মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মুসলিম বিরোধী সহিংসতা বাড়ঝে শ্রীলংকায়। এ কারণে প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা এবং প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিঙ্গের শ্রীলঙ্কা সরকার আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মুসলিম স¤প্রদায়ের ভোট হারাতে পারে বলে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। ওই নির্বাচনে ওই স¤প্রদায়ের ১০ ভাগ ভোট অতি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হচ্ছে। রাজধানী কলম্বোর দক্ষিণের শরহ গিনতোতা শহরে গত সপ্তাহে ছয় দিন ধরে চলা সঙ্ঘাতের প্রেক্ষাপটে এই আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। ওই দাঙ্গায় মুসলমানদের বেশ কিছু দোকানপাট ও বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত এবং অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। ২০১৪ সালে পার্শ্ববর্তী আলুথগামা শহরের দাঙ্গার স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে এবারের দাঙ্গা। ওই দাঙ্গার জের ধরে ২০১৫ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট মহিন্দা রাজাপাকসার পতন ঘটে। ওই সময় মুসলিম ও তামিল সংখ্যালঘুরা তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল। আলুথগামার দাঙ্গার মতো এবারো কারফিউর সময় পুলিশের উপস্থিতির মধ্যেই যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। তবে ওইবারের দাঙ্গার খবর সামাজিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছিল। কিন্তু এবার গ্রেপ্তারের ভয়ে খবর চেপে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রী সাগালা রানায়াকে দাঙ্গার খবর প্রচারের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন। তিনি দাঙ্গাকে ‘সামান্য ঝগড়া’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিঙ্গেও। মানবাধিকার কর্মী আবদুল সুরুর ওই দাঙ্গার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, এক মুসলিম নারী এবং তার দেড় বছরের সন্তানকে এক মদ্যপ সিংহলা মোটরসাইকেল চালক ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর মোটরসাইকেল আরোহী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে একদল মুসলিম তাকে ধরে ফেলে। তারা তাকে পিটিয়ে ছেড়ে দিলেও মোটরসাইকেলটি রেখে দেয়। পরদিন কিছু মুসলিম যুবক গিনতোতা জিহারা (মুসলিম) কলেজে একটি ফুটবল ম্যাচ দেখতে গেলে সেখানে ওই মোটরসাইকেল আরোহীর জড় করা কিছু সিনহলা তাদের ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার পর সেখানে পুলিশ ও বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। মনে হচ্ছিল, পরিস্থিতি ¤প্রদায় নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।