পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একসময় সশস্ত্র বিপ্লব ও গোপন রাজনীতির নামে দক্ষিণ-পশ্চিমের আন্ডারওয়ার্ল্ড ছিল উত্তপ্ত। অস্ত্রবাজ চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীরা মাটি কাঁপিয়ে বেড়াতো। জড়াতো খুনোখুনিতে। শান্তিপ্রিয় জনগণকে রাখতো চরম অশান্তিতে। রুদ্ধশ্বাস আতংক ও ভয়ভীতি সৃষ্টি করে অস্ত্রবাজরা করতো অর্থ বাণিজ্য। এখন তাদের তথাকথিত সশস্ত্র বিপ্লব এখন মাঠে মারা গেছে। ইতি ঘটেছে একটি অধ্যায়ের। নেতা, উপনেতা, পাতি নেতাদের শেষ পরিনতি হয়েছে নির্ঘাত অপঘাতে মৃত্যু। অন্ধকার জগতে পথ চলার খেসারত দিতে হয়েছে জীবনের করুণ পরিসমাপ্তির মধ্য দিয়ে। অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, অস্ত্রবাজ চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীদের স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা নেই। সমাজদেহকে ক্ষত বিক্ষত করা অস্ত্রবাজদের চুলে পাক ধরার আগেই মৃত্যু হয়। এটি জেনেশুনেই পরিবারের নিষেধ সত্বেও অন্ধকার জগতে পা বাড়ায় একশ্রেণীর টগবগে যুবক। চরমপন্থী কিংবা সন্ত্রাসী গ্রুপের অনেকে অলীক স্বপ্নে বিভোর হয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র হাতে মুকুটহীন রাজা সেজে পরিবার-পরিজন ছেড়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়াতে দ্বিধা করেনি। ‘মরণ খেলায় যেওনা, ওই পথ ছেড়ে দাও’-পিতা ও মাতা কিংবা নিকট আত্মীয়ের এমন সাবধানবাণী ও আকুতি তখন কোন চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীর কানে পৌঁছেনি। শেষ পর্যন্ত তারা ফিরে আসে ঠিকই, কিন্তু লাশ হয়ে। তখন পিতা, মাতা, ভাই-বোন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে থাকেন ‘মরেও গেল মারেও গেল’। এখন অস্ত্রবাজ চরমপন্থী নেই। কিন্তু তাদের করুণ পরিণতি থেকে শিক্ষা নেয়নি সন্ত্রাসী ও অপরাধীরা। যার কারণে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, পলিটিক্যাল ক্যাডার ও বিভিন্ন অপরাধী। বিশেষ করে উঠতি বয়সের সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া। তাদের হাতেও আছে বহু অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। অভিযোগ, একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতা তাদের আশ্রয়দাতা।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, গোটা অঞ্চলের অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রধারীদের আপডেট তালিকা তৈরী করছে পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থা। একইসঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টদের তালিকা। অভিযানও চলছে। খুলনা পুলিশের ডিআইজি মোঃ দিদার আহম্মেদ দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, গোটা অঞ্চল থেকে অস্ত্রবাজ চরমপন্থী নির্মূল হয়েছে। উঠতি বয়সের সন্ত্রাসীদের আপডেট তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছি। তারপর যাচাই বাছাই শেষে অভিযান পরিচালিত হবে। যশোরের পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, চরমপন্থীদের মতো জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী অপরাধীও অচিরেই নির্মূল হবে। ভোগ করতে হবে তাদেরও করুণ পরিণতি। তিনি বলেন, পুলিশ ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাদক সন্ত্রাসীদের শিকড় উপড়ে ফেলা হয়েছে। জঙ্গী দমনেও এসেছে সফল?তা। একটা ম্যাসেজ পৌছে দেয়া হয়েছে সন্ত্রাসী, অপরাধী ও জঙ্গী সংশ্লিষ্টদের। তাদের ভাগ্যেও চরমপন্থীদের মতো করুণ পরিণতি অপেক্ষা করছে।
সুত্র জানায়, খুলনা, যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমে সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক হত্যাকান্ড এবং নানা ধরণের অপরাধ কর্মকান্ড ঘটাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। ক্রমাগতভাবে তাদের দাপট বাড়ছে। বিশেষ করে উঠতি বয়সের নানা সন্ত্রাসী, অপরাধী ও ক্যাডারদের দাপট বেড়েই চলেছে। তাদের হাতে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র। এদিকে, পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত প্রায় ৮শ’ অস্ত্রবাজ চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী নিহত হয় ক্রসফায়ার, এনকাউন্টার ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে। সুত্রমতে, তারা বিভিন্নসময় ভাগ হয়ে বহু পার্টির পতাকাতলে আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকেছে। যাদের কোনটিরই মার্কসবাদ, লেলিনবাদ ও মাওবাদের ন্যুনতম আদর্শ ছিল না, ছিল সন্ত্রাসবাদ। একেক এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে যে যার মতো খুন, গুম, অপহরণ, চাঁদাবাজি, চিংড়ি ঘের দখল, চর দখলসহ এমন কোন অপরাধ কর্মকান্ড নেই যে তারা করেনি। একপর্যায়ে জীবনের করুণ পরিসমাপ্তি ঘটেছে। এখন সন্ত্রাসীদের ক্ষেত্রেও তেমনি ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে বলে অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।