের চাষাবাদ হয়। উফশী জাতের ১৮ প্রকারের রোপা আমন, স্থানীয় জাতের ১৩ প্রকার রোপা আমন এবং ধানীগোল্ড নামের হাইব্রিড জাতের রোপা আমন চাষ করা হয়। এছাড়া ১৮ প্রকারের বোনা আমনের চাষাবাদ হয়।
এবার রোপা আমনের সব চাইতে বেশি চাষাবাদ হয়েছে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ৮ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে। দ্বিতীয় অবস্থানে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের মতলব উত্তর উপজেলায় ৮ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। এছাড়া বোনা আমনে সর্বোচ্চ চাষাবাদ হয়েছে কচুয়া উপজেলায় ৯ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে। ৪ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে শাহরাস্তি উপজেলা। চাঁদপুর কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, জেলায় এবার ৪৩ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ হাজার ৯৯০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন এবং ১৮ হাজার ৩৫৫ হেক্টর জমিতে বোনা আমন। জুলাই’র প্রথমদিকে রোপা আমনের চাষাবাদ শুরু হয়। কর্তন শেষ হবে ডিসেম্বরে। অপরদিকে এপ্রিলের শেষদিকে বোনা আমন ধানের চাষবাদ শুরু হয়। নভেম্বরের মধ্যভাবে কর্তন শেষ হয়। সেই হিসেবে চাঁদপুর জেলায় আমন কর্তন শুরু হয়েছে। তবে অতি বর্ষনের কারনে পানি নামতে দেরী হওয়ায় আমন কর্তন কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষক-কৃষাণীরা সোনালি ধান কাটছেন, টানছেন, মাড়াই করছেন, আবার কেউবা ঝাড়ছেন। সারাদিন রোদে পুড়ে ধান কাটেন। আর রাতভর সেই ধান মাড়াই করে গৃহস্থের গোলা ভর্তি করেন। গৃহিণীরা রান্না করছেন, কেউবা নতুন ধান শুকাচ্ছেন। সব মিলিয়ে এখন কৃষকের দম ফেলার সময় নেই।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উ-পরিচালক আলী আহমেদ জানান, এবার জেলায় ৮৬ হাজার ৫৮২ মে.টন চালের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করা যায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। অবিরাম বর্ষণ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমন ধান চাষাবাদ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। কৃষক আমন ফলনে খুশি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আমনের

২৬ নভেম্বর, ২০২২
৩০ নভেম্বর, ২০২১
১২ জানুয়ারি, ২০২০
২৪ নভেম্বর, ২০১৭

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ