Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গা উচ্চারণ করা যাবে না

পোপ ফ্রান্সিসকে ইয়াঙ্গুনের আর্চবিশপের নসিহত

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রোহিঙ্গাদের আত্মপরিচয়ের প্রশ্নে পোপকে সোচ্চার দেখতে চায় এইচআরডবিøউ
মিয়ানমার সফরকালে রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ না করতে নসিহত করে পোপের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কার্ডিনাল চার্লস মং বো। মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের আর্চ বিশপের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস-এর এক প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা গেছে। উল্লেখ্য, আদি জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের জাতিগত পরিচয় স্বীকার করে না মিয়ানমার। তাদের নাগরিক অধিকার ক্ষুন্ন করতে ‘বাঙালি’ হিসেবে পরিচিত করতে চায় ইয়াঙ্গুন। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে পালিয়ে যাওয়া নাগরিক হিসেবে দেখাতে চায় দেশটি। সোমবার মিয়ানমার সফরে যাচ্ছেন ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। রোহিঙ্গা সংকটের তীব্রতার মধ্যে এই সফর হওয়াতে সবার আগ্রহের কেন্দ্রে থাকবে বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত এই জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তিনি কি বলেন সেই বিষয়টি। লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রোহিঙ্গা শব্দ উচ্চারণে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি এবং দেশটির সেনাবাহিনীর আপত্তি থাকায় কার্ডিনাল চার্লস মং বো পোপকে তা উচ্চারণ করতে মানা করেছেন। এ বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ চালানো শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসে ছয় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ বলে উল্লেখ করেছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে সেনাবাহিনী। দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্ট অং সান সু চি’ও তাদের নিয়ে ইতিবাচক কোনও মন্তব্য করেননি। লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস বলছে, পোপ ফ্রান্সিসের এই সফর মূলত কূটনৈতিক হলেও এই বাস্তবতায় এটি হবে তার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ বছরের আগস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধনযজ্ঞের ভয়াবহতায় তাদের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। বলেছিলেন, ঈশ্বরের কাছে আমরা সবাই প্রার্থনা করি তিনি যেন তাদের সুরক্ষিত রাখেন। তাদের সাহায্যে বাকিদের এগিয়ে আসতে বলেন; যারা তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারবে। এবার এক ভিডিও বার্তায় পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, এমন সম্মান ও উৎসাহের জায়গা থেকে আমি দেশটি সফর করতে চাই যেখানে ইতিবাচক পদক্ষেপের প্রতি পারস্পরিক মেলবন্ধন ও সহযোগিতার প্রচেষ্টা বিদ্যমান থাকবে। আগস্টে রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের ওপর নতুন করে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনযজ্ঞ শুরু হওয়ার আগে সেখানে ১০ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস ছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে এদের অনেকেই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বুধবার মিয়ানমার সফরের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনও রাখাইন পরিস্থিতিকে জাতিগত নিধনযজ্ঞ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর এই হত্যাযজ্ঞের পক্ষে কোনও অজুহাতই দেওয়া যায় না। অপর এক খবরে বলা হয়, মিয়ানমার সফরকালে রোহিঙ্গাদের জনগোষ্ঠীগত স্বীকৃতির প্রশ্নে সোচ্চার হতে পোপের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডবিøউ)। গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস-এর এক প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা গেছে। সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর করবেন পোপ ফ্রান্সিস। ২৭ নভেম্বর মিয়ানমার সফরে যাবেন তিনি। লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস-এর প্রতিবেদনে মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, মানবাধিকার সংগঠনগুলো চায় পোপ যেন তার মিয়ানমার সফরে প্রকাশ্য ও ব্যক্তিগত বৈঠকগুলোতে দুনিয়ার সবচেয়ে নিপীড়িত এই জনগোষ্ঠীর প্রতি সহমর্মিতা জানান। অং সান সু চি এবং মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইয়াং-এর সঙ্গে বৈঠকে যেন তিনি রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর এশিয়া অঞ্চলের উপপরিচালক ফিল রবার্টসন বলেন, ‘পোপের প্রকাশ্যেই রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করা উচিত। লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস।



 

Show all comments
  • কামরুজ্জামান ২৭ নভেম্বর, ২০১৭, ২:০৪ এএম says : 0
    কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি
    Total Reply(0) Reply
  • Atik Mithu ২৭ নভেম্বর, ২০১৭, ২:১১ এএম says : 0
    যদি কুকর্মের জন্য কোন পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকতো তবে সূচি সর্ব প্রথমে পেত
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ